BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

 

Cover April 2015

English Part April 2015

 

Top

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 

 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান রিপোর্ট
এপ্রিল ‘১৫ মাসে মোট হত্যাকান্ডের শিকার ২৬০ জন


বাংলাদেশ মানবাধিকারের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগ অনুসন্ধান কার্য সম্পন্ন করে। জরিপ অনুযায়ী ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে সারা দেশে মোট হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় ২৬০টি। এ ধরনের হত্যাকান্ড অবশ্যই আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। কমিশন এই হত্যাকান্ডের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্চ মাসে গড়ে প্রতিদিন হত্যাকান্ড ঘটে প্রায় ৯ জন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০১৫ সালের এপ্রিল ‘১৫ মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ২৬০ জন।
এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা ৪ জন, পারিবারিক সহিংসতায় হত্যা ৩৪ জন, সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ৪৮ জন, রাজনৈতিক কারণে হত্যা ৮ জন, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৯ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৬ জন, চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু ৪ জন, গুপ্ত হত্যা ১৫ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৬২ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ৫ জন, অপহরণ হত্যা ৮ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহণ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৬০ জন, আত্মহত্যা ৩৭ জন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত ২৯ জন। মার্চ ২০১৫ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের শিকার ২১ জন, েেযৗন নির্যাতন ৩ জন, যৌতুক নির্যাতন ৪জন, যৌতুক হত্যা ৪ জন, এসিড নিক্ষেপ ০২ জন।
 

 

Top

 

হত্যাকারী খালেদার কথায় কেউ ভোট দেবে না




বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যার নির্দেশে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে শত শত মায়ের বুক খালি করা হয়েছে এমন ‘জালিমের’ কথায় কেউ ভোট দেবে না। সিটি নির্বাচনের প্রভাব সরকারে পড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। এখন জনগণ যদি প্রতিশোধ নেয় তা কার ওপর নেবে আসে সেটা ওনার (খালেদা জিয়া) ভেবে দেখা উচিত। বিবেকবান ও মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন মানুষ খালেদা জিয়ার পাশে থাকবে না বলেও এ সময় প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
রোববার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাম্প্রতিক ইন্দোনেশিয়া সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হলেও প্রশ্নোত্তর পর্বে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি সিটি নির্বাচনের বিষয়ও উঠে আসে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হরতাল-অবরোধে নাশকতায় মানুষ হত্যার ঘটনাগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে মানুষ যেভাবে পোড়াল, জঘন্য কাজ! বিশ্বে কোথাও কি কেউ দেখেছে উনি যে মানুষকে পোড়ালেন তিনি আবার মানুষের কাছে ভোট চান কিভাবে কোন মুখে ভোট চান লজ্জাও তো লাগে।’ এ সময় সিটি নির্বাচনের প্রভাব সরকারে পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আসন্ন সিটি নির্বাচনে নীরব প্রতিশোধ নেয়ার হুমকির প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, ‘কিসের প্রতিশোধ কে কার প্রতিশোধ নেবে’ তিনি বলেন, ২০০৮ সালে জনগণ তাদের কেন ভোট দেয়নি এবং ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে কেন জনগণ ভোট দিল মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে সে প্রতিশোধ তিনি নিতে চেয়েছেন। কথা নেই বার্তা নেই জানুয়ারির ৫ তারিখ (গত) আবার মানুষ হত্যা শুরু, কত মানুষকে হত্যা! তাজা মানুষগুলোকে পুড়িয়ে হত্যা করা হল। ১৫৭ জন নিরীহ নাগরিককে পুড়িয়ে মারা হল। তার (খালেদা জিয়া) নির্দেশে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। এখন প্রতিশোধ যদি জনগণ নেয় তা কার ওপর নেবে সেটা উনার (খালেদা জিয়া) ভেবে দেখা উচিত। এসব ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আইন কাউকে ছাড় দেবে না।
খালেদা জিয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার চালালেও তা গণমাধ্যমে আসেনি বলে সমালোচনাও করেন তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১২৩টি মোটরসাইকেল ও ৯৬টি গাড়ি নিয়ে প্রচার চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, যা কোনো মিডিয়ায় আসেনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের আচরণবিধির কয়েকটি ধারা পড়ে শোনান। নির্বাচন নিয়ে তার হতাশা ফুটে উঠেছে। দুপুর পৌনে ২টায় দেওয়া সবচেয়ে ছোট টুইটে সবচেয়ে বড় বার্তা দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে জিততে চাওয়া আসলে কোনো জয়ই নয়। বিকেল ৩টায় আরেকটি টুইট বার্তায় বার্নিকাট বলেন, ‘ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসের এতগুলো তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ওপর পড়া তার প্রভাব নিয়ে আমি হতাশ।’ বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করে টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন থেকে বিএনপির সরে যাওয়ায় আমি হতাশ।
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন :এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট। প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থানকালে পুরুষ ও নারী কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেন তিনি। এ সময়ে মাত্র সাত-আটজন ভোট দেন বলে জানা গেছে। সে সময় পুরুষ বুথে সরকারি দল-সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্ট ছিল না।

 

Top

জিতল আ.লীগ, হারল গণতন্ত্র


তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে মানুষের মধ্যে যে শঙ্কা ছিল, শেষ পর্যন্ত তা-ই সত্যি হলো। প্রশ্নবিদ্ধ এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হলেও গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তোলা এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের খেলায় গণতন্ত্র হেরেছে। সরকার-সমর্থকেরা বিরোধীদের বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রের কাছেই যেতে দেননি। অনেকটা ফাঁকা মাঠে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উন্মুক্ত কারচুপি করেছেন তাঁরা। আর বিরোধী দল বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীরা ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। চট্টগ্রামে মনজুর আলম বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার ঘণ্টা খানেক পরই ঢাকায় একই ঘোষণা দেন মির্জা আব্বাসের পক্ষে তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং তাবিথ আউয়াল।
প্রথম আলোর ২৭ জন প্রতিবেদক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ হাজার ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৩টি ও ঢাকা দক্ষিণের ৮৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৬টি কেন্দ্র ঘুরে এই চিত্র পেয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৭১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৭টি কেন্দ্র ঘুরেছেন প্রথম আলোর ১২ জন প্রতিবেদক। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাকি কেন্দ্রগুলোতে কোথাও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, কোথাও সামান্য বা বড় কারচুপি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ, দক্ষিণে ১৮ লাখ ৭০ হাজার এবং চট্টগ্রামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ভোটার ছিলেন। এর মধ্যে কত শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন, সে তথ্য নির্বাচন কমিশন আজ বুধবার জানাবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনটি সিটি করপোরেশনেই এগিয়ে আছেন সরকার-সমর্থক মেয়র প্রার্থীরা। তাঁরা হলেন ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন এবং চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিন সিটি করপোরেশনে এগিয়ে থাকা কাউন্সিলর প্রার্থীদের বেশির ভাগই সরকারি দল-সমর্থক।
এ পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ দাবি করেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে কোনো সমস্যা হওয়া বা ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয়ভীতি দেখানোর কথা তাঁকে বলেননি।
৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর গতকালের এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে শঙ্কাই সত্য হয়েছে। অবশ্য আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পরাজয়ের আশঙ্কায় বিএনপি ভোট বর্জন করেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপি কিংবা তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা গতকালের পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা তো দূরের কথা, কোনো প্রতিবাদও করেননি। এর কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁরা ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। এ কারণে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই বিএনপি-সমর্থক প্রার্থীদের এজেন্ট ছিলেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে দলটির তিন মেয়র প্রার্থী মাঝপথে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এর আগে আন্দোলনের মাঠ থেকে সম্পূর্ণ অগোছালো অবস্থায় নির্বাচনের মাঠে এসে দলটি অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ফাঁকা মাঠে সরকার-সমর্থক ও দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা কারচুপির প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেকগুলো কেন্দ্রে নিজেদের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি করেন। ঢাকা দক্ষিণে কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রে এমনই এক সংঘর্ষের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত। পরে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাষ্ট্রদূত সেখান থেকে বের হন।
এ ছাড়া একাধিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঢাকা উত্তরে কাফরুল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদা আক্তার ও বিদ্রোহী প্রার্থী মতি মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুরান ঢাকায় বাংলাদেশ ললিতকলা একাডেমি কেন্দ্রে ভোটারদের ওপর এক সাংসদের গানম্যানের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার তথ্য ও চিত্র সংগ্রহ করতে গণমাধ্যমকর্মীদের বাধা দিয়েছেন সরকারি দল-সমর্থক কিছু কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোনো কোনো কেন্দ্রে তাঁদের মারধর করা হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামে কয়েকটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ঢাকায় তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিল করা হয়। এগুলো হচ্ছে সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয়, কমলাপুর এবং আশরাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। চট্টগ্রামের একাধিক কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সাময়িক স্থগিত রেখে পরে চালু করা হয়।
ভোট গ্রহণের মাঝখানে নির্বাচন বর্জন করেন বিরোধী দল-সমর্থক মেয়র প্রার্থীরা। বেলা সোয়া ১১টায় চট্টগ্রামের বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ সময় তিনি রাজনীতি থেকে অবসরের কথাও জানান দেন।
ভোটের চিত্রে আওয়ামী লীগে অস্বস্তি
দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকায় বিএনপি-সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও তাবিথ আউয়ালের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

 

Top

নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পর পর দুই দিন শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর পুরো নেপাল এখন আতঙ্কের দেশ। দেখা দিয়েছে চরম মানবিক বিপর্যয়। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর লাশের সারি। আহত মানুষের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে দেশটি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়েছে এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত মানুষের সংখ্যা কয়েক লক্ষ। এর মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল ২০১৫ শত শত নিহতের দাহ হয়েছে। বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, সময় যতই গড়াচ্ছে ততই প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো চাপা পড়ে রয়েছে বেশকিছু মানুষ। আহতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডুর চিত্রটা পুরো বদলে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে শহরের বুকের ওপর দিয়ে বুলডোজার চালানো হয়েছে। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে কাষ্ঠমণ্ডপ, পাঁচতালে বসন্তপুর দরবার, দশাবতার এবং কৃষ্ণ মন্দির। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশুপতিনাথ মন্দিরও। এদিকে হাসপাতালগুলোতে আহতের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও কর্মকর্তারা। নেপালের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্প আঘাত হানার পর দেশটির লাখ লাখ মানুষ ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে গতকাল পরিবার নিয়ে রাস্তায় বসে সময় পার করেছেন। আরও আফটার-শক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল ধরহরা মিনারের ধ্বংসস্তূপ থেকে ২০০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে নেপালের তথ্যমন্ত্রী মীনেন্দ্র রিজাল বলেছেন, তার দেশ স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়েছে। ব্যাপক উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু এটা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। এ জন্য ব্যাপক সহায়তার প্রয়োজন। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ভারত, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সহায়তার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশও নেপালের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। শনিবার দেশটিতে দুই দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়। প্রথমটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯ এবং দ্বিতীয়টি ছিল ৬ দশমিক ৬ মাত্রার। গতকাল আবার ৬ দশমিক ৭ মাত্রায় ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে।‘বিধ্বস্ত’ নেপালের সহায়তায় বিশ্ববাসী : পানি, খাবার ও চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছে নেপালিরা। বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় নেপালে ভুতুড়ে অবস্থা তৈরি হয়েছে। দুর্গত ওই সব মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। এরই মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন সোয়া তিন মিলিয়ন ইউরো সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।
তিন টন ত্রাণ এবং ২০০ উদ্ধারকর্মীর একটি দলসহ গতকাল সামরিক পরিবহন বিমান নেপালে পাঠিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন মৈত্রী’ নামের বিশাল অভিযান শুরু করছে ভারত। এদিকে রাস্তাঘাট ধসে পড়ায় উদ্ধার এবং ত্রাণ তৎপরতা কঠিন হলেও আগের চেয়ে আরও জোরদার হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাহাড়ি বহু রাস্তা বন্ধ হওয়ায় এবং ফেটে যাওয়ায় উদ্ধারকারীরা এখন হেলিকপ্টারে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শহরের মাঝখানে প্যারেড গ্রাউন্ডে তাঁবু বসানো হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো মানুষ। সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা বলেন, উদ্ধার আর ত্রাণ তৎপরতায় দেশটি বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়েছে এবং জরুরি ভিত্তিতে তাদের ত্রাণসাহায্য প্রয়োজন। বিশ্ব নেতারা এবং আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোও এই আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএইড জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের একটি দল নেপালের পথে রওয়ানা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র উদ্ধারকারী দল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও ১০ লাখ ডলারের মানবিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রাধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ভূমিকম্প দুর্গতদের সাহায্যে ‘সব কিছু করার’ ঘোষণা দিয়েছেন।
 

Top
 

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রচারণাকালে খালেদার গাড়িবহরে হামলা


নির্বাচনী গণসংযোগে নজিরবিহীন হামলার শিকার হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। ২০ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচার চালানোর সময় হঠাৎ করেই ‘জয়বাংলা’ ¯োগান দিয়ে একদল যুবক লাঠিসোটা হাতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে বেপরোয়া হামলা চালায়। আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ইট ছোড়া হয়। এতে খালেদা জিয়ার গাড়ির কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলোপাতাড়ি ভাংচুর করা হয় তার নিরাপত্তাকর্মীদের (সিএসএফ) তিন-চারটি গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। পুলিশের উপস্থিতিতেই এ তাণ্ডব চলে। এতে কিছু সময়ের জন্য কারওয়ান বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। হামলাকারীদের অনেকের হাতে ছিল কালো পতাকা। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররাই এ হামলা চালিয়েছে। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা সমন্বয়কারী মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর জানান, হামলার সময় খালেদা জিয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে কারওয়ান বাজারের কাঁচা বাজারের সামনে একটি পথসভায় হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য দিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ওপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়ে মারা হয়। এরপর শুরু হয় গাড়ি ভাংচুর। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন। আহতদের মধ্যে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এসএম সাত্তার, নিরাপত্তাকর্মী ফজলু ও ফারুক এবং ব্যক্তিগত গাড়িচালক শাহেদের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আক্তার, সুলতানা রহমানও আহত হন। ঘটনাস্থলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য থাকলেও তারা ছিলেন নির্বিকার। হামলার সময় অনেকটা নিরাপত্তাহীন ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ৫ থেকে ৭ মিনিটের তাণ্ডবে তার গাড়িটি ছাড়া বহরের ৮-১০টি গাড়ি ভাংচুর করে হামলাকারীরা। খালেদা জিয়ার গাড়ির ওপর আহত নিরাপত্তাকর্মীদের রক্তের দাগ দেখা যায়। ইটের আঘাতে খালেদা জিয়ার গাড়ির ডান পাশের গাস ফেটে গেছে।
এদিকে গাড়িবহরে হামলার পরও গণসংযোগ থামাননি খালেদা জিয়া। কারওয়ান বাজার থেকে তিনি যান মালিবাগ এলাকায়। এরপর রাজারবাগসহ আশপাশের এলাকায় দক্ষিণে দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে ভোট চান খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের গণসংযোগের সময় একদল যুবক কালো পতাকা নিয়ে সেখানে মিছিল করে। এ সময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

Top

চলমান রহস্যময় পাথর !


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিচিত্র এ পৃথিবীতে এমন সব রহস্য লুকিয়ে আছে যার ব্যাখ্যা আজও দিতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। তেমনই প্রকৃতির এক বিস্ময ডেথ ভ্যালি উপত্যকার রেসট্র্যাক প্লায়া জায়গাটির চলমান পাথর।
ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়ার ওই অংশটি জনমানবহীন এক বৈচিত্রময় জায়গা। সচরাচর অন্য প্রানীও দেখা যায় না এখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এই উপত্যকার রহস্যময় পাথরগুলি কোন এক অজানা কারণে তার স্থান পরিবর্তন করে বয়ে চলে।
আজপর্যন্ত পাথরগুলোকে চলমান অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি। তবে মাটির স্তরে রেখে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।
মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশে মাটিতে তাদের কোনো পদচিহ্ন পাওয়া যায় না।
সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে ডেথ ভ্যালি-তে এমন বিস্ময়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে। কিছু গবেষকদের মতে, মাটি যখন কর্দমাক্ত থাকে এবং বরফ পড়ে পিচ্ছিল হয় তখন বাতাসের ধাক্কায় পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই যুক্তিও গ্রহনযোগ্যতা পাইনি।
কারণ পাথরগুলো তখনও স্থান পরিবর্তন করে যখন গ্রীষ্মকালে মাটি একেবারে শুকনো থাকে এবং বরফও পড়ে না। তাছাড়া পাথরগুলো একই রাস্তায় চলে না। প্রতিটি পাথরের চলার পথ সম্পূর্ণ ভিন্ন বা আলাদা।
এছাড়াও এটি আরও রহস্যময় হয়ে উঠার প্রধান কারণ হচ্ছে, বিস্তৃত এই এলাকাটি জনমানবহীন। এমনকি এখানে বন্যাও হয় না এবং এখানে এতো গতিবেগে বাতাস প্রবাহিত হয় না যে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
Top


পাকিস্তানে মানবাধিকার কর্মী নিহত
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে


পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মানবাধিকার কর্মী সাবিন মেহমুদ নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম সাদেক এবং মহাসচিব ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। গত ২৪ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যায় মানবাধিকার বিষয়ক একটি সেমিনার শেষে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তার উপর গুলি চালায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে। মানবাধিকার কর্মীর উপর এ ধরনের বর্বোরোচিত হামলা বিশ্ব বিবেককে ব্যথিত করে তুলেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার নেত্রী সাবিন মেহমুদ এর হত্যাকান্ডের বিষয়টি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। মানবাধিকার কমিশন বিষয়টির উপর জাতিসংঘ তথা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Top

টেকনাফে মাসিক মতবিনিময় সভায় নারীনেত্রী মনোয়ারা বেগম মুন্নী


বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রামু- উখিয়া ও টেকনাফ আঞ্চলিক কমিটির মাসিক মতবিনিময় সভায় নারীনেত্রী ও সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মুন্নী বলেছেন- আর্তমানবর্তার সেবায় নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি প্রতিরোধকল্পে সকল স্তরের সবসাধারনের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এছাড়া সভায় উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আবদুর রহমান বদি ও টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মো: ইসলামের আন্তরিক প্রচেষ্টায় টেকনাফ পৌরসভাকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট (বিএমডিএফ) এর ১৪ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়ায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এতে টেকনাফ পৌরবাসীর কাঙ্খিত চাহিদা ডিজিটাল পৌরসভা পরিণত করতে এই তহবিল অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস এবং টেকনাফ পৌরসভায় সহযোগিতায় বন্ধন প্রকল্পের মাধ্যামে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সাধারণ জনসাধারণ হয়রানি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান। এছাড়া কক্সবাজার জেলা বার কাউন্সিল এর সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান সভাপতি এড. একে এম আহমদ হোছাইন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রামু-উখিয়া ও টেকনাফ আঞ্চলিক কমিটির আজীবন সদস্য ও জেলা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। ১৭ এপ্রিল বিকালে টেকনাফস্থ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ,দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সদস্য রফিক রানা,নুরুল কবির, আবু ছৈয়দ,হাসিনা মমতাজ।
 

Top

হিজড়াদেরও মানুষের মর্যাদা দিতে হবে
 

হিজড়াদের মানুষের পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে সমাজে বসবাসের অধিকার দিতে হবে। এই সম্প্রদায়ের প্রতি বৈরী মনোভাবাপন্ন মানসিকতার অবসান ঘটিয়ে সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের সব কাজে অংশগ্রহণের অধিকার দিতে হবে।
গত ২৫ এপ্রিল ২৯১৫ খুলনা বিভাগে হিজড়াদের অধিকার আদায় নিয়ে কর্মরত সংগঠন লোসাউকের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গায় দুই দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিনে প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হিজড়া নেত্রী লাভলী এ দাবি করেন। এ সময় তিনি হিজড়াদের প্রতি অবহেলা ও বঞ্চনার তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি হিজড়াদের অবদানের কথাও বলেন।
লোসাউকের চেয়ারপারসন নাজমুল আহসান, পরিচালক পারভীন আক্তার, স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আলোর ছোঁয়ার নির্বাহী পরিচালক রেজাউল হক বক্তব্য দেন। এতে চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও আলমডাঙ্গা ও দর্শনা থেকে আসা হিজড়ারা উপস্থিত ছিলেন।
 

Top

শিশু কেনাবেচার রাজ্য!


ভারতে গোপনে শিশু বিক্রির কার্যক্রম চললেও দেশটির নবগঠিত তেলেঙ্গানা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তা চলছে প্রকাশ্যেই। সম্প্রতি এনডিটিভির এক প্রতিবেদক ও শিশু অধিকার কমিশনের কয়েক সদস্য শিশু কেনাবেচার বিষয়টি অনুসন্ধানে নলগোঁদা জেলায় যায়। প্রত্যন্ত এ জেলায় গিয়ে ক্রয়ের জন্য শিশুর খোঁজ করে তারা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র আধাবেলা ঘুরেই তারা ক্রয়ের জন্য শিশুর খোঁজ পেয়ে যান। সরকারচালিত একটি হোমে বিক্রিতব্য মেয়ে শিশুর কথা জানানো হয় তাদের। তারা দু’দিন পর ২ মাস বয়সী ভবানীর খোঁজ পান। তাদের জানানো হয়, ৩০ হাজার রুপির বিনিময়ে ভবানীকে কিনতে পারবেন তারা। দেবরাকোন্দায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় অটোরিকশাচালক তাদের শিশুগৃহে নিয়ে যান। এক মধ্যস্থতাকারী বলেন, আপনারা এখান থেকে পছন্দমতো শিশু কিনতে পারবেন। সেখানে ৮-১০ জন মেয়েশিশু ছিল। এখানে থাকা শিশুদের পছন্দ না হলে হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের কাছে অন্য শিশুদের ছবি পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
শিশু কেনাবেচার জন্য রয়েছে দালাল। এদের একজন কামলি বাই জানান, ৩০ হাজার রুপির শিশু কেনার জন্য সব মিলিয়ে অন্তত ৫০ হাজার রুপি লাগবে। পরে ওই পরিমাণ অর্থ দিয়েই ভবানীকে কেনে প্রতিনিধি দলটি।
শিশু কেনাবেচার খবর জানতে গিয়ে প্রতিনিধি দলটি জানতে পারে, ছেলে শিশুর আশায় যেসব দম্পতির অনেক মেয়েশিশু হয়েছে তারা এখানে বিক্রি করে দেন। এখানে অনাকাক্সিক্ষতভাবে জন্ম নেয়া অনেক শিশুও রয়েছে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহমুদ আলী জানান, শিশু পাচারের বিষয়টিতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিষয়টি তদন্তে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
 

Top

দারিদ্র্য ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে


দারিদ্র্য বিমোচন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষুধা ও অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াই, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রপš’া দমন এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে। ২০১৫ সাল-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আফ্রো-এশীয় শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। জাকার্তার বালাই সিদাং কনভেনশন সেন্টারে এ সম্মেলনে ৩৪টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ ১০৫টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের অংশীদারিত্ব জোরদার, অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশল নিয়ে আলোচনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিন দিনের এই সম্মেলন গতকাল শুরু হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ থেইন সেইন, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হেইসেন লুং, কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্ণপুত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন। বাসস, ইউএনবি, বিডিনিউজ, বাংলানিউজ।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আফ্রো-এশীয় (এশিয়ান-আফ্রিকান) সম্মেলন উদ্বোধন করেন। ইন্দোনেশিয়ার বানদুং শহরে অনুষ্ঠিত প্রথম আফ্রো-এশীয় সম্মেলনের ৬০তম বার্ষিকী এবং ২০০৫ সালে গঠিত নতুন এশিয়ান-আফ্রিকান স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের (এনএএএসপি) দশম বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বানদুং সম্মেলন হিসেবে পরিচিত ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় সম্মেলন স্নায়ুযুদ্ধের সময় জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিশ্বে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ২২০ কোটি মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শাšি-পূর্ণ ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ বিশ্ব গড়ে তুলতে এবং সার্বিকভাবে বিশ্বে গতিশীল সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। তিনি বলেন, ‘এশিয়া-আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের পথ যারা প্রশ¯- করে দিয়ে গেছেন, বানদুং সম্মেলনের ৬০তম বার্ষিকীতে সেই বিচক্ষণ নেতাদের স্মরণ করছি। তারাই বিশ্বকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনের সুতোয় গেঁথে গেছেন। তারা লড়াই করে গেছেন উপনিবেশবাদ, দারিদ্র্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা সব সময়ই একটি শাšি-পূর্ণ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে কোনো যুদ্ধ, সংঘাত ও ধ্বংসযজ্ঞ থাকবে না। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়েছিলেন। একইসঙ্গে মানবতার কল্যাণ ও শাšি-র জন্য বিশ্বের সব রাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক ¯’াপনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় উৎসাহী ছিলেন। এ প্রত্যয় থেকেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও বিশ্বে এখনও ২২০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। এখনও ৮০ কোটি মানুষ ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে এবং ২০ কোটির বেশি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও ধরিত্রী রক্ষায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
২০১৫ সাল-উত্তর উন্নয়নসূচি নির্ধারণে আগামী মাসে ঢাকায় ‘সাউথ সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কোঅপারেশন ইন দ্য কনটেক্সট অব দ্য পোস্ট-২০১৫ ডেভেলপমেন্ট এজেন্ডা’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার বিষয়টি ‘কোনো দেশের একার কাজ নয়’ মš-ব্য করে এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে, বিশেষত দক্ষিণের দেশগুলোর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বের মোট জিডিপির অর্ধেক আসে দক্ষিণের দেশগুলো থেকে। বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক উৎপাদনের অর্ধেক আসে এসব দেশ থেকে এবং বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় অর্ধেক হয় এ অংশ থেকে। তাই টেকসই উন্নয়ন এবং দক্ষিণের দেশগুলোর বিপদ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা অর্জনের জন্য সহযোগিতা জরুরি।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মোকাবেলায় দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে। তারা (স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি) বাংলাদেশের উদার প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংসে এখনও সক্রিয়। তার সরকার আদর্শিকভাবে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপš’াকে পরাজিত করতে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ধারা শক্তিশালী এবং নারীর ক্ষমতায়ন জোরদার করেছে।
সম্মেলনে চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, জর্ডান, নেপাল, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি জাতিসংঘ, আশিয়ান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আফ্রিকান ইউনিয়ন, আরব লীগ ও সাউথ সেন্টারসহ ছয়টি আš-র্জাতিক সং¯’ার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, উচ্চপদ¯’ সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ ৫১ জন জাকার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
শেখ হাসিনা-শি জিনপিং বৈঠক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকাল ১০টার পর বালাই সিদাং কনভেনশন সেন্টারে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। তারা বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী ও জাকার্তায় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় শিনজো আবে :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলার পেছনে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব আর দেশের কর্মঠ জনশক্তিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মš-ব্য করেন তিনি। বুধবার জাকার্তায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, বৈঠকে দুই নেতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশে জাপানের দেওয়া ঋণ সহায়তার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিরও প্রশংসা করেন শিনজো আবে। বিশেষ করে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে জোর দেন তিনি। জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বিত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন আবে। বর্তমানে জাপানের সহায়তায় যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলো দ্রুত ও যথাসময়ে সম্পন্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক :মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উ থেইন সেইন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের যোগযোগ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। বুধবার জাকার্তায় বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) করিডোর বা¯-বায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিসিআইএম করিডোর নেপাল, ভুটানসহ কুনমিং, কক্সবাজার, ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে সংযোগ ¯’াপন করবে। বাংলাদেশ সব সময় সকল প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়টিকে মূল্য দেয় এবং একসঙ্গে সমৃদ্ধি লাভ করতে চায়। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল জাকার্তার বালাই সিদাং সম্মেলন কেন্দ্রে সাক্ষাৎ করেছেন কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। আফ্রো-এশীয় সম্মেলনের ফাঁকে তারা এ বৈঠক করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
 

Top

৪০ ভাগ শ্রমিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন কারখানায়


রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর ৪০ শতাংশ শ্রমিক এখনো কারখানায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম। সমপ্রতি সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন কারখানার প্রায় ২ হাজার শ্রমিকদের উপর জরিপ চালায়। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন সংগঠনের সভাপতি মোশরেফা মিশু। রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির দুই বছরকে সামনে রেখে এ জরিপ চালানো হয়।
জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, গার্মেন্টস পরিদর্শক জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স সম্পর্কে ৯২ শতাংশ শ্রমিক কিছুই জানেন না বা বুঝেন না, ৮০ শতাংশ শ্রমিক গার্মেন্টসের বিকল্প থাকলে এ পেশা ছেড়ে দিতেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা আনন্দের সঙ্গে গার্মেন্টসে কাজ করতে ছুটে আসছে, বিষয়টি তা নয়। এ খাতে এখনো শ্রমিকদের জীবন ও কর্মপরিবেশ নিম্নমানের এমনকি বর্বরোচিত।
সাংবাদিক সম্মেলনে এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম সবুজ, আমেনা আক্তার, মমিনুর রহমান ও শফিউল আলম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Top

ড. ইউনূস বিশ্বের ছয় অর্থনৈতিক পথপ্রদর্শকের তালিকায়


বিশ্বের অন্যতম ছয় অর্থনৈতিক পথপ্রদর্শকদের অন্যতম হিসেবে ড. ইউনূসকে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যানশিয়াল টাইমস পত্রিকা। পত্রিকাটির গত ৩১ মার্চ সংখ্যায় ‘বিজনেস পাইওনিয়ারস ইন ফিন্যান্স’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অর্থনীতির পথপ্রদর্শক হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। এতে ওয়ারেন বাফেট, অ্যামাদেও গিয়ানিনি, হেনরি ক্র্যাভিস, জন পিয়ারপন্ট মরগান এবং মেয়ার অ্যামসেল রোথচাইল্ডের সঙ্গে ড. ইউনূসকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছয়জন অর্থনীতিবিদকে যেকোনো সময়ের হিসাবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখানো হয়, কিভাবে অর্থনৈতিক উদ্ভাবন পুরো বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে। এতে বলা হয়, শুধু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়, কিছু অর্থনীতিবিদের উদ্ভাবন বিশ্ব উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে।
প্রতিবেদনে ড. ইউনূস সম্পর্কে বলা হয়, তিনি হয়তো বা ক্ষুদ্রঋণ উদ্ভাবন করেননি, কিন্তু তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে তুলেছেন। যা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি দরিদ্র বাংলাদেশকে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং তাঁর সামাজিক ব্যবসার আইডিয়া সারা বিশ্বে সম্প্রসারিত হয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ তাঁর নিজের দেশেই গড়া ব্র্যাক ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৬ সালে দরিদ্র মানুষকে জামানত ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া শুরু করেন ড. ইউনূস। যাদের বেশির ভাগই ছিল নারী। প্রথম অবস্থায় তিনি সুদ ছাড়া ঋণ দেওয়া শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যার মডেল গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ। ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁকে ও গ্রামীণ ব্যাংককে ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে দেওয়া হয়।
 

Top

ইইউয়ের ওপরই যত ক্ষোভ


ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌযানডুবির সর্বশেষ ঘটনায় ফের তোপের মুখে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপের রাজনৈতিক, মানবাধিকারকর্মী ও গণমাধ্যমের দাবি, অভিবাসী ইস্যুতে ইইউকে আরো কার্যকর হতে হবে। এর মধ্যে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, অন্যান্য ইস্যুতে থাকলেও অভিবাসীদের বেলায় ইউরোপিয়ানদের মধ্যে সংহতি নেই। অন্যদিকে ঘটনার পর নড়েচড়ে বসা ইইউ বলেছে, অভিবাসী ইস্যুতে তাদের আর অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই।
গত শনিবার মধ্যরাতে ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার জলসীমায় অভিবাসীবাহী একটি নৌযান ডুবে যায়। ইউরোপমুখী ওই নৌযানে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় এক হাজার অভিবাসী ছিল। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। আর বাকিরা মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তা ঘটলে চলতি বছরে এ নিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে দেড় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটল।
একের পর এক অভিবাসীবাহী নৌযানডুবির ঘটনায় নতুন করে ক্ষোভের মুখে পড়েছে ইইউ। তবে সবচেয়ে চটেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি। তাঁর মতে, অভিবাসী পাচারের বিষয়টি ইউরোপে মহামারিতে রূপ নিয়েছে। এ মহামারি ঠেকাতে ইতালির অনেক রাজনীতিবিদ সাগরে নৌ-অবরোধ তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এতে রেনজির দ্বিমতের জায়গা হলো, নৌ-অবরোধ থাকা মানে সাগরে আরো আরো জাহাজ নামানো। আর এতে পাচারকারীদের সহায়তা করা হবে। কারণ নৌযানডুবির পর অভিবাসীদের উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত হবে। অভিবাসী পাচারকে একবিংশ শতাব্দীর দাসপ্রথা উল্লেখ করে রেনজি বলেন, ‘এটা চিন্তা করা যায় না যে এত বড় একটা দুর্ঘটনার পরও ইউরোপিয়ানদের মধ্যে কোনো সংহতি নেই। অথচ অন্যান্য ইস্যুতে তাদের মধ্যে ব্যাপক সংহতি দেখা যায়।’ শিগগিরই অভিবাসী পাচারের ইস্যুতে একটি সম্মেলনের জন্য ইউরোপীয় নেতাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষোভ ঝেড়েছেন মাল্টার প্রধানমন্ত্রী যোসেফ মুসকাতও। তিনি বলেন, ‘অভিবাসীদের দুর্দশায় চোখ বন্ধ করে থাকলে একদিন ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক মহলকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাহোই বলেছেন, ‘এখন আর কেবল কথা দিয়ে কাজ হবে না।’ অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল গতকাল বলেছেন, ‘এসব দুর্ঘটনার ব্যাপারে ইউরোপকে অবশ্যই উত্তর খুঁজে বের করতে হবে।’
এদিকে দুর্ঘটনার পর ইইউয়ের সমালোচনা চলছে গণমাধ্যমেও। ইউরোপীয় অনেক পত্রিকা এ দুর্ঘটনাকে বলেছে ‘ইইউয়ের কালোদিন’। আবার কোনো পত্রিকা বলেছে, ‘ইইউ নীতির সম্মানহানি’।
এদিকে দুর্ঘটনার পর গতকাল সোমবার লুক্সেমবার্গে জরুরি বৈঠকে বসার কথা ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের। তবে তার আগে জোটের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেছেন, ‘পদক্ষেপ না নেওয়ার ব্যাপারে আর অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই।’ সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
 

Top

গড় আয়ু ৭০ বছর ১ মাস


বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশীদের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ১ মাস। এর আগে ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এসভিআরএস) ২০১৩ সালের জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের জরিপের প্রতিবেদনে বাংলাদেশীদের গড় আয়ু ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস। তার আগে ২০১১ সালে ছিল ৬৯ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ বছর ৭ মাস এবং ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। প্রতিবেদনে দেখানো হয়, দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। তবে এখনও নারীরা পিছিয়ে রয়েছেন। ৫ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা বেড়েছে। ৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এসভিআরএস শীর্ষক জরিপের কার্যক্রম দেশব্যাপী পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে প্রতিবেদনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে প্রকল্প পরিচালক এ কে এম আশরাফুল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কেননা এ সূচকগুলোর ওপর ভিত্তি করে এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) লক্ষ্য অর্জনের চিত্র উঠে আসে। তিনি বলেন, সারা দেশ থেকেই জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনও কাজ চলছে। আশা করছি আগামী মাস নাগাদ জরিপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা যাবে।খসড়া প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মানুষের গড় আয়ু দিন দিন বাড়ছে। স্বাধীনতার পর মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৩ বছর। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৭০ বছর ১ মাস। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। পুরুষের গড় আয়ু হচ্ছে ৬৮ বছর ৮ মাস, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৮ বছর ২ মাস, ২০১১ সালে ৬৭ বছর ৯ মাস, ২০১০ সালে ৬৬ বছর ৬ মাস এবং ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। অন্যদিকে নারীদের গড় আয়ু হচ্ছে ৭০ বছর ৪ মাস, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস, ২০১১ সালে ৬৯ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ বছর ৭ মাস এবং ২০০৯ সালে ৬৭ বছর ২ মাস। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। এ সূচক দাঁড়িয়েছে মোট (পুরুষ ও নারী মিলে) ৪১-এ, যা ২০১২ সালে ছিল ৪২, ২০১১ সালে ৪৪, ২০১০ সালে ৪৭ এবং ২০০৯ সালে ছিল ৫০-এ।
এ ক্ষেত্রে ছেলে শিশুমৃত্যুর হারের সূচক দাঁড়িয়েছে ৪২, ২০১২ সালে সূচক ছিল ৪৩, ২০১১ সালে ৪৫, ২০১০ সালে ৫০ এবং ২০০৯ সালে সূচক ছিল ৫২। অন্যদিকে মেয়েশিশুর মৃত্যুর হারের সূচক হচ্ছে ৪০, ২০১২ সালে ছিল ৪১, ২০১১ সালে ৪৩, ২০১০ সালে ৪৩ এবং ২০০৯ সালে সূচক ছিল ৪৮। এদিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে কিছুটা বেড়েছে। এ হার দাঁড়িয়েছে বার্ষিক ১.৩৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ১.৩৬ শতাংশ, ২০১১ সালে ছিল ১.৩৭ শতাংশ, ২০১০ সালে ছিল ১.৩৬ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ছিল ১.৩৬ শতাংশ। দেশে সাক্ষরতার হারও বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার (১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব মানুষ) মোট ৬১ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৬০.৭ শতাংশ, ২০১১ সালে ৫৮.৮ শতাংশ, ২০১০ সালে ৫৮.৬ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ছিল ৫৮.৪ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৬৫.১ শতাংশ এবং নারীর ক্ষেত্রে সাক্ষরতার হার ৫৬.৯ শতাংশ। সে হিসেবে এখনও নারীরা পিছিয়ে রয়েছেন।
 

Top

আজমির শরিফের মাজারে চাদর দিলেন ওবামা

ভারতের আজমিরে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন হাসান চিশতির মাজারের জন্য একটি চাদর উপহার দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মাজারে ৮০৩তম ওরস উপলক্ষে তিনি এটি দিয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
সোমবার (আজ) থেকে সপ্তাহব্যাপী ওই ওরস শুরু হতে যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে ওবামার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চাদরটি চিশতি ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাজি সৈয়দ সালমান চিশতির কাছে তুলে দেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ভের্মা। ওই অনুষ্ঠানে দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মঈনুদ্দীন চিশতির ২৭তম বংশধর হাজি চিশতি।
সোমবার ওরসের উদ্বোধনী দিনে লাল জামিনের ওপর এমব্রোয়েডারি করা ওই চাদরটি খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির মাজারের ওপর বিছিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাজি সালমান চিশতি।
এই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের কোনো দেশের সরকার প্রধান আজমির শরিফের মাজারের জন্য চাদর দিলেন। এর আগে পাকিস্তান এবং শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধান এবং অন্য নেতারা মাজারে চাদর দিয়েছেন।
 

Top

বিবাহবিচ্ছেদে ‘হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে’


বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বাড়ে। নারীদের বেলায় ঝুঁকিটা আরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি গবেষণায় এসব ইঙ্গিত মিলেছে। খবর বিবিসির।
১৫ হাজার ৮২৭ ব্যক্তির ওপর চালানো গবেষণাটির ফল প্রকাশিত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান-বিষয়ক সাময়িকী সার্কুলেশন-এ। এতে বলা হয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।
১৯৯২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গবেষণাটি চালান নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। অংশগ্রহণকারীদের প্রতি তিনজনে একজন এই সময়ের মধ্যে অন্তত একবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান। দেখা যায়, অন্তত একবার বিচ্ছেদ ঘটানো নারীদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বিবাহিতদের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। একাধিকবার বিচ্ছেদ ঘটানো নারীদের বেলায় তা ৭৭ শতাংশ। আর পুরুষের ক্ষেত্রে হার যথাক্রমে ১০ ও ৩০ শতাংশ। আবার বিয়ে করলে নারীদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির সামান্যই উন্নতি হয়। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
গবেষকেরা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের কারণে যতটা হৃদ্রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়, তার সঙ্গে এটার তুলনা করা যায়।


 

Top
 

নারীকে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে: স্পিকার
 

শোষণহীন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নীতিমালায় থাকলেই চলবে না। জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট তৈরির মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে জেন্ডার সমতা সৃষ্টি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ভবনের প্রেস্টন অডিটোরিয়ামে রোববার ‘পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক অন দ্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আইএমই’ আয়োজিত ‘গোবাল পার্লামেন্টারি কনফারেন্স জেন্ডার ইক্যুইলিটি অ্যান্ড উইমেন রাইটস ইন দ্য পোস্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্পিকার বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ ঘোষিত দারিদ্র্য নিরসন ও উন্নয়নে অংশগ্রহণ এই ¯োগান বাস্তবায়নে নারীকে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তিনি বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়নসহ পৃথিবীর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ পৃথিবীর সব দেশের সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করতে হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ১০০টি দেশের উপস্থিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, মুহিবুর রহমান মানিক, সানজিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।
 

Top

ক্যান্সার জয়ের প্রত্যাশা


বিজ্ঞান আগাইয়াছে বিপুল বিক্রমে। তবে বিজ্ঞানের একটি শাখা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বোধ করি বুঝাইয়া দেয় বিজ্ঞান কোনো কোনো ক্ষেত্রে এখনও শত যোজন দূরে পড়িয়া রহিয়াছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন টিকা ও অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হইয়া জীবাণুঘটিত কারণে মহামারীর লাগাম টানা বহুলাংশে সম্ভবপর হইয়াছে বটে। কিন্তু আরও অসংখ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসাবিজ্ঞান বড়ই অসহায়। হঠাৎ হঠাৎ নূতন জীবাণুর প্রাদুর্ভাবে (যেমন, ইবোলা) বিজ্ঞানীরা নাস্তানাবুদ হইলেও অজীবাণুঘটিত রোগের প্রকোপও সামান্য নহে। ইহার মধ্যে ক্যান্সার রহিয়াছে মারণঘাতির সরণির চূড়ায়। বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী ‘ল্যান্সেট’ কিছুদিন পূর্বে জানাইয়াছে-এই উপমহাদেশে ফি বৎসর গড়ে ১০ হইতে ১২ লক্ষাধিক মানুষের ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। ‘ল্যান্সেট’-এর আশঙ্কা যে, ২০৩৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হইবে।
ক্যান্সার কতোটা জীবনহন্তারক এবং সংসার বা পরিবারের বিপর্যয় ডাকিয়া আনিতে পারে, তাহা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। ক্যান্সারনির্ণয় এবং মৃত্যুর মধ্যবর্তী পর্বটিই বা কী রকম যন্ত্রণার- তাহা সহজেই অনুমান করা যায়। দেখা গিয়াছে, এই রোগনির্ণয়ের পরে মাত্র ৩০ শতাংশ রোগী পাঁচ বৎসরের বেশি সময় বাঁচিতে পারেন। ক্যান্সার সমপূর্ণ নিরাময়ের চাবিকাঠিই শুধু অধরা নহে, এই রোগের উৎস লইয়াও নিশ্চিত বলা এখন অবধি কঠিন। আর বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই রোগের মূল সংকট তৈরি করিতেছে চিকিৎসাব্যবস্থার অপ্রতুলতা। আবার চিকিৎসা পাওয়া গেলেও তাহা বিপুল ব্যয়সাপেক্ষ।
এদিকে, চিকিৎসা বিজ্ঞানেরই কিছু গবেষক জানাইয়াছেন, কিছু নিয়মনীতি মানিয়া চলিলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হইবার আশঙ্কা অনেকটাই হ্রাস পায়। একদল গবেষক ইহাও বলিতেছেন, সপ্তাহের প্রতি দিন কাজের ফাঁকে অবসর মতো যথেচ্ছ আমিষাহারই কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। অর্থাৎ, শুধু রসনা তৃপ্তিতে কবজি ডুবাইয়া মাংস পোলাও গলাধঃকরণ একসময় বুমেরাং হইতেই পারে। ভাজায়, পোড়ায়, চচ্চড়ি, ঝালে ঝোলে অম্বলে যেখানেই তিলমাত্র রসনাতৃপ্তির অধিক সম্ভাবনা, সেখানেই লোভের জিভ সরসর করে। সপ্তাহান্তে এক দিন যথেচ্ছ আমিষাহার করিলে এমন কী হইবে-এইরূপ মানসিক ঔদাসীন্যের ছিদ্রপথ দিয়াও বাসা বাঁধিবার সুযোগ পাইতে পারে কর্কট বীজাণু। তবে শুধু কোলোরেক্টাল নহে, অতিতৃপ্তির স্বাদ-গন্ধ-ঈপ্সার হাত ধরিয়া হূদযন্ত্রের প্রধান প্রধান প্রবাহনালীতে যে চর পড়তে থাকে, তাহার কারণও রসনার জন্য অতিতৃপ্তিদায়ক খাদ্যদ্রব্যকে সংযমের চোখ দিয়া না দেখা।
তাহার মানে এই নহে যে, যথেচ্ছ আমিষাহার ব্যতীত রসনার তলে পড়িয়া থাকিবে স্বাদ-গন্ধহীন পানসে খাবার মাত্র। পুষ্টিকর, কিন্তু কর্কটকে দূরে রাখে, হূদযন্ত্রের ধমনী পথে চুপিসারে বাসা বাঁধে না-এইরূপ খাদ্যদ্রব্যও অনেক রহিয়াছে যাহা স্বাদেগন্ধে তৃপ্তিতে অতুলনীয়। কর্কটকে অর্গল খুলিয়া দেওয়ার প্রবণতা পরিহারের সার্থক চেষ্টা করিতে হইবে বৈকি। সেই কাজটি করিতে জীবনযাপনে ন্যূনতম দায়িত্ববোধ রাখিতে হইবে নিজের জীবন ও পরিবারের স্বার্থেই।
 

Top

ভোট কারচুপির অভিযোগ তদন্ত চায় জাতিসংঘ ও ইইউ


ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। এদিকে নির্বাচনে ভোট কারচুপিসহ অনিয়ম ও সহিংসতার অভিযোগ যথাযথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করে বিএনপি।
গত ২৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিএনপি ভোট বর্জনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অবগত আছেন। একই সঙ্গে বান কি মুন ভোট কারচুপির সব অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্তের এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব রাজনৈতিক দলকে নিজেদের মত তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
মুখপাত্র আরও বলেন, বর্তমান সমস্যা শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমাধানের জন্য সব রাজনৈতিক নেতার প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ব্রাসেলস থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে সিটি নির্বাচনে ভোটারদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। আন্তর্জাতিক মহল শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানালেও ভোট কারচুপি ও সহিংসতা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ আশা করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং সহিংসতা বন্ধে সব রাজনৈতিক পক্ষ গঠনমূলক পথে অগ্রসর হবে।

 

Top


বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হিন্দু শরণার্থীদের পুনর্বাসন করবে ভারত


বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীদের পুনর্বাসনে শিগগিরই একটি আইন পাস করার সম্ভাবনা রয়েছে ভারত সরকারের। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাকিস্তানের দৈনিক দ্য নেশনের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী অরুন জেটলি, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গাড়কারি, রবি শঙ্কর প্রসাদ এবং ভেঙ্কাইয়া নাউডু। এছাড়া ছিলেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ, দলের সদস্য রামলাল এবং আরএসএস কর্মকর্তা কৃষ্ণগোপাল। সূত্র জানিয়েছে, আরএসএসের জোরাজুরিতেই ইস্যুটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি সদস্য বলেন, দল এবং সংঘ পরিবারের (আরএসএস) কাছে ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এ বিষয়ে সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান ও ভারত থেকে এক লাখেরও বেশি হিন্দু ও শিখ শরণার্থী ভারতে স্থান পরিবর্তন করেছে। নানা কারণে তারা ভারতে স্থানান্তর হয়েছে। এগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের দ্বারা নিপীড়ন একটি কারণ। প্রতি বছর এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে। এসব শরণার্থীকে ভারতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি ভিসায় তারা ভারতে যান, পর্যায়ক্রমে যার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। শরণার্থীদের সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়ে আসছে। যোধপুর, জয়সলমির, বিকান ও জয়পুরের মতো শহরগুলোতে প্রায় ৪০০ পাকিস্তানি শরণার্থীর বসবাসের স্থাপনা রয়েছে। আর বাংলাদেশে থেকে যাওয়া হিন্দু শরণার্থীরা প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে বাস করে। আরএসএস এসব শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য কয়েক বছর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সুরক্ষা করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব বলে আরএসএস দাবি জানিয়েছে।
 

Top

যৌন হয়রানি রোধে আইন ও সামাজিক প্রতিরোধ জরুরি


সমাজে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির অপরাধগুলোকে লঘুভাবে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের মানসিকতার কারণে নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নারীকে হয়রানির বিষয়টি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তাই নারীর প্রতি যৌন হয়রানি রোধে আইনের পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ জরুরি হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার কাওরানবাজারে দৈনিক ইত্তেফাক কার্যালয়ে পাক্ষিক অনন্যা আয়োজিত ‘নারীর জন্য নিরাপদ নগরী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন পাক্ষিক অনন্যা’র সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় আমি দারুণভাবে ক্ষুব্ধ। আমি মনে করি, দেশে শক্ত প্রশাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত না। রাষ্ট্র যদি চাইতো তাহলে একটিও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটতো না। তিনি বলেন, দেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু মানবিক গুণাবলীতে ধস নেমেছে। নৈতিক এ অবক্ষয়ের জন্য তিনি রাজনৈতিক সিস্টেমকে দায়ী করেন। তাঁর মতে, অপরাধী জানে যে, সহসা তাদের শাস্তি হবে না; ফলে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য অধ্যাপক পারভীন হাসান আক্ষেপ করে বলেন, ৪০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি; এখন মনে হচ্ছে সবকিছু বিফলে যাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু পাঠ্যবইয়ের উপর প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলো খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। নারী নির্যাতন বৃদ্ধির জন্য অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবও দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
দৈনিক ইত্তেফাক-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, একজন নারী যৌন হয়রানির শিকার হলে তার মনে যে ট্রমা বা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়, তা সে কাউকে বোঝাতে পারে না। ঐ নারী মানসিকভাবে কতটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তা সমাজকে উপলব্ধি করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের নৈতিকতা শিক্ষার ক্ষেত্রেও গাফিলতি রয়েছে। মানুষের প্রতি মানুষের যে সম্মান, তা নষ্ট হচ্ছে। ধর্মান্ধতা আমাদের চেপে ধরেছে। এর জন্য প্রচলিত রাজনীতিও অনেকাংশে দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, যে অপরাধগুলো করতে কোনো ধরনের অস্ত্র লাগে না সে ধরনের অপরাধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। পহেলা বৈশাখের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সাধারণ দর্শনার্থীসহ সকলকে স্ক্যানিং করে ক্যাম্পাস চত্বরে প্রবেশ করিয়েছে। তারপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাই নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি পহেলা বৈশাখের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, এটি কেবল নারী নির্যাতন নয়; এটি প্রগতিশীলতার প্রতি বড় আঘাত। এ ধরনের ঘটনাগুলো নারীর অগ্রগতির জন্য অন্তরায়। একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা বলেন, পহেলা বৈশাখে যে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটা এক ধরনের সন্ত্রাসী হামলা। বাঙালি সংস্কৃতিতে নারীর যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তা বন্ধ করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর নারীদের আরও সোচ্চার হতে হবে। তাঁর মতে, অনেক ক্ষেত্রে নারীর উপর নির্যাতনের বিষয়টি সমাজ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিচ্ছে। এ কারণেও সমাজে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিস সৈকত, আইনজীবী ফারিয়া হোসেন, এক্টিভিষ্ট নাহিদা সুলতানা, প্রকৌশলী তিষিয়া নাশতারান, লেখক আঁখি সিদ্দিকা, সাংবাদিক ফাতেমাতুজ জোহরা, সাংবাদিক বাশার খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস সানী, শিক্ষার্থী ইনজামুল হক, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
 

Top

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার মাসিক সভা ১০ এপ্রিল ২০১৫ইং সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল প্রেসকাব ভবনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা কমিটির সদস্য-সদস্যরা, সকল উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি এম এ ছাত্তার উকিলের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক কাজী তাজউদ্দিন আহমেদ রিপন। সভায় বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ সামছুল আলম, অ্যাডভোকেট মোঃ শাহানশাহ সিদ্দিকী মিন্টু, রোজিনা মফিজ খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসরীন জাহান খান বিউটি, কোষাধ্য সুব্রত চন্দ জয়দেব, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল বাসার বাবুল, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ শরিফুজ্জামান খান মহব্বত, ঘাটাইল উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ এমদাদুল হক খান হুমায়ুন, কালিহাতী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহ আলম, বাসাইল উপজেলা কমিটির সভাপতি ওহিদুল ইসলাম মোস্তফা, গোপালপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ, কে, এম, শাহজাহান গিনি, ধনবাড়ি উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য মোঃ মোজাম্মেল হোসেন খান, সদস্য মর্জিনা আকতার, শামছুজ্জামান, মোমিনুর রহমান মোমিন,টাঙ্গাইল পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহানুর রহমান (শাহীন), যুগ্ম সম্পাদক মো. আলমাস মিয়া প্রমুখ।
সভায় মির্জাপুর উপজেলা কমিটির কার্যক্রম আরো গতিশীল করার ল্েয একটি উপ কমিটি গঠন করা হয় এবং আগামী সাত দিনের উক্ত কমিটি মির্জাপুর উপজেলা কমিটি পূর্নরগঠন করবেন বলে সিদ্ধান্ত গ"হীত হয়। এছাড়া প্রতি মাসের পাঁচ তারিখে বিকেল চার ঘটিকায় জেলা শাখার সকল সদস্য, সকল উপজেলা ও পৌর শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শাখার মাসিক সভা করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 

Top

দরিদ্র শিশুদের মাঝে পোশাক বিতরণ


সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্র প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের গভর্নর মাহাম্মদ বিন রাশেদ আল-মাকতুমের অর্থায়নে আমিরাত রেড ক্রিসেন্ট-এর ব্যবস্থাপনায় এবং ঢাকাস্থ আমিরাত দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পড়ুয়া ৫০ হাজার দরিদ্র শিশুর মাঝে বিনামূল্যে পোশাক বিতরণ করা হচ্ছে। ঢাকাস্থ আমিরাত রাষ্ট্রদূত ড. সাঈদ বিন হাজার আশ-শাহহী প্রধান অতিথি হিসেবে শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ৫০ শিশুর মাঝে পোশাক বিতরণের মাধ্যমে এ কর্মসূিচর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি-কেজেআরসির মহাপরিচালক ড. গাজী মো. জহিরুল ইসলাম। কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ কমিটি- কেজেআরসি, বাংলাদেশ অফিস এতে সহায়তা প্রদান করছে।
 

Top

কর্মজীবী নারীদের পরিবহন সংকট

বাংলাদেশে নারী শিক্ষার হার ক্রমশ বাড়িতেছে। সেই সঙ্গে বাড়িতেছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যাও। রাজধানী ঢাকায় তাহাদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু অফিস-আদালতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাহারা সীমাহীন বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়েন। চাকুরি ছাড়াও নানা সময় নানা প্রয়োজনেও ঘরের বাহিরে নারীর দীপ্ত পদচারণা বাড়িতেছে। কিন্তু ঘরের বাহিরে আসিয়া তাহারা নূতন নূতন বাস্তবতা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হইতেছেন। তাহারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করিতে পারিতেছেন না। ইহার অন্যতম কারণ পরিবহন সংকট। এই সংকটেরও আছে নানা মাত্রা। প্রথমত মহিলা বাসের সংখ্যা অপ্রতুল। তাহা সব সময় পাওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত নারীদের জন্য সাধারণ বাসে সংরক্ষিত আসনের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। অনেক সময় তাহা হইয়া পড়ে বেদখল। তাহাছাড়া অফিস টাইমে ও ব্যস্ত সময়ে অনেক সাধারণ বাসেই নারীদের ঠাঁই হয় না। বাসে তুলিতেই হেল্পার-ড্রাইভাররা অনীহা প্রকাশ করেন। তাহাদের যুক্তি হইল, নারীরা পুুরুষের পাশাপাশি দাঁড়াইয়া যাইতে পারেন না। তাহারা উঠিতে-নামিতে সময় নেন বেশি ইত্যাদি। তৃতীয়ত পৃথক মহিলা বাস সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বলিয়া দাবি করা হইতেছে। তাহার মানে এই নয় যে, চাহিদা নাই। এই ক্ষেত্রে নারীদের অসচেতনতাকেও দায়ী করিতেছেন কেহ কেহ।
নারীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করিয়া বি আরটিসি ১৯৯০ সালে প্রথম ঢাকা শহরে দুইটি রুটে মহিলা বাস সার্ভিস চালু করে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে তাহা লাভজনক হয় নাই। এই যুক্তি দেখাইয়া মাত্র আট মাস পর তাহা বন্ধ করিয়া দেওয়া হয়। ইহা আবার চালু হয় ২০০১ সালের ২৫ অক্টোবর। তবে গত শনিবার ইত্তেফাকে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত এক রিপোর্টে বলা হইয়াছে যে, বর্তমানে তালতলা-গুলিস্তান-মতিঝিল রুটে ২টি, রায়েরবাগ-গুলিস্তান-মতিঝিল রুটে ১টি, মিরপুর১২-ইডেন কলেজ-মতিঝিল রুটে ৪টি এবং পাগলা-গুলিস্তান-মতিঝিল রুটে ১টি করিয়া মহিলা বাস চলাচল করিতেছে। ইহাতে বাসের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮। এই বাসগুলি দিনে দুই শিফটে চলাচল করে। তবে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বি আরটিসি) চেয়ারম্যানের বক্তব্য মতে, ‘রাজধানীর ১৪টি রুটে মোট ১৪টি বাস নারীদের জন্য চালু রয়েছে। আমরা অনেক লোকসান দিয়েও নারীদের সুবিধার কথা ভেবে এই বাসগুলি চালু রেখেছি। কিন্তু আশানুরূপভাবে ওইসব গাড়িতে নারী যাত্রীদের উঠতে দেখা যায় না।’ বলাবাহুল্য, তাহার এই বক্তব্যকেও আমাদের আমলে নিতে হইবে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশে লেবারফোর্স সার্ভে করে। তাহাতে দেখা যায়, ২০০২-০৩ সালে শ্রমবাজারে নারীর উপস্থিতি যেইখানে ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ, তাহা ঐ বৎসরে আসিয়া দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। পাঁচ বৎসরের মাথায় বর্তমানে তাহা আরও বাড়িবারই কথা। বিশেষত শহরে-নগরে এই কর্মজীবী নারীদের বহুমাত্রিক বিড়ম্বনা ও সমস্যার কথা এখন অনেকেরই অজানা নহে। তন্মধ্যে আবাসন ও উপরোক্ত পরিবহন সংকটই তাহাদের পথচলায় বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিতেছে। সরকারকে এই বিষয়গুলি গভীরভাবে ভাবিয়া দেখিতে হইবে। নিতে হইবে কার্যকর পদক্ষেপ। এইজন্য বি আরটিসির মহিলা বাস সার্ভিসের রুট ও শিফট বাড়ানোসহ সার্ভিসের মানোন্নয়নও দরকার। দরকার বেসরকারি খাতে মহিলা বাস সার্ভিস চালু করিতে উৎসাহিত করা। কর্মজীবী নারীদেরও উচিত নিজেরা সংগঠিত হইয়া তাহাদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলিয়া ধরা এবং তাহাদের জন্য পরিচালিত বাস কিভাবে লাভজনক করা যায় তাহা নিয়া চিন্তা-ভাবনা করা। বি আরটিসির নিকট হইতে বাস লিজ নিয়াও তাহারা নিজেরা তাহা পরিচালনা করিতে পারেন। বস্তুত চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্যতা প্রতিষ্ঠিত না হইলে কোন সার্ভিস যথার্থভাবে টিকিয়া থাকিতে পারে না।
 

Top

মেকআপ বুদ্ধি কমায়!


গর্ভধারণের পুরো সময়টাই নারীদের নানা সাবধানতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ঝুঁকি এড়াতে সাবধানে চলাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়া করতে হয় হবু মায়েদের। তাদের সবসময় এটা মাথায় রাখতে হয়, কোনো সিদ্ধান্ত শুধু তার একার নয়, গর্ভের শিশুর ওপরও প্রভাব ফেলবে। তাই বলে সাজগোজ করার আগেও যে ভাবতে হবে, তা কি কেউ ভেবেছেন হবু মায়েদের আর সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থার সঙ্গে এ বিষয়টিও জুড়ে দেওয়ার সময় এসেছে। কারণ, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, গর্ভবতীরা মেকআপ ব্যবহার করলে শিশুর বুদ্ধি কম হয়। মেকআপে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিকের প্রভাবেই এমনটা হয় বলে জানান তারা। নিউইয়র্কের গবেষকরা চার ধরনের রাসায়নিকের অস্তিত্ব পেয়েছেন চুল শুকানোর যন্ত্র, নেল পলিশ, লিপস্টিক, হেয়ার স্প্রে এবং বিভিন্ন সাবানে।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা এ বিতর্কিত গবেষণায় দেখান, প্রসাধনসামগ্রীতে ব্যবহৃত মানুষের তৈরি এ রাসায়নিকগুলো গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এমনকি জন্মের পর শিশুর বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ধাপ কমিয়ে দিতে পারে! নিউইয়র্কের ৩২৮ জন মা ও তাদের সন্তানের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা দেখেন, প্রসাধন ব্যবহারকারী মায়েদের শতকরা ২৫ ভাগের শিশুর আইকিউ স্বাভাবিকের চেয়ে কম। শিশুর বুদ্ধির বিকাশে মায়ের বুদ্ধিমত্তা এবং পারিবারিক পরিবেশের অবদানের কথাও স্বীকার করেছেন তারা। তবে এর পরই মেকআপের রাসায়নিকের প্রভাবের অবস্থান বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
শুধু প্রসাধনসামগ্রীই নয়, পিভিসি দরজা, পর্দা, এমনকি গাড়ির ড্যাশবোর্ড তৈরিতেও আজকাল এ উপাদান ব্যবহার করা হয়। মানবসৃষ্ট এসব রাসায়নিক শিশুর পাশাপাশি মায়ের শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। এদের সূক্ষ্ম কণা খাবার এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে দেহে ঢুকে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিষেধ সত্ত্বেও নামিদামি কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে এসব উপাদান ব্যবহার করছে। তাই প্রসাধন ব্যবহারের আগে এতে কী কী রাসায়নিক আছে, তা দেখে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এ গবেষণাটি পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স ওয়ান নামক অনলাইন জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে।
 

Top

 




 

নারী ও শিশু সংবাদ



 

চান্দিনায় পুলিশের বর্বরতার শিকার বৃদ্ধা



দুই ব্যক্তির নাম এক। কিন্তু ঠিকানা ভিন্ন। ভুল তথ্যের কারণে মামলার প্রকৃত আসামির পরিবর্তে কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুটি নিরপরাধ পরিবার। মধ্যরাতে পুলিশের তাণ্ডবে দুই পরিবারের তিন নারীসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হন। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা গ্রামের নয়াবাড়ির মাফিয়া বেগম (৫৫) এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ডান হাতে ৪টি এবং ডান চোয়ালে একটি গুলি লাগে। মাফিয়া বেগম পরচঙ্গা গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী। পুলিশের নির্বিচার পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়েছেন মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম। আসামি গ্রেফতার অভিযানের নামে পরচঙ্গা গ্রামে পুলিশের বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হন তারা। গুলি চালান চান্দিনা থানার এসআই মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গীয় ফোর্স। গত ২৫ এপ্রিল রাতে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চান্দিনা উপজেলার গলাই ইউনিয়নের কেশেরা গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কিš‘ সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শনিবার রাতে চান্দিনা থানার এসআই মামুনের নেতৃত্বে থানা পুলিশ একটি মাইক্রোবাসে কেশেরা গ্রামের পরিবর্তে মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান রাত পৌনে ১২টার দিকে।
সে রাতে পরচঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের নিরীহ ও নিরপরাধ কৃষকের ওপর বর্বরোচিত অত্যাচার চালায় পুলিশ। কৃষকের ঘরের দরজা ভেঙে তাকে চৌকি থেকে টেনে মেঝেতে ফেলে কাঠের টুকরা ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। বুট জুতা দিয়ে তাকে লাথি মারেন এসআই মামুন, এএসআই রূপমসহ সঙ্গীয় পুলিশ কনস্টেবলরা। তাকে রক্ষা করতে গেলে পুলিশের আঘাতে আহত হন শহিদুলের স্ত্রী রফেজা খাতুন (৪০) ও ছোট ভাই মফিজুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৬)। এ ছাড়া পুলিশের গুলিতে একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আবুল হাশেমও (৪২) আহত হন।
পুলিশের গুলিতে আহত মাফিয়া বেগমের ছেলে জসিম উদ্দিন ও আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের মায়ের কোনো অন্যায় না থাকলেও পুলিশ তার ওপর গুলি চালিয়েছে। ২৫ এপ্রিল রাতেই তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশের নির্যাতনের শিকার শহিদুল ইসলাম জানান, আইনের লোক পরিচয়ে অনেক সময় ডাকাতি হয়। সেই রাতে পুলিশ আমাকে দরজা খুলতে বলে। একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করতে থাকে। পরে এএসআই রূপমসহ আরও এক গাড়ি পুলিশ আসে। সবাই মিলে আমাকে চৌকি থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে।
এ প্রসঙ্গে মহিচাইল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম রুহুল আমিন ও ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন সরকার জানান, আমরা ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে যাই। এসআই মামুনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদের কোনো কথা না শুনেই শহিদুল ইসলামকে আরও মারধর করতে থাকেন। তাকে টেনে মাইক্রোবাসে তোলেন। ততক্ষণে শহিদুল ইসলামের চিৎকারে গ্রামবাসী সেখানে এসে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে দু’জন আহত হন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রামপুলিশ আমাদের ভুল তথ্য দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাক্রমে উত্তেজিত জনতাকে দূরে সরাতে একজন কনস্টেবল গুলি চালান। এ সময় তিনি ঘটনাটি নিয়ে রিপোর্ট না করার অনুরোধ জানান।
চান্দিনা থানার ওসি রসূল আহমদ নিজামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে মীমাংসা করেছি। ওই নারীর চিকিৎসার খরচ আমি বহন করব বলে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।

Top


শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন


মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, জাতির আগামী দিনের কর্ণধার আজকের শিশু-কিশোররা। তাদের সুনাগরিকের গুণাবলী অর্জন করে দেশপ্রেমিক ও চরিত্রবান, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও সংস্কৃতিবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে আমাদের। সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর আসরের দুদিনব্যাপী ‘জাতীয় সম্মেলন-২০১৫’ এর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনÑ সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চাই। সোনার মানুষ বলতে তিনি সৎ, যোগ্য, চরিত্রবান ও মেধাবীদের বুঝিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা তাদের আচার-আচরণ, চিন্তা-কর্ম ও জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে আমার আশা।
সূত্র জানা যায়, দুদিনব্যাপী সম্মেলনে সারা দেশের ৪০টি জেলা ও আঞ্চলিক কমিটি এবং প্রায় ৪০০টি শাখা আসরের ১ হাজার প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষক ও ২ হাজার শিশু-কিশোর ও দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরা অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়া অংশ নিচ্ছেন সর্বভারতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘সব পেয়েছি’র আসরের ছয় সংগঠক।
Top

কেন্দুয়ায় যৌতুকের বলি নববধূ নার্গিস


নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় নার্গিস আক্তার (১৯) নামে এক নববধূ বিয়ের ২৬ দিনের মাথায় যৌতুকের বলি হয়েছেন। স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে স্বামীর বাড়ির উঠান থেকে নববধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ নার্গিসের স্বামী হাবিবুর রহমান হবি, শ্বশুর আব্দুস ছাত্তার ও শাশুড়ি নূরবানুকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, উপজেলার রায়পুর পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের মধ্যপাড়ার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান হবির ২৬ দিন আগে বিয়ে হয়। নার্গিসের বাবা আবুল কালাম জানান, বিয়ের সময় ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্রসহ ১ লাখ টাকার যৌতুক দেন। কিন্তু বিয়ের পর নার্গিসের স্বামী হবি নার্গিসকে আরো টাকা এনে দিতে নানাভাবে নির্যাতন শুরু করে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে নার্গিস কয়েকদিন আগে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরে নার্গিসের শ্বশুর ও শাশুড়ি ফের তাকে নিয়ে যায়। ২৭ এপ্রিল ২০১৫ রাতে স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নার্গিসের ঝগড়া হয়। ২৮ এপ্রিল সকালে নার্গিসের ভাশুর নূরুল আমীন তাকে নার্গিসের মৃত্যুর খবর জানায়। এ ঘটনায় তিনি নার্গিসের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরের নামে কেন্দুয়া থানায় যৌতুক আইনে মামলা করেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব জানান, নার্গিস খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নার্গিসের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নেত্রকোনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, নববধূ নার্গিসকে শ্বাসরুদ্ধ করেই হত্যা করা হয়েছে।
 

Top

 

মরণ নেশায় আসক্ত পথশিশু জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে


রাজশাহীতে ছিন্নমূল শিশুর সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এদের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে বাস করে ১৪ হাজার। বাকি ৬ হাজার শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন পথশিশু। তাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। বিভিন্ন ধরনের সস্তা নেশায় আসক্ত এসব পথশিশু প্রাপ্তবয়স্ক হলে জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধে। রেলস্টেশনের সামনে গেলেই এদের চোখে পড়ে। ছেঁড়া জামা-প্যান্ট পরে একত্রে সাত থেকে আট শিশু একসঙ্গে বসে থাকে। অর্থ রোজগারে অপেক্ষা করে ট্রেনের জন্য। স্টেশনে ট্রেন এলে তাদের ব্যস্ততা বাড়ে। অন্য সময় অলস আড্ডা দেয়। তাদের নাম আছে তবে পরিচয় নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব পথশিশু বিভিন্ন ধরনের মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। স্টেশনে থামা ট্রেন যাত্রীদের মালামাল বহন করে যে টাকা আয় করে তা দিয়েই তারা মাদক সেবন করে। রাজশাহীর রেলস্টেশন, কোর্ট রেলস্টেশন, বহরমপুর, সাহেববাজার, শিরোইল কলোনি এলাকাগুলোতে পথশিশুরা বাস করে। এদের বয়স ৮ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করায় ছোট থেকেই এরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে এসব পথশিশুর লেখাপড়া থেকে শুরু করে মান উন্নয়নে নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থা।
এ পথশিশুদের জন্য আগে ইউনিসেফ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন কাজ করলেও এখন আর কোনো সংগঠনই কাজ করে না। যার কারণে যতদিন যাচ্ছে এসব শিশু আরও বেশি বিপথগামী হয়ে উঠছে। এর ফলে শুধু এসব পথশিশুরাই নয়, সামাজিক ব্যবস্থাও পড়ছে হুমকির মুখে। নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে তারা অপরাধ কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে। রেলস্টেশনে থাকা ১২ বছরের রুবেল (ছদ্মনাম) বাড়ি কোথায় জানে না। নিরিবিলি এক জায়গায় ধূমপান করছিল। বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে সে জানায়, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে স্টেশনকেই বাড়ি হিসেবে দেখেছে। বাবা-মা কে জানে না। স্টেশনে সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৫টি ট্রেন থামে। ওইসব ট্রেনে কুলির কাজ করে। দিনে সব মিলিয়ে তার আয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। নেশার প্রসঙ্গে রুবেল জানায়, যখন যা পাওয়া যায় তা দিয়েই নেশা করে। নেশার জন্য প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ হয়। পথশিশুদের মধ্যে মাদকের সমস্যাটি মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছে। দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে পথশিশুদের ভাগ্যোন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ জরুরি প্রয়োজন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান, বস্তি এলাকার স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য রাসিক স্যানিটেশনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বস্তি এলাকাগুলোর পরিবেশের উন্নয়ন করা হলে মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।




 

Top
 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


পুলিশে পদোন্নতি


সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পদোন্নতি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রশাসনে, সুশাসনে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এটি সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি স্বীকৃতিও বটে। যিনি পদোন্নতি পান স্বভাবতই তিনিসহ তার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব, স্বজন- সবাই কমবেশি আনন্দিত হন। সেটাই নিয়ম। যেমনটি বলেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্বাধীনতা পদক ও ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মভূষণ পাওয়ায় তাকে দেয়া এক সংবর্ধনা সভায়। তিনি বলেছেন, সবাই খুশি হলে পুরস্কারের মূল্য বেড়ে যায়। পুরস্কার পেলে দায়িত্বও বেড়ে যায়। একই কথা পদোন্নতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পদোন্নতি পেলেও দায়িত্ব বাড়ে। বাড়তি সে দায়িত্ব কেবল উন্নীত পদের কার‌্যাবলীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, প্রাপ্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের সঙ্গে তা রক্ষা করা, অর্থবহ করে তোলা, সর্বোপরি তাকে সার্থক করার ক্ষমতাও অর্জন করতে হয়।
জনপ্রশাসনের পদোন্নতির পর এবার পদোন্নতি দেয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। অতিরিক্ত ডিআইজি ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মর্যাদার ১৩৪ জন কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে পদোন্নতি। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে এ পদোন্নতির প্রস্তাব ঝুলে ছিল। কয়েক দফা মূল্যায়ন, পুনর্মূল্যায়নের পর এ ঘোষণা এসেছে। গত বছর ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি (ডিপিসি) ৩টি পদে ১৮০ জনকে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেয়। নানা যাচাই-বাছাই, অবজারভেশনসহ সংযোজন-বিয়োজনের পর ১৩৪ জনকে পদোন্নতি দেয়া হলে বাদ পড়া ৪৬ জন অসন্তুষ্ট বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে। পদোন্নতি-বঞ্চিতরা দাবি করেছেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা এর আগে বাংলাদেশ পুলিশে ঘটেনি। পদোন্নতি নিয়ে অসন্তোষ জনপ্রশাসনেও দেখা গেছে। বস্তুত পদোন্নতিজনিত অসন্তোষ নিয়মতান্ত্রিকতায় বিঘ্ন ঘটায়। সেটা কারোই কাম্য নয়। জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে পদোন্নতিজনিত অসন্তোষ হয়-তো সৃষ্টি হতো না যদি যথাযথ কর্মদক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে তা হতো। শরীরে যেমন রোগ বয়ে বেড়ানো অনুচিত, তেমনি জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনে অসন্তোষ জিইয়ে রাখাও কাম্য নয়। সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অসন্তোষের বিষয়টি অপনোদনের প্রয়াস নেয়া প্রয়োজন।
বস্তুত পদোন্নতির বিষয়টি অসন্তোষের নিরানন্দে নয়, সন্তোষের আনন্দে সুরাহা হওয়া উচিত। তাহলেই পদোন্নতি হয়ে উঠবে অর্থবহ এবং এতে অর্জিত হবে পদোন্নতি প্রদানের মূল লক্ষ্য তথা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আরও বেশি জনসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি। আমরা আশা করব, সব ক্ষেত্রেই এমনভাবে পদোন্নতি দেয়া হবে যাতে তা হবে প্রশ্নহীন, প্রশ্নবিদ্ধ নয়।
 

Top

সাজা ভোগের পরও ভারতের কারাগারে


শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫০ জন শ্রমিক ও কৃষক বিভিন্ন প্রলোভনে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে ভারতের বিভিন্ন জেলখানায় সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের ছাড়িয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্রসহ জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের প্রস্তুতি চলছে।
দূর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু আহমেদ নজমুল কবির মুক্তা জানান, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৩০ জন ভারতের বিভিন্ন জেলখানায় বন্দী আছে। তাদের প্রায় ২০ জনের সাজা ভোগের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও উদ্যোগের অভাব এবং উপযুক্ত আইনী সহযোগিতা না পাওয়ায় ছাড়িয়ে আনা সম্ভবা হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, আমরা সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে আইনগতভাবে তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সঠিক ঠিকানা ও কারণ উল্লেখ করে প্রত্যয়ন পত্র প্রত্যেক বন্দির অভিভাবককে দিয়েছি।
ভারতের জেলখানায় বন্দী দূর্লভপুর ইউনিয়নের ১৫ রশিয়া গ্রামের রহিমের বাবা সলেমান জানান, ২০১২ সালের আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসের দিকে এলাকার এক গরু ব্যবসায়ী আমার অজান্তে আমার ছেলে রহিমকে ভারতে গরু আনতে পাঠায়। এর কয়েক দিন পর জানতে পারি সে ভারতের ইমফল প্রদেশের মনিপুর জেল খানায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার ছেলের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনো বাড়ি আসতে পারেনি।
যারা ভারতের বিভিন্ন জেলখানায় বন্দী রয়েছে তারা হলো দূর্লভপুর ইউনিয়নের ১৫ রশিয়া গ্রামের সলেমানের ছেলে রহিম, তোজাম্মেলের ছেলে সুজন, মোজাফরের ছেলে কাইউম, পিয়ালীমারী গ্রামের ইউনুসের ছেলে মিজানুর, চল্লিশরশিয়া গ্রামের আসামুদ্দিনের ছেলে আ. খালেক, পিয়ালীমারী গ্রামের উসমানের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, ৩৩ রশিয়া গ্রামের মোসারফের ছেলে আনারুল, ১২ রশিয়া গ্রামের মৃত কুদ্দুসের ছেলে মাশিরুল, এস্তাব আলির ছেলে জিয়ারুল, চাঁপাই সদরের জিয়ানগর গ্রামের নাজিরের ছেলে জাহাঙ্গীর, বিনোদপুুর ইউনিয়নের রসুনচক সাতরশিয়া গ্রামের মোহবুলের ছেলে জোহর, মনাকষা ইউনিয়নের মনাকষা গ্রামের আকালুর ছেলে আনোয়ারুল, সাহাপাড়া গ্রামের মৃত পুটুর ছেলে তোসলিম, পারচৌকা গ্রামের মৃত মন্টুর ছেলে রিপনসহ প্রায় ৫০ জন ভারতের ইমফল প্রদেশের মনিপুরসহ বিভিন্ন জেলখানায় বন্দী জীবনযাপন করছে।

 

Top
চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণকারীর যাবজ্জীবন


চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে রুহুল আমিন (২৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত। ২৭ এপ্রিল ২০১৫ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়রা জজ রমনী রঞ্জন চাকমা এই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত রুহুল আমিন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় টরকী গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বিকালে মতলব উত্তর উপজেলায় টরকী গ্রামের প্রবাসী জসিম উদ্দিন পাটওয়ারীর শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে রুহুল আমিন। ঘটনার পর শিশুর মা রুহুল আমিনের ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন ৮ আগস্ট এ ঘটনায় শিশু মা আমেনা বেগম মতলব উত্তর থানায় রুহুল আমিনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন মজুমদার ঘটনার ব্যাপক তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
 

Top

রংপুরে একজনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবন


রংপুরে স্কুলছাত্রীকে এসিড মেরে দু’চোখ অন্ধ করার দায়ে এক যুবককে ফাঁসি এবং তার দুই সহযোগীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ২২ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ রায় দেন। রায়ে নগরীর দক্ষিণ বাবুখাঁ এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলামকে (২২) ফাঁসি এবং তার সহযোগী আলাল মিয়া ও দুলাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিচারক দণ্ডপ্রাপ্তদের সম্পত্তি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা এসিড হামলার শিকার মণিকে দেওয়ার আদেশ দেন বলে জানান পিপি আবদুল মালেক।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন, রইচ উদ্দিন বাদশা প্রমুখ। দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি বাবুখাঁ এলাকায়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুর নগরীর দক্ষিণ বাবুখাঁ এলাকার
মহুবুল ইসলাম ও সুলেখা পারভীনের মেয়ে মাসুদা আক্তার মণি। বাবা মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে মণিকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন তার মা। রংপুর সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথি স্কুল ও কলেজে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত মণি। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বখাটে আরিফুল ইসলাম, আলাল, দুলাল ও তাদের সহযোগীরা মণিকে প্রেম নিবেদন করে ব্যর্থ হয়। বখাটেদের উত্ত্যক্তের বিষয়টি সে তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর তারা সুযোগ বুঝে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট রাতে মণির মুখে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্র্যাকের সহযোগিতায় তাকে ঢাকায় এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। এসিডে মণির দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
মণির মা সুলেখা পারভীন ঘটনার পরদিন বাদী হয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এসআই মকবুল হোসেন তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেন। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এসিড মারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত২২ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ এ রায় দেন।
রায়ের পর মা সুলেখা পারভীন ও মেয়ে মাসুদা আক্তার মণি আদালতপাড়ায় সাংবাদিকদের জানান, এ রায়ে তারা খুশি। তারা রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। তারা অভিযোগ করেন, দণ্ডপ্রাপ্তদের লোকজন তাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সুলেখা পারভীন জানান, স্বামী মহুবুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছিলেন তিনি। তার আশা ছিল মণিকে তিনি উচ্চ শিক্ষিত করবেন। যাতে লেখাপড়া শেষে সে ভালো চাকরি করে সংসারের অভাব দূর করতে পারে।
মাসুদা আক্তার মণি জানায়, তার চোখ দুটি এবং মুখ বিকৃত করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবুও সে লেখাপড়া বন্ধ করেনি। এখন সে সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথি স্কুল ও কলেজে ১০ শ্রেণীতে পড়ছে। তার ইচ্ছা লেখাপড়া শেষ করে বড় চাকরি করার। এজন্য সে সবার সহযোগিতা চেয়েছে। মণি জানায়, আর কোনো মেয়ের যেন তার মতো পরিণতি না হয়। এজন্য সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রায়কে ঘিরে গতকাল সকাল থেকে আদালতপাড়ায় নগরীর বাবুখাঁ এলাকার আসামি ও বাদীপক্ষ এবং নগরীর লোকজন ভিড় করতে থাকেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয় আদালতপাড়ায়।
 

Top
 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 

প্রসূতির রক্তক্ষরণ পরিমাপের নতুন পদ্ধতি


সন্তান প্রসবের সময় রক্তক্ষরণ স্বাভাবিক ঘটনা হলেও তা অনেক সময় প্রসূতির মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কিন্তু সেই রক্তক্ষরণ পরিমাপের সহজ কোনো পদ্ধতি ছিল না। এবার তা পরিমাপের পদ্ধতি বের করেছেন মো. আব্দুল কাইউম।
নতুন এই পদ্ধতির ব্যবহার মাতৃমৃত্যু কমাতে ভূমিকা রাখবে। আব্দুল কাইউম আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহযোগী বিজ্ঞানী।
প্লাস্টিক, টিস্যু পেপার আর সাদা কাপড়ের (হাসপাতালের গজ) সমন্বয়ে তৈরি একটি ম্যাটের (মাদুর) মাধ্যমে পদ্ধতিটি কাজ করে। ১৮ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ১৮ ইঞ্চি প্রস্থের ম্যাটটি প্রসবের সময় প্রসূতির কোমরের নিচে রাখা হয়। প্রসবের পর যে রক্তক্ষরণ হয়, তা এই ম্যাট শুষে নেয়। রক্তে ম্যাট কতটুকু ভিজল, তা দেখে প্রসূতির ঝুঁকি আঁচ করা সম্ভব হয়। কৌশলটি অতি সরল এবং সহজে ব্যবহার করা যায়। স্বাস্থ্যকর্মী বা দাইকে সহজে এর ব্যবহার শেখানো সম্ভব।
মো. আব্দুল কাইউম বলেন, ‘বাড়িতে প্রসবের সময় পুরোনো কাঁথা বা কাপড়ের ব্যবহার আছে। গ্রামে দরিদ্র পরিবার চট বা ছালাও ব্যবহার করে। এগুলো ব্যবহার করা হয় প্রসবের পর রক্ত মোছার কাজে। আমাদের ম্যাট দিয়ে রক্তের পরিমাণও পরিমাপ করা যাচ্ছে। এটির নাম দেওয়া হয়েছে আইসিডিডিআরবি কিউ ম্যাট।’
সর্বশেষ মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপ (২০১০) বলছে, মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ তিনটি: প্রসব-পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ (৩১ শতাংশ), একলামসিয়া বা খিঁচুনি (২০ শতাংশ) এবং বাধাগ্রস্ত বা প্রলম্বিত প্রসব (৬ দশমিক ৫ শতাংশ)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনো ৭০ শতাংশের বেশি প্রসব হয় বাড়িতে, দাইয়ের হাতে। প্রসবের পর কী পরিমাণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা অনেকেই পরিমাপ করতে পারেন না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, প্রতিটি প্রসবের পরই রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণ হয় আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত। ৫০০ মিলিলিটারের (আধা কেজি) বেশি রক্তক্ষরণ হলে তাকে বলে ‘প্রসব-পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা পোস্টপার্টেম হেমোরেজ। এটা প্রসূতির জন্য বিপজ্জনক। এত রক্ত ঝরলে শরীরে রক্তচাপ কমে যায়। অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। কিডনি, যকৃৎ, হূৎপি নিষ্ক্রিয় হতে থাকে। জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। প্রসূতিকে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। কিন্তু এটা বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়। এ দেশে হাসপাতালে নিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে অনেক মা মারা যান।
আইসিডিডিআরবি কিউ ম্যাট: প্রসবের পর কোমরের নিচে রাখা ম্যাটে রক্ত পড়তে থাকে। ৪২৭ (+/- ৪২) মিলিলিটার রক্তে পুরো ম্যাটটি ভিজে লাল হয়।
ম্যাটটির ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সায়েবা আখতার বলেন, এই ম্যাট ব্যবহার করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ পরিমাপ করা সম্ভব হচ্ছে। এই ম্যাট যদি গ্রামের দরিদ্র সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছায়, তবেই এর সুফল পাওয়া যাবে। ব্র্যাকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক কাউসার আফসানা বলেন, গবেষণায় এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ম্যাটটি গ্রামের মানুষের হাতে পৌঁছানো।
আব্দুল কাইউম জানিয়েছেন, ব্যাপক ভিত্তিতে এই ম্যাট তৈরির কাজ শুরু হয়নি। গবেষণার জন্য এ পর্যন্ত যা তৈরি করেছেন, তাতে প্রতিটির খরচ পড়েছে ৪০ টাকা।
পেছনের কাহিনি: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে ছয়জন ছাত্রের উদ্যোগে সন্ধানী রক্তদান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, মো. আব্দুল কাইউম তাঁদের একজন। তিনি নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন। প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণে ম্যাটের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ২০০৬ সালে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, আজিমপুর মা ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং মাতুয়াইলের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই গবেষণা শুরু হয়।
শুরুর দিকে ম্যাটটি ছিল দৈর্ঘ্যে ২০ ইঞ্চি ও প্রস্থে ২০ ইঞ্চি। উপকরণ হিসেবে ছিল প্লাস্টিক, ফোম ও গজ। ওই ম্যাট ৪৫০ (+/-৫৮) মিলিলিটার রক্ত শুষে নিতে পারত। পরে পরিবেশবান্ধব ম্যাট তৈরি করা হয়। যুক্ত করা হয় ভারত থেকে আনা পচনশীল প্লাস্টিক (বায়োডিগ্রেডেবল)। আর ফোমের পরিবর্তে ব্যবহূত হচ্ছে টিস্যু পেপার।
ইতিমধ্যে এই গবেষণার জন্য বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে অনুদানও পেয়েছেন আব্দুল কাউম। তিনি জানান, কম্বোডিয়া, মিসর ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাটের ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়ে যোগাযোগ করেছে। ম্যাটটি এখন একটা মানে (স্ট্যান্ডার্ড) এসেছে। তাই পেটেন্ট করার চিন্তা করা হচ্ছে।
আয়ু কমায় অতিরিক্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়াসহ স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু একজন মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ঘুমালে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প ঘুমের মতো অতিরিক্ত ঘুমও মানুষের আয়ু কেড়ে নিতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত দিনে ৮ ঘণ্টার ঘুমকে আদর্শ বলে ধরা হয়। গবেষকদের মতে, দিনে ৬ ঘণ্টার কম বা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম মানুষের আয়ু কেড়ে নিতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের কার্ডিওভাস্কুলার মেডিসিন ও এপিডেমিলজি বিভাগের অধ্যাপক ফ্রাঙ্কো কাপুচ্চি এ সংক্রান্ত গবেষণা করেছেন। ১০ বছর ধরে চালানো এ গবেষণায় ১০ লাখের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
গবেষণায় কাপুচ্চি দেখেন ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান এমন লোকদের ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো লোকের চেয়ে আগাম মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ বেশি। অপরদিকে ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো লোকদের মধ্যে এ হার ৩০ শতাংশ বেশি। আগাম মৃত্যুর এ ঝুঁকি দিনে বার কয়েক অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে মৃত্যুঝুঁকির সমান।
লাল মাংস থেকে বাওয়েল ক্যান্সার
লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস কম বেশি সবারই প্রিয়। আর এই লাল মাংস নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় হয়েছে নানা গবেষণা। বিশেষজ্ঞগণ লাল মাংসের ক্ষতি সম্পর্কে বলেছেন, অতিরিক্ত লাল মাংস অথবা প্রক্রিয়াজাত মাংস আহারে বাওয়েল ক্যান্সার হতে পারে। আর বাওয়াল ক্যান্সার হচ্ছে জীবন হরণকারী ক্যান্সারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। এছাড়া যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্স ফান্ড এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর ক্যান্সার রিসার্স বাওয়েল ক্যান্সার থেকে রক্ষার জন্য অতিমাত্রায় লাল মাংস আহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি বলেছে, প্রতি সপ্তাহে কোন অবস্থাতেই ৫০০ গ্রামের বেশি রান্না করা লাল মাংস খাওয়া যাবে না। আর বিশেষজ্ঞদের তথ্য হচ্ছে ৫০০ গ্রাম রান্না করা মাংস ৭৫০ গ্রাম র মিট বা ফ্রেশ মিটের সমান। রিপোর্টে বলা হয়, গরু, খাশি, ভেড়ার মাংস লাল মাংসের অন্তর্ভুক্ত।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
 

Top

মায়ের দুধে বাড়তি মস্তিষ্ক


মায়ের দুধ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা হলো এটা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এই উপকারিতা ঠিক কতখানি, তা সঠিকভাবে জানা নেই অনেকেরই। ফলে শিশু একটু বেশি কান্না করলেই অনেকে অস্থির হয়ে ওঠে বিকল্প খাবারের খোঁজে। কিন্তু নতুন একটি গবেষণা বলছে, এককভাবে মায়ের দুধে শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে যে ভূমিকা রাখে, তা জানার পর সচেতন কোনো মা-বাবা মায়ের দুধের বিকল্প ভাববে না, অন্তত প্রথম তিন মাস।
গবেষকরা জানান, ভাষা, আবেগ ও বোধবুদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের যে অংশ, কমপক্ষে প্রথম তিন মাস কেবল মায়ের দুধ খাওয়া শিশুর মস্তিষ্কের সেই অংশটির অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনূর্ধ্ব চার বছর বয়সী শিশুদের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম তিন মাস মায়ের দুধ খেয়েছে এবং খায়নি দুই ধরনের শিশুদের মস্তিষ্কের ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স ইমেজিং (এমআরআই) করে সমীক্ষাটি চালানো হয়।
গবেষকরা জানান, পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা কেবল মায়ের দুধ খেয়েছে তাদের মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় অন্যদের তুলনায়। এ ছাড়া যারা কেবল মায়ের দুধ খায় তাদের মস্তিষ্ক কোষের (নিউরন) ফ্যাটি লেয়ার (স্তর) গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া ‘মাইওলিনেশন’ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শিশুর মস্তিষ্কের হোয়াইট ম্যাটার টিস্যুর সঙ্গে যুক্ত নার্ভ ফাইবারগুলো লম্বা হয়। আর এর মাধ্যমেই শিশুর মস্তিষ্ক বৃদ্ধির সঙ্গে শেখার (লার্নিং) সম্পর্কটি তৈরি হয়। কিন্তু যে শিশুরা ফর্মুলা দুধ খেয়ে বেড়ে উঠেছে, তাদের মস্তিষ্কে হোয়াই ম্যাটারের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী এ গবেষণা করেন। তাঁরা একই সময়ে জন্ম নেওয়া এবং এক ধরনের পরিবারের ১৩৩টি শিশুর মস্তিষ্ক স্ক্যানিং করেন গবেষণাটি করেন। তাঁদের গবেষণাটি প্রবন্ধটি সম্প্রতি ‘নিউরলম্যাজ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের দলের প্রধান অধ্যাপক ড. সিন ডিওনি দাবি করেছেন, মায়ের দুধ খাওয়া, না খাওয়া শিশুদের পার্থক্য নির্ণয় করতে তাঁরাই প্রথমবারের মতো এমআরআই স্ক্যানিং ব্যবহার করেছেন। ড. ডিওনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে এটা স্তম্ভিত হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। কারণ উভয় ধরনের শিশুদের মস্তিষ্কে খুব অল্প দিনেই পার্থক্য লক্ষ করা গেছে। আমি মনে করি, মায়ের দুধ শিশুদের জন্য চরম উপকারী।’
 

Top

গরমে সুস্থ থাকবেন কিভাবে


হঠাৎ করে অস্বাভাবিক গরম পড়ছে। তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ফলে জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে অতিষ্ট। প্রচ গরমে শরীরের যেসব সমস্যা হয় তা হচ্ছে অত্যাধিক ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে যায়। ফলে পানি শূন্যতার কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। পাশাপাশি যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন অথবা প্রচ রোদে চলাফেরা করেন তাদের শরীর থেকে খনিজ লবণসহ পানি বের হতে পারে। তাই গরমে যাতে শরীরে পানি শূন্যতা না হয় তার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। আর তীব্র পানি শূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে খাবার স্যালাইনও খাওয়া উচিত। এতে পানি শূন্যতা দূর হওয়াসহ শরীর সুস্থ হয়। এছাড়া প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে। তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রী বা এর চেয়ে বেশি হয় তখন এ অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে প্রচ গরমে তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং রোগী অনেক ক্ষেত্রে অচেতন হতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীকে প্রথমে কোন ঠান্ডা যায়গায় নিতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে আইস বাথ অথবা বরফ পানি দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে হবে। শহর এলাকায় এসি রুমে রাখলে অবস্থার দ্রুত উন্নতি হয়। তাপমাত্রার কারণে পানি শূন্যতা দেখা দিলে অবশ্যই রিহাইড্রেট করতে হবে। রোগীকে প্রচুর পরিমাণ ঠান্ডা পানি পান করাতে হবে। প্রয়োজনে ঠান্ডা পানিতে খাবার স্যালাইন মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া মনে রাখতে হবে গরমজনিত কারণে পেটের সমস্যা, ডায়রিয়া হতে পারে। তাই পিপাসা পেলে বাইরের দূষিত পানি ও খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। সব সময় বিশুদ্ধ পানি পানের চেষ্টা করা উচিত। এমনকি দূষিত পানি থেকে তৈরি বরফও নিরাপদ নয়। পাশাপাশি যারা বাইরে রোদে বের হন তাদের ছাতা ব্যবহার করা উচিত।
 

Top

পাস্টিকের পাত্র রক্তচাপ বাড়ায়


গৃহস্থালি কাজে এখন পাস্টিকের পাত্র এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। সামান্য ফলমূল কিংবা পানি থেকে শুরু করে যে কোনো খাবার রাখতে পাস্টিকের পাত্রের ব্যবহার বেড়ে গেছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাস্টিকের রাসায়নিক উপাদান খাবারের সঙ্গে মিশে আমাদের রক্তচাপকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর উচ্চ রক্তচাপ মানে হৃদরোগসহ ভয়ানক সব রোগের কারণ। আমেরিকার চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা নতুন এক গবেষণা শেষে প্লাস্টিকের পাত্র নিয়ে এ হুঁশিয়ারি জানান। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গন মেডিকেল সেন্টার, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ও পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী তিন হাজার শিশু-কিশোরের ওপর একটি জরিপ চালান। তারা প্রথমবারের মতো পাস্টিকের পাত্রে রাখা খাবার গ্রহণ ও এর সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক পরীক্ষা করে দেখেন।
গবেষকরা জানান, খাবার ও পানীয় প্যাকেট বা বোতলজাত করতে যেসব পাস্টিক ব্যবহার করা হয়, সেসব পাস্টিকের মূল উপাদান থ্যালেট বা ডাই-এথিহেক্সিলপথ্যালেট। দেখা গেছে, খাবারের সঙ্গে মিশে গিয়ে ওই ডাই-এথিহেক্সিলপথ্যালেট শিশুদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। শিশুদের মূত্র পরীক্ষা করে থ্যালেটের পরিমাণ নিরূপণ করা হয়।
এ নিয়ে জার্নাল অব পেডিয়াট্রিকে প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে গবেষক দলের অন্যতম নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গন মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাবিজ্ঞানী লিওনার্দো ট্রাসান্দে বলেন, থ্যালেট হৃদকোষের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে এবং অক্সিডেটিভ চাপ বাড়িয়ে দেয়। তবে ঠিক কী কারণে থ্যালেট রক্তচাপকে বাড়িয়ে দিচ্ছে, তা এখনও নিরূপণ করতে পারেননি তারা।
 

Top

চিনিযুক্ত ড্রিংকস থেকে বিপদ


শুধু সুগারি ড্রিংক বা চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পানজনিত কারণে বছরে অন্তত ১ লক্ষ ৮০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। তন্মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মারা যায় ২৫ হাজার লোক। আর চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, অধিক চিনিযুক্ত কোমল পানীয় যেমন-সোডা, কোকাকোলা ও অন্যান্য চিনিযুক্ত বেভারেজ পান থেকে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হয় এবং ডায়াবেটিস ও অন্যান্য জটিলতা থেকেই বিশ্বে এত বিপুল সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়।
বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন চিনিযুক্ত কোমল পানীয়জনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায় মেক্সিকোতে (প্রতি মিলিয়নে ৩১৮ জন) এবং সবচেয়ে কম লোকের মৃত্যু হয় জাপানে (প্রতি মিলিয়নে ১০ জন)। চিনিযুক্ত বেভারেজ থেকে শুধু ডায়াবেটিস হয় তাই নয়, হার্ট ডিজিজ ও ক্যান্সারের মত সমস্যাও হতে পারে।
এব্যাপারে ইয়েল ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের প্রিভেনশন রিসার্স সেন্টারের পরিচালক ড. ডেভিড কাটস মনে করেন শুধু সুগারি ড্রিংক থেকে বিরত থাকা বা কম পান করলে হবে না। অন্যান্য জাংক ফুডও কম আহার করতে হবে। তা না হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়বে। তবে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন বলছে, দৈনিক ২০০০ কিলো ক্যালরি খাদ্যশক্তি প্রয়োজন এমন লোকদের সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৫০ ক্যালরির বেশির চিনিযুক্ত কোমলপানীয় বা সুগারি ড্রিংক পান উচিত নয়।

 

 

আইন কনিকা

Top
 

বিনা বিচারে আটক কৈফিয়ত দেবে কে
অ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায়


একেএম জাহাঙ্গীর তালুকদার নামীয় ব্যক্তি ১১ আগস্ট ’০৮ উত্তরা মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহারে উলেখ করেন, উত্তরা মডেল টাউনের পট নং ৯, রোড নং ১৫, সেক্টর ১৩ বর্তমানে ৩নং রবীন্দ্র সরণি রোডের ৭ কাঠা ৫ ছটাক জমি আমার জনৈক বন্ধুর ক্রয় করার নিমিত্ত গত ৩১/০৭/০৮ তারিখে সরদার মোঃ আবদুর রহমান, বাড়ি ২৬/এ, রোড ৪, সেক্টর ৩ উত্তরা মডেল টাউনের সহিত ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে অরেজিস্ট্রিকৃত বায়না দলিল সম্পাদন করা হয় এবং আমি বায়না গ্রহীতা বায়না বাবদ দলিলদাতা সরদার মোঃ আবদুর রহমান বরাবরে ২০ লাখ টাকার চেক ও নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করি। দলিলদাতা তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে ওই সম্পত্তির আংশিক দখল বুঝিয়ে দেন এবং রেজিস্ট্রিকৃত বায়নার সময় সম্পূর্ণ দখল বুঝিয়ে দেবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন। অতঃপর এজাহারকারী ওই সম্পত্তির বিষয়ে পত্রিকায় আইনগত বিজ্ঞপ্তি দিলে ওই সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধ এবং ঢাকার দেওয়ানি আদালতে মামলা রয়েছে মর্মে অবগত হন তিনি। আবদুর রহমান, দুলু মিয়া ওরফে নুরু মিয়া, খন্দকার শহিদুল ইসলাম ওই সম্পত্তির বায়নাকালে সম্পত্তি নির্ভেজাল, নিষ্কণ্টক এবং দেওয়ানি মামলার বিষয় গোপন করে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারিত করার উদ্দেশে চেক ও টাকা গ্রহণ করায় এজাহারকারী উত্তরা মডেল থানায় ওই এজাহার দায়ের করেন। উত্তরা মডেল থানা এজাহারটির মামলা নং-১৯(৮)০৮ ধারা ৪০৬/৪২০ দ বিধি হিসেবে রুজু করেন।
গ্রেফতারের পরের ঘটনা : উপরিউক্ত মামলার আসামি সরদার মোঃ আবদুর রহমান ও আসামি দুলু মিয়া ওরফে নুরু মিয়াকে উত্তরা থানা পুলিশ ১১ আগস্ট ’০৮ তারিখে গভীর রাতে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আইন অনুযায়ী পরের দিন অর্থাৎ ১২ আগস্ট ’০৮ মঙ্গলবার ওই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে আদালত চলাকালীন সময়ের মধ্যে নিকটস্থ সংশিষ্ট কোর্টে প্রেরণের কথা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উত্তরা থানা পুলিশ ওই দু’জন আসামিকে আদালত চলাকালীন সময়ে ১২ আগস্ট ঢাকা সিএমএম কোর্টে প্রেরণ করেনি।
উভয়পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও আসামিদ্বয় অনুপস্থিত : ওইদিন অর্থাৎ ১২ আগস্ট আসামি পক্ষের তিনজন আইনজীবী এবং এজাহারকারী পক্ষের একজন আইনজীবী ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের ১৩নং মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থিত থাকলেও আসামিদ্বয় অনুপস্থিত থাকার কারণে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন শুনানি করতে পারেননি। উলেখ্য, এজাহারকারী (অভিযোগকারী) পক্ষের আইনজীবী আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা প্রদান করার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করলে আদালত তা সন্তুষ্টিচিত্তে মঞ্জুর করেন।
আসামিদ্বয়ের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ : আসামি সরদার মোঃ আবদুর রহমানের স্ত্রী এবং পুত্র ও কন্যাদ্বয় তাদের নিযুক্তীয় আইনজীবীকে জানান, উত্তরা থানা পুলিশ প্রভাবিত হয়ে আসামিদ্বয়কে যথাসময়ে আদালতে প্রেরণ করেনি। তারা আরও অভিযোগ করেন যে, উত্তরা থানা থেকে কোর্টে আসার পথে আসামিদ্বয়কে বহনকারী গাড়িটি ধীরগতিতে চালিয়ে সময় ক্ষেপণের জন্য পুলিশ গাড়ির ড্রাইভারকে নির্দেশ দেয়।
ভাবলেশহীন পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য : ওই মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবীদ্বয় ১২ আগস্ট ’০৮ বেলা ৫.৪৫টায় ঢাকার উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন) আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়ার সঙ্গে আলোচনাক্রমে জানান যে, উত্তরা থানা পুলিশের খামখেয়ালিপনা ও অসচেতনার দরুন অদ্য আসামিদের জামিন শুনানি করা সম্ভব হল না। তিনি লোক দেখানো দু’একটি ফোন করে আইনজীবীদের আশ্বস্ত করেন যে, বিষয়টি তিনি দেখবেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আরও জানান যে, আসামির সঙ্গে তার নিযুক্তীয় আইনজীবীর কথা বলার বিধান থাকা সত্ত্বেও ওইদিন সিএমএম হাজাতখানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আসামিদ্বয়ের সঙ্গে আইনজীবীদের কথা বলার সুযোগ দেননি, ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে দেননি এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন করেননি।
আইনজীবীদের বক্তব্য : আসামিপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক বলেন, আসামির জামিন দেয়া না দেয়া আদালতের সিদ্ধান্ত কিন্তু আসামিকে যথাসময়ে কোর্টে প্রেরণ না করায় থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তিনি আরও বলেন, উত্তরা থানা পুলিশ কেন এবং কিসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামিদ্বয়কে আদালত চলাকালীন সময়ে কোর্টে প্রেরণ করলেন না তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। অ্যাডভোকেট আবদুল বারি জানান, আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে প্রেরণের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও উত্তরা থানা পুলিশ তা কেন করলেন না এ বিষয়ে সংশিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের জবানবন্দি গ্রহণপূর্বক উপযুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ব্যাখ্যা : ফৌজদারি কার্যবিধির (১৮৯৮ সালের ৫নং আইন) ৬১ ধারা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় থানায় আটক রাখা যাবে না। পুলিশ অফিসার বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তিসঙ্গত সময় অপেক্ষা অধিককাল আটক রাখবেন না এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারানুসারে (চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করা না গেলে তখনকার পদ্ধতি) ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশ না থাকলে এরূপ আটকের সময় গ্রেফতারের স্থান হতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে যাওয়ার সময় বাদ দিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার অধিক হবে না।
সংবিধানের ব্যাখ্যা : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৩নং অনুচ্ছেদে গ্রেফতার ও আটককৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বলা হয়েছে এভাবে, ১. গ্রেফতারকৃত কোন ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শিগগির গ্রেফতারের কারণ জ্ঞাপন না করে পাহারায় আটক রাখা যাবে না এবং ওই ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের ও তার দ্বারা আÍপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। ২. গ্রেফতারকৃত ও পাহারায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে গ্রেফতারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে (গ্রেফতারের স্থান হতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে) হাজির করা হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাকে এর অতিরিক্ত সময় পাহারায় আটক রাখা যাবে না। ফৌজদারি কার্যবিধিসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের বিধান মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ আদালতে প্রেরণের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের কোর্ট-কাচারিতে এমনটিই হয়ে আসছে।
উপরোক্ত মামলার আসামি সরদার মোঃ আবদুর রহমান ও দুলু মিয়া ওরফে নুরু মিয়া বিনা বিচারে একদিন থানায় আটক থাকার বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের আবেদন জানান তাদের নিকটাÍীয়-স্বজন। পুলিশের গোয়ার্তুমিপনার কারণে কিংবা পুলিশ অন্য কোন পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আইনবিরোধী ও অমানবিক এই কাজটি করে থাকে, তাহলে দোষী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে আর কোন আসামি যাতে গ্রেফতারের পর বিনা বিচারে ২৪ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময় থানায় আটক না থাকে সে জন্য দেশের সব থানা পুলিশকে সচেতন হতে হবে।
 

Top

রাস্তায় গৃহনির্মাণসামগ্রী রাখা অপরাধ


অসুস্থ মাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেন শাহেদ। কিন্তু বাসার সামনের রাস্তা থেকে রিকশা নিতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের বাসার গলিতে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই বাড়ির ইট-বালু রাস্তার ওপর রাখা ছাড়াও সিমেন্ট ও বালুর মিশ্রণ রাস্তার ওপরই করা হচ্ছে। তাই সেখানে কোনো রিকশা ঢুকতে পারছে না। মাকে নিয়ে কী করবেন ভেবে পান না শাহেদ। অসুস্থ মাকে অনেকটা কোলে করে নেওয়ার মতো করে অনেক কষ্টে গলি পার হয়ে বড় রাস্তায় গিয়ে শাহেদ রিকশা নেন। রাস্তা বন্ধ করে এ ধরনের নির্মাণকাজ করার কারণে গলির মুখেই রিকশা থেকে নামতে হয় সবাইকে। এ কষ্ট যেন দেখার কেউ নেই।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন মহল্লায় বাড়ি নির্মাণের সময় সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালারা নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় রাখেন। এটি দেখার কেউ নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে নীরব। তারা যেন এ ব্যাপারে কিছুই দেখে না। বাড়িওয়ালারা নিজের খেয়াল-খুশিমতো রাস্তার ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে দেওয়ায় সেসব রাস্তা শুধু গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়েই পড়ে না, পথচারীদের চলাচলেও বিঘœ ঘটে। অনেক সময় বাড়িওয়ালারা তাঁদের বাড়ি নির্মাণের সময় রাস্তা বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার তোয়াক্কা না করেই। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবে?
পাদটীকা: ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ, ৭২-ক ধারামতে, কেউ কোনো গৃহনির্মাণসামগ্রী বা অন্য কোনো দ্রব্য রাস্তায় বা সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে রাখলে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দ নীয় হবে এবং সেই দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হবে।
 

Top

অদ্ভুত আইন : নাক ডাকুন আইন জেনে!


নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুম কথাটা আমাদের কাছে যে মানে তৈরি করে, সেটা হলো বেশ আয়েশ করে, কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়াই নিরবচ্ছিন্ন ঘুম। আর এই নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের সঙ্গে যে কথাটি সম্পর্কযুক্ত, সেটা হলো নাকডাকা। আরামের ঘুমে অনেকেরই আছে নাকডাকার বদভ্যাস। এটা আশপাশের মানুষকে বিরক্তও কম করে না। আপনি হয়তো খুব আরাম করে ঘুমাবেন, হঠাৎ পাশের জনের নাকডাকার শব্দ। বিরক্ত হয়ে বলবেন, ‘আরে বন্ধ করেন এই তামাশা। ’ আবার রাত হলেই দেখা যাবে আরেকজন আপনাকে ধাক্কা দিয়ে তুলবে এই একই কথা বলে। কিন্তু যদি এটা হয় ম্যাসাচুসেটস, তাহলে নির্ঘাত মামলা ঠুকে দিতে পারেন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যে রাতদুপুরে আপনার ঘুমে আনে ব্যাঘাত। কেননা, আইন অনুযায়ী সেখানে নাকডাকারও নিয়ম আছে। সেখানকার আইনগ্রন্থে স্পষ্ট লেখা আছে, ‘নাকডাকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, যদি না ঘরের জানালা পুরোপুরি বন্ধ থাকে। ’


 

Top
 


 

 

Top
 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.