BHRC By-lawsBHRC Press ReleaseBHRC By-lawsBHRC ConferenceIHRCIRD ActivitiesLegal StatusBHRC BoardBHRC BranchesElection Monitoring Acid and Trauma VictimsBHRC BrochureBHRC Forms

ContactHOME

 

 

Cover March 2021

English Part March 2021

Top

 

Bangla Part

         নারী ও শিশু সংবাদ        পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

স্বাস্থ্য সংবাদ          আইন কনিকা

 

বিবিধ সংবাদ

 

                                 



বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শনিবার সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুানের মাধ্যমে ২১ জন বিজয়ীর হাতে এ পদক তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। জাতীয় ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে এবার একুশে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনুানে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয় সমগ্র জাতির জন্যই সম্মাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনা বলেন, একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল অর্জন। এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন, সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা ও অর্থনীতিতে একজন করে মোট ২১ জনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন- মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ।
শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন- কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি), ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
 

 
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদন ফেব্র“য়ারি ২০২১

 ফেব্র“য়ারি ২০২১ মাসে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২৭৬ জন

মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ১৩৬ জন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জরিপে দেখা যায় মোট হত্যাকান্ডে মৃত্যু ১৩৬ জন। সরকারি হিসাব মোতাবেক করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২৭৬ জন। জানুয়ারি ২০২১ মাসে গড়ে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ১০ জন এবং হত্যাকান্ড ঘটে ৫টি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকান্ড কমিয়ে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই কেবলমাত্র এ ধরণের ক্রমবর্ধমান হত্যাকান্ড হ্রাস করা সম্ভব। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডকুমেন্টেশন বিভাগের জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে হত্যাকান্ডের শিকার ১৩৬ জন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে সরকারি হিসাব মতে ফেব্র“য়ারি ২০২১ মাসে মৃত্যু হয় ২৭৬ জন।
সামাজিক সহিংসতায় হত্যা ১১ জন, পারিবারিক সহিংসতা ২৫ জন, রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৮ জন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে হত্যা ৫ জন, বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ৩ জন, অপহরণ হত্যা ৩ জন, গুপ্ত হত্যা ৬ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৬৫ জন, ধর্ষণ হত্যা ১ জন। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৯৮ জন, আত্মহত্যা ৯ জন।
ফেব্র“য়ারি ২০২১ সালে কতিপয় নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে ধর্ষণ ১৭ জন এবং যৌন নির্যাতন ০২ জন।

 

 

 BHRC'র কক্সবাজার আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 


মানবাধিকার রিপোর্ট’

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক নিবন্ধিত, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত “চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে, মাদককে না বলুন” শীর্ষক “কক্সবাজার আঞ্চলিক মানবাধিকার সম্মেলন ২০২১” আজ ২০ ফেব্র“য়ারি ২০২১ কক্সবাজার রেডিয়েন্ট কনভেনশন সেন্টারে অনুতি হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান বিপিএম। সম্মেলন উদ্বোধন করেন BHRCর প্রতিষ্ঠাতা এবং সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য এথিন রাখাইন। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার সুইটি, কক্সবাজার জেলা পিপি এ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব প্রফেসর একেএম গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন BHRC'র বিশেষ প্রতিনিধি ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুদ্দীন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দীন কবীর, বান্দরবান জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি নীলিমা আক্তার নীলা, মতিঝিল আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ হাসান, নওগাঁ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মৌসুমী সুলতানা প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালন করেন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
 

  
মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল চান ভার্জিনিয়ার আইন প্রণেতারা

                                                                 


মানবাধিকার রিপোর্ট’
মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল চান ভার্জিনিয়ার আইন প্রণেতারা ফৌজদারি শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করতে ভোট দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আইন প্রণেতারা।
৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের হাউস অব ডেলিগেটস এ ধরনের অনুশীলন (মৃত্যুদণ্ড) শেষ করতে ভোট দেওয়ার বিষয়ে প্রণেতারা সিনেটকে অনুসরণ করেছে।
পাশাপাশি আইনটি বাতিলে ভার্জিনিয়ার গভর্নর রাল্ফ নর্থহাম পক্ষে সই করার পথ সুগম করছেন।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মার্কিন রাজ্য হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিলে ভার্জিনিয়ায় প্রথম হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, ফেডারেল ও রাজ্য পর্যায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিলে রাজ্যগুলোকে মামলা অনুসরণে উৎসাহিত করতে কাজ করবেন। জাতিসংঘ জানিয়েছ, জাতিসংঘের ১৯৪ সদস্য দেশের মধ্যে ১৭০ দেশ মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে কিংবা এর চর্চা নীতিগতভাবে বা কার্যকর করা থেকে বন্ধ রেখেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটি না করতে পেরে বারবার আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি পড়ছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপের জরিপ অনুসারে, ১৯৯০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য জনসমর্থন ছিল ৮০ শতাংশ। কিন্তু ২০২০ সালে তা নেমে দাঁড়িয়ে ৫৫ শতাংশে।।
 

কুতুবদিয়া BHRC'র হাজার হাজার মানবাধিকার কর্মীর উপস্থিতিতে সাগর দ্বীপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্ট’
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC। BHRC কক্সবাজার উত্তর আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে ২১ ফেব্র“য়ারি ২০২১ কক্সাজারের কুতুবদিয়া স্টেডিয়ামে BHRCর হাজার হাজার মানবাধিকার কর্মীর উপস্থিতিতে সাগর দ্বীপ সম্মেলন-২০২১ অনুতি হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং BHRCর কক্সবাজার উত্তর আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন BHRCর প্রতিষ্ঠাতা এবং সেক্রেটারী জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন BHRCর গোলাম কিবরিয়া মোল্লা, মহিলা বিষয়ক প্রতিনিধি জোøা আক্তার বেবী, BHRCর কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু আক্কাস ইশতিয়াক, কক্সবাজার উত্তর আঞ্চলিক শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাসেল সিকদার, প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান হিরো, সাংগঠনিক সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন বাবুল, আলী আকবর ইউনিয়ন শাখার আব্দুল লতিফ, সভাপতি উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন শাখা, মাস্টার মফিজুল আলম, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আব্দুর রহিম শিকদার, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম টিুটু প্রমুখ। অনুানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত এবং BHRCর শপথ গ্রহণ অনুান সম্পন্ন করা হয়। কক্সবাজারের বিভিন্ন দ্বীপ অঞ্চল থেকে ১৫ হাজারের অধিক মানবাধিকার কর্মী এই সম্মেলনে যোগ দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে, সৎ পথে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের নিজ গৃহ থেকে মানবাধিকার আন্দোলন শুরু করতে হবে বিশেষ করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধসহ নারী শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। BHRCর সেক্রেটারী জেনারেল আরও বলেন, কুতুবদিয়া সহ কক্সাবাজার অঞ্চল থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে হবে। যুবসমাজকে অবশ্যই মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে দূরে রাখতে হবে। জনগণকে মানবাধিকার কর্মীগণ সচেতন করবেন যাতে করে নির্বাচনের সময় সামান্য নগদ টাকার বিনিময়ে নিজের পবিত্র ভোটটি বিক্রি না করেন। একজন নাগরিকের পবিত্র সম্পদ হচ্ছে তার ভোটাধিকার। ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং সঠিক ব্যক্তিকে ভোট প্রদান করে জনগণের নেতা নির্বাচিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাগর পাড়ে হাজার হাজার লবণ চাষীর অধিকার পূরণ করতে হবে। লবণ চাষীদের ন্যায্য মূল্য প্রদান করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী জেলেদের নিরাপত্তার জন্য সরকারিভাবে তালিকা প্রণয়ন এবং তাদের বীমার আওতায় আনতে হবে। যাতে করে মৎস্য আহরণকারীরা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে বা মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারবর্গ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান। BHRCর সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, একজন রাজনীতিবিদ প্রকৃত মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নিজেদের প্রতিতি করতে পারেন। রাজনৈতিক কর্মীগণ যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকেন এবং ন্যায়পরায়ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তবে তিনি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে প্রতিতি হবেন। অপরদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ বা রাজনীতি কর্মী মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন।

 


 

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
৮ ফেব্র“য়ারি ২০২১ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লা মহানগর শাখার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আতাবুল্লাহ, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমেঃ পিপি কুমিল্লা জেলা সিনিয়র দায়রা জজ এডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মমিন ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সামছুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-এর ডেপুটি গভর্নর মোস্তাক আহমেদ ভূইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-এর কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি এএইচএম তারিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-এর কুমিল্লা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলজার হোসেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-এর কুমিল্লা মহানগর শাখার বিগত এক বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

 

মিয়ানমারকে একঘরে করতে প্রথম আন্তর্জাতিক পদক্ষেপে নিউজিল্যান্ডী


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রেসিডেন্ট উইন্ট মিন্ট ও অং সাং সু চিকে গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর প্রথম দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের পাশাপাশি সেনাকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সমস্ত উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ স্থগিত করেছে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া গত সপ্তাহে অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। সংবাদ সম্মেলনে আর্ডার্ন বলেন, এছাড়া মিয়ানমারে সহায়তা কর্মসূচির কোনো প্রকল্প সামরিক সরকারকে সরবরাহ করবে না। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দৃঢ় বার্তা হলো আমরা নিউজিল্যান্ড থেকে যা করতে পারি করবো। তার একটি হলো- উচ্চস্তরের সংলাপ স্থগিত করা। এছাড়া এটি নিশ্চিত করা যে মিয়ানমারে যে অর্থায়ন হচ্ছে তা যেন কোনোভাবেই সামরিক সরকারকে সমর্থন না করে।
তিনি বলেন, ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের এই প্রকল্পের মূল্য ছিল ৪২ মিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলার (৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা একটি পৃথক বিবৃতিতে বলেন, নিউজিল্যান্ড মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বৈধতা স্বীকার করে না। এছাড়া আটককৃত সকল রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেয়ার কথাও বলা হয় বিবৃতিতে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা। অপরদিকে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সু চি সমর্থকরা। এই ডাকে সাড়া দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে টানা বিক্ষোভ করছে জনতা।




সৌদি প্রবেশে ২০ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা প্রতিরোধে ২০টি দেশ থেকে অভিবাসী নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ বন্ধ করে দিযে ছে দেশটির সরকার। ৩ ফেব্র“য়ারি ২০২১ স্থানীয় সময রাত ৯টা থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এসময়ে শুধু নিজ দেশের নাগরিক, কূটনীতিক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং তাদের পরিবার সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবে।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়। মন্ত্রণালয জানিযে ছে, সৌদির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয া হযে ছে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয া, আয ারল্যান্ড, ইতালি, পাকিস্তান, ব্রাজিল, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, লেবানন, মিশর, ভারত এবং জাপান।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি সৌদি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সব ধরনের ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ২১ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি। পরবর্তীতে এর মেয়াদ আরো সাত দিন বাড়ানো হয়। এর ১৫ দিন পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি।

 

  মারিও দ্রাঘি ইতালির নতুন প্রধানমন্ত্রী 

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক প্রধান মারিও দ্রাঘিকে ইতালির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৩ ফেব্র“য়ারি তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলার সঙ্গে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর মারিও দ্রাঘিকে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ইতালির প্রায় সব রাজনৈতিক দলই তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন জানিয়েছেন।
গত মাসেই চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই জুসেপ্পে কন্তে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাড়ান। গত ১৩ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি তার ইটালিয়া ভিভা পার্টিকে দল থেকে প্রত্যাহারের পর থেকেই ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে পড়ে।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। সংবিধান সংস্কারের পরিকল্পনা করেছিলেন রেনজি। ওই পরিকল্পনার ওপর গণভোটে শোচনীয় পরাজয় দেখে আকস্মিক পদত্যাগ করেন তিনি। মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন রেনজি।
করোনার কারণে শুরু থেকেই ইতালিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এক বছরের বেশি সময় আগে চীনে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর পরই ইতালিতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর থেকেই ইতালি যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত তহবিল কিভাবে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে দেশটিতে বেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিই সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায় এবং ব্যাংক অব ইতালির গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দ্রাঘির হাতে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি বলেন, মারিও দ্রাঘি এমন একজন ইতালীয় নাগরিক যিনি ইউরোপকে বাঁচিয়েছেন। আমি মনে করি এখন তিনি এমন একজন ইউরোপীয় যিনি ইতালিকে বাঁচাতে পারবেন।

 

 গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান বাইডেন : হোয়াইট হাউস


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গতকাল এ কথা বলা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদামাধ্যম ফ্রান্স ২৪।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনও গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করার কথা বলেছিল। কিন্তু, ওবামা প্রশাসন শেষ পর্যন্ত সে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনের আমলে এই কারাগার বন্ধের সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন পাসাকি বলেন, নিশ্চিতভাবে এটিই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে প্রশাসন এ লক্ষ্যে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে তাঁর নির্বাচনি প্রচারকালে গুয়ানতানামো কারাগার রেখে দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
বারাক ওবামা তাঁর শাসনামলে চেষ্টা করেও কংগ্রেসের কারণে গুয়ানতানামো বন্ধ করার কাজে সফল হতে পারেননি। ওই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন। গুয়ানতানামো বে কারাগারে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে জড়িতদের বন্দি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার স্বঘোষিত মূল হোতা খালেদ শেখ মোহাম্মদও রয়েছেন।
গুয়ানতানামো বে কারাগারে এখনো ৪০ জন বন্দি রয়েছে। ৯/১১-এর হামলার পর তৎকলীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী কিউবার পূর্বাঞ্চলে এ কারাগার প্রতিা করে।
নিুস্বাক্ষরকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার-এর পূর্বাচল প্লটটি এখনও বরাদ্দ পত্র ইস্যু হয়নি। ফাইলটি রাজউক বোর্ডে উঠার কথা বলা হলেও এখনও বোর্ডে উঠেনি। অনুগ্রহপূর্বক সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান প্রদর্শন করে দ্রুত বরাদ্দপত্রটি প্রদান করতে অনুরোধ করছি।


   হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভবিষ্যতের শহর বানাচ্ছে সৌদি আরব


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভবিষ্যতের শহর বানাচ্ছে সৌদি আরব। শহরে থাকবে কৃত্রিম চাঁদ, থাকবে উড়ন্ত ট্যাক্সির ব্যবস্থা। বাড়িঘর পরিষ্কারের কাজ করবে রোবট। পুরো শহর হবে কার্বনমুক্ত।
সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ একে বর্ণনা করেছে বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্প হিসাবে।
লোহিত সাগরের তীরে গড়ে তোলা হচ্ছে সৌদি আরবের বিলাসবহুল শহর দ্যা লাইন। 'নিওম' নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এই শহরের আকার হবে ১৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
কার্বনমুক্ত এই শহরে ১০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করতে পারবেন। শহরটি চলবে শতভাগ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি দিয়ে।
দু'হাজার আঠারো সালের অক্টোবরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বলেছিলেন, নিওম শহরের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে শহরটির সব কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে।
লোহিত সাগরের তীরে নির্মাণ প্রকল্প 'নিওমের' আওতায় ২৬,৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার। সেই প্রকল্পের আওতায় দ্যা লাইন শহরটি তৈরি করা হচ্ছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান শহরটি নির্মাণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করছে, তাদের গোপনীয় কিছু কাগজপত্র দেখার সুযোগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, নিওম নামটি এসেছে গ্রিক ও আরবি নাম মিলিয়ে। গ্রিক শব্দ নতুন আর আরবি শব্দ ভবিষ্যৎ, এই দুই মিলিয়ে শহরের নাম রাখা হয়েছে নিওম।
সৌদি আরবের উত্তর পূর্বাঞ্চলে ১০,২৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে শহরটি তৈরি করা হচ্ছে। যার পেছনে খরচ হবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা ৫০ হাজার কোটি টাকা।
তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সৌদি সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য যে 'ভিশন ২০৩০' নিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ, তারই অংশ নিওম শহর।
নিওম ওয়েবসাইটে বর্ণনা করা হয়েছে, ভবিষ্যৎ এখানে নতুন ঠিকানা পেয়েছে। রাতের বেলায় পুরো এলাকা জুড়ে আকাশে থাকবে বিশাল কৃত্রিম চাঁদ। আসল চাঁদের মতোই সেই চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে থাকবে দ্যা লাইন শহর।
নিওম প্রকল্পে কৃত্রিম মেঘমালা তৈরি করার প্রযুক্তি থাকবে। এসব মেঘের ফলে মরুভূমিতে আরও বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। শিক্ষার ব্যবস্থা হিসাবে থাকবে হলোগ্রাফিক শিক্ষক, যেমনটা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রে দেখা যায়। সেখানে জুরাসিক পার্কের মতো একটি দ্বীপ থাকবে, যেখানে রোবট ডাইনোসরের দেখা পাওয়া যাবে।
সৌদি কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষজন সেখানে উড়ন্ত ট্যাক্সিতে চলাফেরা করবেন। কর্মকর্তারা বলছেন, ভবিষ্যতে মানুষজন আনন্দের জন্য গাড়ি চালাবেন, তাদের কাজের প্রয়োজনে গাড়ি চালাতে হবে না। বাড়িঘর পরিষ্কারের কাজ করবে রোবট।



 

 অপরাধ ও মাদকে জড়াচ্ছে পথশিশুরা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কি নাম তোমার, জন্টু। থাকো কোথায়, কমলাপুর রেল স্টেশনে। কি করো, কাগজ টুকাই। মা-বাবা থাকে অন্য জায়গায়। হাতে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে কি, স্যার এর ভেতর ড্যান্ডি খেলে নেশা হয়। কোনো সমস্যা হয় না। পরথমে বন্ধুদের কাছ থেইকা লইয়া সিগারেট খাইছি। হের বাদে গাঁজা আর মদ খাওয়া ধরছি। খুব মজা লাগে এসব খাইতে।
গত বুধবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে কথাগুলো বলছিল ১২ বছরের এক শিশু জন্টু। জন্টুর মতো কবীরও মাদকে আসক্ত। কবীর (১৪) থাকে মা-বাবার সঙ্গে কারওয়ান বাজার বস্তিতে। একসময় গাঁজা বহনের কাজ করত। অন্যদের দেখাদেখি সে প্রায় ছয় বছর আগে গাঁজা খাওয়া শুরু করে। এখন মাঝেমধ্যে মদ ও ইয়াবাও খায়। এ ধরনের হাজার হাজার পথশিশু রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি, বাসটার্মিনাল ও রেলস্টেশনগুলোতে রাত্রিযাপন করে। এদের নেই কোনো থাকার ব্যবস্থা, শিক্ষা, কর্মসংস্থা বা চিকিৎসা। এসব জায়গার বাইরে দিনের বেলায় রাজপথে এদের কর্মব্যস্ত থাকতেও দেখা যায়। এসব পথশিশুরা ছিনতাই, মাদকব্যবসা, চুরি ও হত্যাসহ নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হলেও এদের সুু মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ কারো নেই।
একটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই কোনও না কোনোভাবে মাদকাসক্ত। এদের মধ্যে ১৯ শতাংশ হেরোইন, ৪৪ শতাংশ ধূমপান, ২৮ শতাংশ বিভিন্ন ট্যাবলেট ও ৮ শতাংশ ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশা করে থাকে। ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২২৯টি মাদকের স্পট আছে। এসব স্পটে ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা মাদক সেবন করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি ড্যান্ডি খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মহাখালীতে আরিফ হোসেন (১৬) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রধান হামলাকারী মো. জনিকে (১৭) গণপিটুনি নিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। মহাখালী সাততলা বস্তিতে ড্যান্ডি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই কিশোরকে হত্যা করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব শিশুরা গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল, সিসা, ড্যান্ডি, ইয়াবা, পেথিড্রিন ইত্যাদি মাদকে আসক্ত। এসব মাদকদ্রব্য গ্রহণের কারণে তারা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে।
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়াও কারওয়ান বাজার, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাইকোর্ট, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বর, চাঁনখারপুল, সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল, সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাসটার্মিনাল, ঢাকা মেডিকেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশুরা বিভিন্ন ধরনের মাদক খাচ্ছে বা নিচ্ছে। এদের বেশির ভাগই পথশিশু। এসব এলাকায় সক্রিয় মাদক বিক্রেতারা।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও মোস্ট অ্যাট রিস্ক অ্যাডোলসেন্ট (এমএআরএ) নামের দুটি প্রতিানের জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে চার লাখ ৪৫ হাজার পথশিশু আছে। এদের মধ্যে রাজধানীতে থাকে তিন লাখেরও বেশি পথশিশু।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. আহসানুল জব্বার গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাংলাদেশে কত শিশু মাদকাসক্ত, এর পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। মাদকাসক্ত কোনো শিশু পাওয়া গেলে আমরা বিনা খরচে আমাদের নিরাময় কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। যারা শিশুদের মাদকাসক্ত করছে বা নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাদক দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা সে কাজ করে যাচ্ছি। মাদক থেকে শিশু ও যুবসমাজকে দূরে রাখতে সকলকেই সচেতন হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) একেএম হাফিজ আক্তার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পথ শিশুরা নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
 


সাগরে ভাসা রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের আহ্বান জাতিসংঘের

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ উপকূলে একটি নৌযানে একদল রোহিঙ্গা ভাসছে জানিয়ে তাদের অবিলম্বে উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এ খবর জানিয়ে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১০ দিন আগে সাগরে যাত্রা করা রোহিঙ্গাদের নৌযানটি ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জের কাছে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। তাতে খাবার ও পানি শেষ হয়েছে এবং যাত্রীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আরাকান প্রজেক্ট নামের একটি মানবাধিকার গ্রুপ বলছে, নৌযানের আরোহীদের মধ্যে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে, মুখ্যত পানিশূন্যতার কারণে।
গ্রুপটি বলছে, নৌযানটিতে আনুমানিক ৯০ জনের মতো যাত্রী আছে, তাদের মধ্যে ৬৫ জন নারী ও মেয়ে শিশু।
আরাকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লেওয়া নিউজ মিনিট ওয়েবসাইটকে বলেন, “তাদের আর কোনো পানীয় জল ও খাবার অবশিষ্ট নেই। উপায় না পেয়ে তারা সাগরের পানি পান করছেন।”
ভারতের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে বিবিসি যোগাযোগ করলে তাদের জলসীমায় কোনো নৌযান থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একজন জ্যে কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে, নৌযানটি দ্বীপপুঞ্জের কাছেই আছে।
২২ ফেব্র“য়ারি ২০২১ সকালে ক্রিস লেওয়া বলেছিলেন, ওই নৌযানের কাছাকাছি থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর নৌযান থেকে তাদের খাবার ও পানি দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, “জীবন বাঁচাতে এবং আরও বিয়োগান্তক ঘটনা ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ দরকার।
“আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার সক্ষমতা কাজে লাগানো হোক এবং এই দুর্গতদের দ্রুত তীরে আনা হোক।”
২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে। কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এসে বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নেয়। সম্প্রতি সেখান থেকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার আশায় রোহিঙ্গারা কয়েক দফায় এ ধরনের নৌ যাত্রা করেছেন।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, বিপজ্জনক এই যাত্রায় গত বছর দুইশর বেশি রোহিঙ্গা সাগরে ডুবে মারা গেছে বা হারিয়ে গেছে।
 

 

উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনা কার্যক্রমকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিল কানাডা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
চীনে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে তাকে গণহত্যা হিসেবে আনুানিকভাবে অভিহিত করে ভোট দিয়েছে কানাডার হাউজ অব কমন্স।
প্রস্তাবটি ২৬৬-০ ভোটে পাস হয়। এতে বিরোধী দলের সবাই এবং ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির কিছু অংশ ভোট দেয়।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডা হল দ্বিতীয় দেশ যারা উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে গণহত্যা বলে স্বীকৃতি দিল।
আইনপ্রণেতারা একই সাথে একটি সংশোধনী পাশ করেছেন যেখানে চীন সরকার উইঘুর গণহত্যা অব্যাহত রাখলে ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বেইজিং থেকে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে আহ্বান জানানোর জন্য কানাডা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে জাস্টিন ট্রুডো সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনা আচরণকে গণহত্যা বলতে কিছুটা দ্বিধান্বিত ছিলেন এবং বলেছেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টি আরও যাচাই করা দরকার।
তার মন্ত্রিসভার মাত্র একজন সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্ন্যুয়েকে ভোটের সময় পার্লামেন্টে উপস্থিতি হতে দেখা গেছে।
ভোটের আগে বিরোধীদলীয় নেতা ইরিন ও'টুল বলেছে এ পদক্ষেপ হল একটি বার্তা দেওয়া যে, “আমরা মানবাধিকার ও মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়াবো এমনকি কিছু অর্থনৈতিক সুযোগ ত্যাগ করে হলেও।”
তিনি সম্প্রতি উইঘুরদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিবিসি নিউজকে চীনে নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করেন।
তবে কানাডায় চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন পার্লামেন্টের প্রস্তাব চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল।
“আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি কারণ এটি সত্যের বিরুদ্ধে। সেখানে গণহত্যার মতো কিছুই ঘটছে না,” কানাডার গণমাধ্যমকে বলছিলেন তিনি।
অধিকার কর্মীরা মনে করেন চীন প্রায় দশ লাখ উইঘুরকে গত কয়েক বছর ধরে ক্যাম্পে আটক করে রেখেছে।
বিবিসির এক অনুসন্ধানে উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।


 

 
সিঙ্গাপুর আরও ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে

 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে আরও ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে খবর পেলাম, এর মধ্যে তারা ১০ হাজার অতিরিক্ত লোকের চাকরির সংস্থান করবে। সিঙ্গাপুরে আমাদের মিশন প্রতিনিধি পাঁচশর অধিক ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করতেছে। এটা সুখবর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিদেশ থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের ফেরত আসার মধ্যে সরকার নতুন কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছিল। আমরা আমাদের মিশনগুলোকে বলেছিলাম, আপনারা আমাদের লোকদের গেইনফুল এমপ্লয়মেন্টের জন্য চেষ্টা করুন। সেটার সুখবর আসছে। সিঙ্গাপুরে যারা কাজ করে, মোটামুটি তাদের অভিযোগ-আপত্তি খুব একটা থাকে না। নতুন করে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করা ইউরোপের দেশ রোমানিয়াতেও আরও ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হতে যাচ্ছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, রোমানিয়াতে আমরা নতুন মিশন খুলেছি। সেখানে এর মধ্যে প্রায় ১৪০০ লোক গেছে। কালকে খবর পেলাম সেখানে আরও ২ হাজার লোক নেবে। মুরগি জবাইয়ের কারখানায় এই কর্মসংস্থান হবে জানিয়ে মোমেন বলেন, মজার কথা শুনলাম, ওখানে অনেককে নেবে মুরগি হালাল করার ফ্যাক্টরিতে। ওরা জার্মানি, ফ্রান্স এগুলোতে হালাল মাংস পাঠায়। তারা সে ধরনের লোক খুঁজতেছে। এটা খুবই আগ্রহ উদ্দীপক। মহামারী শেষের অপেক্ষায় প্রবাসীকর্মীরা যেন কষ্ট করে হলেও বিদেশে থেকে যান, সে আহ্বান রেখেছিলেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুব করে চাচ্ছিলাম, আমাদের প্রবাসীরা যেন বিদেশে থাকে। আমি নিজেও ভিডিও মারফত অনুরোধ করেছি, প্রবাসীদের, আল্লাহর ওয়াস্তে এই আপৎকালীন সময়ে পারলে থেকে যান, কষ্ট করে। এরপর সুযোগ আসবে।
 



Top

 আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে রেজল্যুশন
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যেন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়, তার জন্যে দেশটির কংগ্রেসে একটি রেজল্যুশন উত্থাপন করেছেন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস ম্যাং। নিউ ইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট ৬ থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট এই আইনপ্রণেতা বৃহস্পতিবার ইউএস কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘও দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নিলেও পৃথিবীর অনেক দেশে এখনো দিনটি সেইভাবে পালিত হয় না।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত নিউ ইয়র্কের কুইন্স থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস ম্যাং তার রেজল্যুশনের বিষয়ে পরে একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে আমেরিকার মানুষ যেন দিনটিকে ঠিকভাবে বুঝতে পারে এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালনও করে। গত চারটি কংগ্রেসে তিনি এমন রেজল্যুশন তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আরো বেশি আমেরিকানের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং এই দিনটি পালনের তাৎপর্য সম্পর্কে জানা উচিত। আমার রেজল্যুশনটি সেই সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা করছি।
তিনি ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি তার বিবৃতিতে বলেন, ইউনেস্কো সারা পৃথিবীর মানুষের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্যে ২১ ফেব্রুয়ারিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই দিনটির মর্যাদা একটু ভিন্ন।
তিনি উল্লেখ করেন বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সেদিন ছাত্ররা পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করে গড়ে তুলেছিলেন। অনেকে জীবনও দিয়েছেন।
গ্রেস ম্যাং উল্লেখ করেন, পরিচর্যার অভাবে পৃথিবী থেকে প্রায় দুই হাজার ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার পথে। যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারির তথ্য তুলে ধরেন তিনি বলেন, আমেরিকার সৌন্দর্যই হচ্ছে এর বৈচিত্র্য। এখানে ৩৮১টি ভাষায় মানুষ কথা বলে। ফলে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব আরো বেশি।
ভবিষ্যতেও তিনি এমন প্রচেষ্টা আরো চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্র“তি দেন। এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্যে তিনি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। এর আগে এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগেই ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইনসভা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্যে একটি রেজল্যুশন পাস করেছিল। এবারো স্টেট সিনেটর জেসিকা রামোস এর উদ্যোগে যা নবায়ন করা হয়েছে।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিাতা বিশ্বজিৎ সাহা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, গ্রেস ম্যাং-এর রেজল্যুশন উত্থাপনের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষা ও আমাদের মর্যাদা প্রতিায় আরো একটি ধাপ এগিয়ে গেল। তিনি বলেন, আমরা ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে আসছি।

 

Top

পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পিছিয়ে থাকা জনগোণ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) উচ্চপর্যায়ের এক বিশেষ বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বিদ্যমান অসমতা: এসডিজির কার্যদশকে সবার জন্য বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ ও বৈষম্য দূরীকরণ শীর্ষক বৈঠকে রাবাব ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারিজনিত সঙ্কটে সবচেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে অভিবাসী শ্রমিকরা। এটি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান অসমতা ও বৈষ্যমেরই প্রকাশ।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি সমাজের সব স্তরকেই নাড়া দিয়েছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদ, জাতিগত বিদ্বেষ, বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্যসহ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না-এই লক্ষ্য অর্জনে কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলার বিষয়টিকে অবশ্যই সামগ্রিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করতে হবে মর্মে উল্লেখ করেন তিনি।
সমতা ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, যেখানে সমাজের সবচেয়ে নাজুক অংশকে পরিকল্পনার কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৭ ভাগের সমান ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার বাইরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যেখানে নারী, অতিদারিদ্র্য, ভ্রাম্যমাণ জনগোী, ক্ষুদ্র নৃ-গোী, প্রতিবন্ধী ও অন্যান্য দূর্দশাপীড়িত জনগোীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান বর্ণবাদ ও অন্যান্য বৈষম্য মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে ন্যায়সঙ্গত ও সমতাভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতে বিনিয়োগ করতে হবে মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। আর এই বিনিয়োগের শুরু হতে পারে জাতি, মর্যাদা বা জাতীয়তা নির্বিশেষে সকলের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনগুলোর সার্বজনীন প্রাপ্যতার সুযোগ তৈরি করার মধ্য দিয়ে।
সব অংশীজনদের আন্তরিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দারিদ্র্য, সহিংসতা, বৈষম্য, বর্জন এবং শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাবসহ অসমতার মূল কারণগুলো সমাধান করার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন যা সুযোগ ও সম্ভাবনা এনে দেয় এবং বর্ণবাদের দুষ্টু চক্র ভাঙ্গতে মানুষকে সহায়তা করে। তিনি কোভিড-১৯ এর সময়ে ডিজিটাল সুযোগ বঞ্চিত হওয়ার কারণে অনেক শিশুর পড়াশুনা থেকে দূরে থাকতে হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে সকলকে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ব্যতিত বর্ণবাদের মতো সামাজিক কূফলগুলো নির্মূল করা সম্ভব নয়, কারণ এগুলো সমাজের গভীরে প্রোথিত।অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই ভিত্তিমূলে প্রতিতি-এমন একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান বৈষম্যের বহুমাত্রিক ধরণ নির্মূলে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদেরকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে হবে।
ইভেন্টটির আয়োজন করে ইকোসক। এতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

 

অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের রায় বাংলায় হবে: প্রধান বিচারপতি
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় খুব শিগগির বাংলায় দেওয়া হবে। সে জন্য বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, অচিরেই সুপ্রিম কোর্টের রায় বাংলায় দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি অনুবাদ সেল গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলায় রায় দিতে গত ডিসেম্বরে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করার কথা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সেখানে সুপ্রিম কোর্টের সব রায় ইংরেজি থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলায় রূপান্তরিত হচ্ছে। রূপান্তর কাজ শেষ হলে আমরা আরও গুছিয়ে নেব।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা। ১৮ ফেব্র“য়ারি এক ভার্চ্যুয়াল অনুানে আমার ভাষা নামে সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে একস্টেপ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া, যাদের মূল অনুবাদ সফটওয়্যারটি ভারতে একইভাবে ইংরেজি থেকে বাংলাসহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
 

কুকুর বিড়ালের ঘাস খাওয়ার রহস্য কী?


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পেটের অসুখ হলে কুকুর–বিড়াল ঘাস, লতাপাতা খেয়ে বমি করে সুস্থ হয়ে ওঠে। ঘরে পোষা পশুপাখির অসুখ-বিসুখ হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও ডাক্তার আছে। কিন্তু বনের পশুপাখির অসুখ হলে তাদের ডাক্তারি কে করে? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, ওদের ডাক্তার লাগে না, নিজেরাই ভেষজ চিকিৎসায় অসুখ-বিসুখ সারিয়ে ফেলতে ওস্তাদ। এ ব্যাপারটা মোটামুটি সবাই জানেন; কিন্তু ঠিক কীভাবে এ চিকিৎসা হয়, ওষুধপথ্য কী—সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানার জন্য গবেষণা করতে হয়েছে। কুকুর–বিড ালের পেটের অসুখ হলে ওরা ঘাস, লতাপাতা খেয়ে বমি করে সুস্থ হয়ে ওঠে। আফ্রিকার একধরনের শিম্পাঞ্জির পেটের অসুখ হলে ভেরোনিয়া নামক উদ্ভিদের বিষাক্ত ফল খেয়ে অনায়াসে সুস্থ হয়ে ওঠে। এই ফল বেশি খেলে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু ওই প্রজাতির শিম্পাঞ্জি ওষুধের ডোজ ভালোই জানে।
কোনো প্রাণী, যেমন হাতি অনেক সময় মাটি খায়। দেখা গেছে, কাদামাটিতে বিভিন্ন খনিজ লবণ থাকে, যা প্রাণীর শরীরের জন্য প্রয়োজন। মাটি বিষনাশক হিসেবেও কাজ করে। কোনো কোনো বুনো উদ্ভিদ আত্মরক্ষার জন্য নিজ দেহে বিষাক্ত পদার্থ জন্ম দেয়। কোনো প্রাণী সেই উদ্ভিদ খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ধরনের আপদ থেকে বাঁচার জন্য অনেক প্রাণী মাটি খায়। কারণ, মাটিতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা প্রাণীকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে বাঁচায়। বুনো পশুপাখিরা এই সব ডাক্তারিবিদ্যা বংশগতির ধারায় উত্তরাধিকারসূত্রে অর্জন করে।

 

যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু হল গ্রিন কার্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনা মহামারীর অজুহাত দেখিয়ে গত বছর বিদেশিদের গ্রিন কার্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। এই ঘোষণাকে ভিত্তিহীন মন্তব্য করে বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে আবারও চালু করলো গ্রিন কার্ড।
এখন থেকে দেশটিতে গ্রিন কার্ডের জন্য আবারও আবেদন করতে পারবেন বৈধ অভিবাসীরা। গত বুধবার এক ঘোষণায় গ্রিন কার্ড বিষয়ে জারি করা ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, 'বৈধ অভিবাসীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য সুবিধাজনক নয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের থাকা পরিবারগুলোকে তাদের প্রিয়জনদের থেকে আলাদা করেছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আর অর্থনীতিরও ক্ষতি করেছে।'
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বাড়ায় গ্রিন কার্ডে নিষেধাজ্ঞা দেন ট্রাম্প। সবশেষ ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন বাইডেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ অভিবাসীরা এখন থেকে গ্রিন কার্ড সংগ্রহ করে দেশটিতে বসবাস করতে পারবেন।




উচ্ছেদের মুখে লালদিয়ার চর ছাড়ছেন বাসিন্দারা
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে নগরের লালদিয়ার চরে বন্দরের উচ্ছেদ অভিযানের মুখে স্বউদ্যোগে বাসাবাড়ি ছাড়ছেন বাসিন্দারা।
১ মার্চ ২০২১ থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছয়টি জোনে ভাগ করে ৫২ একর জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তার আগেই কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা বসতবাড়ি, ভাড়াঘর, দোকানপাট ভেঙে নিয়ে যান বাসিন্দারা।
নামমাত্র মূল্যে লোহালক্কড়, টিন, ইট, বাঁশ ইত্যাদি স্পটে বিক্রি করে দেন অনেকে। সংকট দেখা দিয়েছে পরিবহন ও শ্রমিকের। এ সময় নারী শিশুদের কান্নাকাটি, আহাজারিতে হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা দেয়।
লালদিয়াচর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হাসান বলেন, আজ লালদিয়ার চর ছেড়ে আমরা চলে যাচ্ছি। ১৪ হাজার মানুষকে পথে নামতে হয়েছে। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে গত ২০ দিন চেষ্টা করেছি। অহিংস আন্দোলন করেছি।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে আমরা চলে যাচ্ছি। জানমাল, মা, শিশু, বৃদ্ধদের রক্ষার জন্য আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যেতে হচ্ছে। ভাড়া ঘরও পাওয়া যাচ্ছে না। বন্দর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছি, আমরা দেশের জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছি। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আমরা পুনর্বাসন চাই, খাসজমি চাই।
তিনি বলেন, আমাদের নিষ্কণ্টক জায়গার পরিবর্তে ৪০০ পরিবারকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে লালদিয়ার চরে জায়গা দিয়েছিল ১৯৭২ সালে। নদী রক্ষার কথা বলে ৪৯ বছর পর আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে লালদিয়াচর মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, ২৩শ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক তৈরির সময় আমাদের উচ্ছেদ করা হয়। ১৯৭২ সালে এ জায়গা দিয়েছে। ডিসি অফিসে খাজনা দিয়েছি ২ বছর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটি দাবি, আমাদের পুনর্বাসন করা হোক। এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মসজিদ, ২টি কিন্ডারগার্টেনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গত ২৭ ফেব্র“য়ারি বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে চূড়ান্ত উচ্ছেদের বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটিকে জানিয়ে দিয়েছেন।
 

সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবেন বাংলাদেশীরা

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সৌদিতে কোনো বিদেশী অভিবাসী যদি কোনো নারীকে বিয়ে করেন তবে তিনি মাসিক বেতনসহ পেনশন সুবিধা পাবেন।
সৌদি আরবের সরকার বাংলাদেশীসহ বিদেশিদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে নতুন শর্ত বেঁধে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের নতুন কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যভত্তিকি সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, বিয়ের ক্ষেত্রে একজন সৌদি পুরুষ ও একজন বিদেশি স্ত্রীর মধ্যে অনুমোদিত বয়সেরে পার্থক্য হলো অর্ধেক। তবে সৌদি নারীদের মধ্যে যারা বিদেশিদের বিয়ে করতে চায় তাদের জন্য বয়স সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কমানো হয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৬ সালে বিদেশিদের সঙ্গে সৌদি নাগরিকদের বিয়ের ক্ষেত্রে করা ১৭টি পয়েন্ট তালিকায় সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, দম্পতিদের বয়সের পার্থক্য ১৫ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এর আগে ছিল ৩০ বছর।
সৌদি ডেইলি ওকাজের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সৌদি নারীদের মধ্যে যিনি বিদেশি স্বামী নিতে চান তার বয়স কখনোই ৫০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না। এর আগে সর্বোচ্চ ৫৫ বছররে কথা উল্লেখ ছিল। সৌদি আরবের আইন মন্ত্রণালয়ের মতে, বিবাহিত সৌদি নারীদের শতকরা ১০ ভাগ তথা প্রায় ৭ লাখের মতো সৌদি নারী বিদেশিদের বিয়ে করেন। তবে ঠিক কতজন সৌদি পুরুষ বিদেশিদের বিয়ে করেন তার প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি।
সৌদি পরিবারগুলোর কল্যাণের জন্য চ্যারিটেবল সোসাইটির আওসিরের প্রধান তৌফিক আল সোয়ায়লেম বলেন, গত ২০ বছরে অ-সৌদি নারীদের সঙ্গে বিয়ে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। যৌতুকের উচ্চ হার, বিয়ের খরচ, কম আয় এবং পারিবারিক জ্ঞানের অভাব প্রভৃতি কারণেই সৌদি পুরুষরা বিদেশিদের স্ত্রী রূপে গ্রহণ করছেন।
সৌদি নাগরিকদের অসৌদিদের বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। সংশোধনীর নিয়ম অনুসারে, একজন সৌদি পুরুষের বয়স ৪০ থেকে ৬৫ বছররে মধ্যে হলে তিনি বিদেশি কোনো নারীকে বিয়ে করতে পারবেন। অন্যদিকে এক সৌদি নারী বিদেশি কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে চাইলে তার বয়স হতে হবে ৩০ থেেক ৫০ বছরের মধ্যে।
পাত্রী যদি ডিভোর্সী হয় তাহলে বিচ্ছেদের পর কমপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। তার পর তিনি বিয়ে করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার তিনি নিজে যদি সৌদি কোনো নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকার পরও কোন বিদেশিকে দ্বিতীয় বিয়ে হিসেবে গ্রহণ করতে চান তাহলে এর জন্য সরকারি একটি সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। তাকে এটা প্রমাণ করতে হবে, বিয়ে সংক্রান্ত সব দায়িত্ব পালনে প্রথম স্ত্রী অক্ষম। সার্টিফিকেটটা অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হতে হবে।
আবেদনকারীকে একটি ডকুমেন্টেও স্বাক্ষর করতে হবে; যেটি দ্বারা এটা বোঝায় যে, বিবাহের অনুমোদনের অর্থ এই নয়? যে তার বিদেশি স্ত্রীকে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
একজন অ-সৌদি যিনি এরই মধ্যে বিয়ে করেছেন তিনি কোনো সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবেন না। তবে তিনি যদি কোনো সৌদি নারীকে বিয়ে করতে চান তাহলে তার নিজ দেশ এবং সৌদিতে তিনি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না এমন প্রমাণ দিতে হবে।
আবার তিনি সংক্রামক বা জেনেটিক রোগে ভুগছনে কি না তারও প্রমাণ দিতে হবে। তাকে অন্য কোনো দেশের সামরিক সদস্য হওয়া যাবে না। সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাদের তালিকায়ও থাকা যাবে না তাকে। এ ছাড়া বিদেশি স্বামীকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার সৌদি রিয়াল আয় করতে হবে এবং একটি বৈধ বাসস্থানের অনুমতি থাকতে হবে।
অ-সৌদিদের সকল তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে নতুন সংশোধনীতে। পরে আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে তথ্য যাচাই বাছাই শেষে কমিটির সদস্যরা তাদের অভিমত জানাবেন।
সৌদি আরবে তিন কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই বিদেশি। যারা কাজের জন্যই মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে এসেছেন।



 

সিরিয়া যুদ্ধে বন্দি লাখো মানুষের খোঁজ মেলেনি এখনও: জাতিসংঘ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সিরিয়ায় ১০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় বাছবিচার ছাড়াই বন্দি হওয়া লাখো বেসামরিক লোক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
তাদের দেওয়া নতুন একটি প্রতিবেদনে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সব দলের মাধ্যমে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে, কয়েক হাজার বন্দিকে নির্যাতন করা হয়েছে বা হত্যা করা হয়েছে বলে এতে বলা হয়েছে।
নির্যাতিত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ‘অকল্পনীয় দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়েছেন, এসবের মধ্যে ১১ বছর বয়সী পর্যন্ত বালক ও বালিকাদের ধর্ষণের মতো ঘটনাও আছে।
এসব ঘটনা ‘জাতীয় মানসিক আঘাত হয়ে আছে এবং এগুলোকে অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।
মার্চ, ২০১১ এ সরকারবিরোধী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমাতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার মারাত্মক শক্তি প্রয়োগ করলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, তাতে সিরিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
এই লড়াইয়ে অন্তত তিন লাখ ৮০ হাজার লোকের মৃত্যু হয় এবং দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক বাড়ি ছেড়ে পালতে বাধ্য হয়, এদের মধ্যে প্রায় ৬০ লাখ বিদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন।।

 

 পঙ্গপাল থেকে সার, হাঁস-মুরগি-গরুর খাবার

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কেনিয়ার কিছু অঞ্চল এখন পঙ্গপালের দখলে। যেখানে যাবেন সেখানেই পঙ্গপাল। ক্ষেতের সব ফসল যাচ্ছে পঙ্গপালের পেটে। নিরুপায় কৃষকরা তাই পঙ্গপাল বিক্রি করেই বাঁচার চেষ্টা করছেন।
একদিনে ১৫০ কিলোমিটার দূরে উড়ে যেতে পারে পঙ্গপালের ঝাঁক। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক ঝাঁকে থাকে চার থেকে আট কোটি পঙ্গপাল। তাই পঙ্গপাল ওড়া মানে আকাশ প্রায় অন্ধকার আর মাটিতে নামা মানে মহা সর্বনাশ।
কেনিয়ার রুমুরুতি শহরে শান্তিতে পথ চলা দায়। একটি ছবিতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল আরোহী তো পঙ্গপালের উৎপাতে পথই দেখতে পারছেন না।
পঙ্গপাল আসে খাবারের খোঁজে। সবুজ পাতা আর ক্ষেতের ফসল তাদের খাবার। তাই যে অঞ্চলেই পঙ্গপালের ঝাঁক সেখানে অল্প সময়ের মধ্যেই সব ফসল শেষ।
কৃষকদের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে স্টার্ট-আপ কোম্পানি দ্য বাগ পিকচার। বিজ্ঞানীদের সহায়তায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর অভিনব এক উপায় বের করেছেন তারা। ফলে কৃষকদের মলিন মুখে দেখা দিয়েছে মৃদু হাসি।
কৃষকদের ক্ষেতের ফসল পঙ্গপালের পেটে যেতে দেখে শুধু হায় হায় না করে পঙ্গপাল দিয়েই সামান্য আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে দ্য বাগ পিকচার। ক্ষেত থেকে পঙ্গপাল ধরে তা বিক্রি করেই আনন্দ পাচ্ছেন কৃষকরা।
পঙ্গপালের প্রতি কেজি ৫০ কেনীয় শিলিং (০.৪৫৬৬ ডলার) হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। কৃষকদের কাছ থেকে কেনা সব পঙ্গপাল বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছেন দ্য বাগ পিকচারের কর্মীরা। বস্তায় ভরে আনা পঙ্গপাল প্রথমে ভালো করে শুকানো হয়। তারপর গুঁড়ো হয়ে যায় সব রাক্ষুসে পোকা।
পরীক্ষাগারে শুকনো পঙ্গপালের গুঁড়োর প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা যায় পঙ্গপালের গুঁড়ো পশুখাদ্য হিসেবে দারুণ।পঙ্গপালের গুঁড়োর তৈরি জৈবসার ফসলের ফলন বাড়াতে সহায়তা করে। তাই কেনিয়ায় সার হিসেবেও সংরক্ষণ করা হচ্ছে পঙ্গপাল।
মুরগিকে খাওয়ানো হচ্ছে পঙ্গপাল গুঁড়ো করে বানানো খাবার। এ খাবার গবাদি পশুসহ আরও কিছু প্রাণীর পেটে যাচ্ছে এখন।


 

Top

দুদককে জাত সাপ হতে হবে, ঢোঁড়া সাপ নয় : হাইকোর্ট


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্বিষ ঢোঁড়া সাপ না হয়ে বিষধর জাত সাপ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদকের কাজ হলো দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ করা।
সেগুলো করতে গিয়ে দুদককে ঢোঁড়া সাপ হলে হবে না, জাত সাপ হতে হবে। দাঁত নেই এরকম সিংহ হয়ে লাভ নেই। ভাঙ্গা দাঁত নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না। দুদককে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে হবে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিান থেকে গোপনে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশে ব্যাংকে পাচার হওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনের ওপর শুনানিকালে দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস গত পহেলা ফেব্রুয়ারি রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে আব্দুল কাইয়ুম খান শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতের মন্তব্যের পর শুনানিতে দুদকের আইনজীবী বলেন, দুদক কখনওই দন্তহীন বাঘ ছিল না। এ সময় আদালতে অন্য মামলায় উপস্থিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, দাঁত আছে, কিন্তু দাঁতে বিষ নাই। জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, সবই আছে।
আব্দুল কাইয়ুম খান আদালতকে বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তার ব্যাপারে, দুদকের কাছে যে তথ্য আছে সেটা দাখিল করার জন্য, অর্থ পাচার রোধে বিশেষ তদন্ত টিম করার, আইন সংশোধনের জন্য আদেশ প্রদানে আদেশ চেয়েছি।
আদালত বলেন, সঠিক তথ্য না থাকলে আমরা এটা কিভাবে দেব। আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, রুল দিয়ে আপনারা দুদকের কাছে তথ্য চান। দুদক তথ্য দিতে বাধ্য।

 
হিজড়াদের জন্মই যেন আজন্ম পাপ!


সুশিক্ষিত পরিবারে জন্ম চাঁদনীর (ছদ্ম নাম)। বাবা-মা, ভাই-বোনের সঙ্গে থেকেই পড়ালেখাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
পরিবার তাকে সহজভাবে গ্রহণ করলেও প্রতিবেশী ও সমাজের লোকজনের কাছে তিনি যেন সাক্ষাৎ বিপত্তি। বাঁকা চোখে তার দিকে চেয়ে বলে, ওই দেখ হিজড়া যায়। অথচ জন্মের পর বাবা-মা যে নাম দিলো, সে নাম ধরে কেউ ডাকে না।
শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্ম। দোষটা যেন তাদেরই! তারা অলক্ষী, অশুচি। তাদের মুখ দেখলেও যেন অনিষ্ট যাত্রাপথ। সমাজের এমন সব বিষাক্ত কটুক্তি তাদের আত্মহত্যারও প্রবণতা যোগায়। সমাজের লোকজন গোত্রে আলাদা করে দিয়েছে তাদের হিজড়া নামে।
অথচ তাদেরও ঘর আছে, আছে স্বজন। অন্য সবার মতো মন আছে। আছে সুন্দর মতো বেঁচে থাকার অধিকার। কিন্তু পদে পদে সেই অধিকার খর্ব করছে কেবল তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে জন্ম নেওয়ায়। নিজেদের কারণে স্বজনদের সমাজে হেয়প্রতিপন্ন না হতে ঘর ছাড়েন তারা। খোঁজে নেন গোত্র, স্বজাতিদের। তারা স্বজন না হলেও একে অন্যকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকেন হিজড়া জনগোী নামে। কিন্তু স্বজন, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে তাদের দুঃখ বুঝার কেউ থাকে না।
দুমুঠো অন্ন সংস্থানে জড়াতে হয় ভিক্ষাবৃত্তিসহ অপকর্মে। একসময় রোগ-শোকে ভুগতে ভুগতে অবসান হয় গ্লানিময় জীবনের। অন্তত বাংলাদেশে হিজড়াদের জীবন বলতে গেলে একই রকম।
মুক্তা হিজড়া (২৩)। বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে। ১৪ বছর বয়স থেকে ঘর ছাড়তে ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এখানে ওখানে শহরের পর শহর ঘুরে সিলেটে আসা। সিলেট হোক কিংবা ঢাকা। সব স্থানেই জীবন গণ্ডিতে বাঁধা। অন্যান্য হিজড়াদের সঙ্গে মিলে চলে ভিক্ষাবৃত্তি। যা সমাজের চোখে চাঁদাবাজি তা আমাদের চোখে খাবার সংস্থান। কোনো বাড়িঘর কিংবা অট্টালিকা গড়তে নয়। নইলে খামু কি? খাওয়াবে কে?- সাফ জবাব তার।
মুক্তার মতো পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা হিজড়ারা। হিন্দু-মুসলিম, কোনো ধর্মের আইন তাদের জন্য নয়। নেই রাষ্ট্রের আইনও। তাই, গুরুমার অধিনেই চলে জীবন। সেই গুরুমার নির্দেশে তারা হাট-বাজারে, মার্কেটে, বিয়ে বাড়িতে, গাড়িতে, সংঘবদ্ধভাবে ভিক্ষাবৃত্তির নামে টাকা বা খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করেন। তা ভাগাভাগি করে কোনোরকমে বেঁচে থাকা।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চেতের কথা বলা হলেও হিজড়ারা প্রায় সবক্ষেত্রেই বঞ্চিত। আইনী বাধা না থাকলেও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, নানা কুসংস্কারের কারণে তাদের ঘর ছাড়তে হয়। দেখিয়ে দেওয়া হয় তোমার স্থান এই সমাজে নয়। আর সমাজচ্যুত হওয়ায় পরতে পরতে হতে হয় বঞ্চনার শিকার। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা পান না। বঞ্চিত শিক্ষাক্ষেত্রেও। শিক্ষা প্রতিানে গেলেও তাদের নিয়ে কটাক্ষ করা হয়। দ্বিধায় ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হতে হয়।
সম্প্রতি এনজিও সংস্থা বন্ধুর সহায়তায় হিজড়াদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারেরও পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। যদিও গত কয়েক বছর থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। একটা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক এক হাজার টাকা ভাতাও দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন কেনার জন্যও টাকা দেয়া হয়। কখনো কর্মকর্তারাই তা কিনে দিচ্ছেন। কিন্তু কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি প্রশিক্ষণ শেষে কতজন হিজড়া কাজে লেগেছে বা আয়-রোজগার করছেন- জানতে সিলেট জেলা সমাজসেবা অফিসে গেলে পরিচালক নিবাসরঞ্জন দাস এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তার কথা, কাজ করছে অনেকে, ব্যবসাও করছে। '
নেতৃস্থানীয় হিজড়ারা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে দৈনিক ভাতার প্রায় অর্ধেকটা নিজেরাই নিয়ে নেন। এমন একটা ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে হিজড়াদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন মনে করছে সচেতন মহল।
 


 বাংলা শিখিয়েছে বাঘের বাচ্চার মতো লড়বি, বিড়াল দেখে ভয় পাবি না: মমতা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে ভাতিজা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে সিবিআই এর নোটিশ প্রসঙ্গে মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে সরকারি অনুানে তিনি বলেন, ধমকানি-চমকানি আর জেল-টেল দেখিয়ে প্লিজ আমাদের ভয় দেখাবেন না। এসব আমরা অনেকদিন আগে পার হয়ে এসেছি। বন্দুকের সঙ্গে যারা লড়াই করে এসেছি তারা আবার নেংটি ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে ভয় পাবো কেন?'
মমতা বলেন, আমাকে এই বাংলা শিখিয়েছে বীরের মতো লড়বি। বাঘের বাচ্চার মতো লড়বি। বাঘের বাচ্চা যেন বিড়ালকে দেখে ভয় না পায়।
দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার ওপর আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, বাংলা মানে সব থেকে খারাপ, এই একটা অ্যাটিটিউড, পারসেপশন সো ব্যাড। বাঙ্গাল বলেছে, কাঙ্গাল বলেছে, কত কী বলে বেড়াচ্ছে। আর আমি তো শুনেছি কখনও কখনও বলে বেড়াচ্ছে দিল্লির কিছু নেতা, বাঙালিদের মেরুদণ্ড কী করে ভেঙে দিতে হয় আমি জানি। আমি বলি, আসুন না, একটু চেষ্টা করে দেখুন না। অনেকবার তো চেষ্টা করেছেন।
তৃণমূলনেত্রী মমতা প্রতিজ্ঞা করেন, ভাষা দিবসে আমি আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করছি। যতদিন আমার দেহে প্রাণ থাকবে, কোনও ধমকানি-চমকানিকে ভয় পাই না, এবং পাবোও না। আমাদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়। আমাদের চোখ উপড়ে দেওয়াও অত সহজ নয়। আমাদের জাতিটাকে বিস্মৃত করিয়ে দেওয়াটাও অত সহজ নয়।
 

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ BHRC মুগদা থানা শাখা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC, BHRC'র মুগদা থানা শাখা ২৬ ফেব্র“য়ারী মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে BHRC মুগদা থানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ফ্রী হেল্থ প্রোগ্রাম (বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা) ও করোনা মহামারীর সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন BHRC মুগদা থানা শাখার সভাপতি প্রিন্স নাসির। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাম কিবরিয়া খান রাজা প্রধান পৃষ্ঠপোষক BHRC মুগদা থানা।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন BHRC’র ডেপুটি গভর্নর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজমুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মোঃ ইব্রাহীম মোল্লা, উপদেষ্টা BHRC মুগদা থানা, ডাঃ মোঃ আমির হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন BHRC’র মুগদা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম রিজন। BHRC’র মুগদা থানা শাখার নির্বাহী সভাপতি আকরাম মজুমদার জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আক্তার হোসেন সুইডেন, নিত্যনন্দন মন্তল, মৌরিন আক্তার মুক্তা, মোঃ আরফান সরকার প্রমুখ।  
 

 


আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় প্রকাশিত অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিয়ে প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যাতে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী এসব অপচেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
গত ১ ফেব্র“য়ারি অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন শিরোনামে আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর আইএসপিআরের মাধ্যমে দুই দফা বিবৃতি দিয়ে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে সেনা সদর।
যখন ওই প্রতিবেদন আল-জাজিরা প্রচার করে, জেনারেল আজিজ আহমেদ তখন সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। ১২ ফেব্র“য়ারি দেশে ফেরার পর মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের অনুান শেষে তিনি প্রথমবারের মত এ বিষয়ে কয়েকটি টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, সময় টেলিভিশনসহ কয়েকটি টিভি ইতোমধ্যে সেনাপ্রধানের ওই বক্তব্য সম্প্রচার করেছে। সেখানে আল-জাজিরা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল আজিজ বলেন, আইএসপিআরের মাধ্যমে যে রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়েছে, সেটা সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল বক্তব্য।
“ইতোমধ্যে আমি নিশ্চিত, আপনারাও জানেন যে, যে ধরনের অপচেষ্টাগুলো আমার যে দায়িত্ববোধ, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়াটা হয়েছে, সেটা খর্ব হতে পারে, আমি সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। “আমার ভাইয়ের সঙ্গে যখন মালয়েশিয়াতে দেখা করেছি, তখন তার নামে কোনো মামলা ছিল না। যে একটা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ছিল, সেটা থেকে অলরেডি অব্যাহতিপ্রাপ্ত ছিল। সেই অব্যাহতি মার্চ মাসে হয়েছিল। আমি এপ্রিল মাসে গিয়েছিলাম। এখানে আল-জাজিরা যে স্টেটমেন্টটা দিয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে দিয়েছে। কারণ সেদিন আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে, আমি যদি বলি, সেদিন না কোনো সাজা ছিল, না তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল। তার আগেই যে মামলাটা ছিল, সেটা থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।” জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, “সেকেন্ড যে জিনিসটা হল যে, বিভিন্ন সময়, আপনি যেটা বললেন যে, বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় আমার যে চিত্র ধারণ করা হয়েছে, আমি সেনাপ্রধান হিসেবে মনে করি, যখন আমি অফিসিয়াল ক্যাপাসিটিতে কোথাও থাকব, তখন আমার নিরাপত্তা সেটা হলো অফিসিয়ালি নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। আমি যেখানেই যাই, সেটা হোস্ট কান্ট্রি করে থাকে। সেখানে আমার অতিরিক্ত কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।


BHRC'র এয়ারপোর্ট থানা শাখার নব গঠিত কমিটির শপথ অনুষ্ঠান ও শীতবস্ত্র বিতরণ


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কতৃক নিবন্ধিত বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-BHRC'র বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা শাখার সভাপতি মুকূল চন্দ্র মূখার্জীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসাইন (মামুন) এর সঞ্চালনায় আয়োজিত নব গঠিত কমিটির শপথ গ্রহন ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর দপ্তরের ডেপুটি গভর্নর ও বরিশাল মহানগর কমিটির সভাপতি আবু মাসুম ফয়সল, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার (মিন্টু), সহ সভাপতি মোঃ উজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম ঢালি, মোঃ মাছুম, বন্দর শাখা কমিটির সভাপতি হাদিসুর রহমান পান্না, কোতোয়ালি শাখার রাইসুল ইসলাম অভি, বি এম কলেজ শাখা সভাপতি গাজী আবির উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন এয়ারপোর্ট থানা শাখার উপদেষ্টা , ইঞ্জিঃ হারুন অর রশিদ, উপদেষ্টা মেজবাহুল বারী নওরোজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান,ও জনাব মাকসুদুর রহমান (মাসুদ)। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা জনাব জসিম উদ্দিন খান, জনাব বাহাউদ্দিন শিকদার, জনাব মিরাজ খান, আব্দুর রশীদ চোধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ আহসান উল্লাহ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জহির উদ্দিন বাবর, মোঃ সানজিদুল ইসলাম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ রানা, প্রচার সম্পাদক পারভেজ সরদার, দপ্তর সম্পাদক বশিরুল ইসলাম সহ শাখার অনান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করান মহানগর কমিটির সভাপতি আবু মাসুম ফয়সল। অনুষ্ঠানের শেষাংশে শতাধিক লোকের মাঝে কম্বল বিতরণ ও করোনা কালীন মুহূর্তে মানবিক কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় জনাব দেলোয়ার হোসেন (কনক), মোঃ জাহিদ হোসেন (রুবেল), রবিউল ইসলাম রিপন ও করোনা আক্রান্ত লাশ দাফনে সহযোগিতা করায় মোঃ ফয়সাল আহমেদ কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

 



স্ত্রীকে ঘরের কাজের জন্য টাকা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
সাধরণত ঘরের কাজগুলো নারীরাই করে থাকেন। ফলে বিশ্বব্যাপী এমন একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, নারীরাই করবে ঘরের কাজ। আর সেই কাজে নেই কোনো স্বীকৃতি বা পারিশ্রমিকও। তবে গৎবাধা সেই ধারার বাইরে এবার নজিরবিহীন এক রায় দিলো চীনের একটি আদালত।
রোয়া কাজের জন্য স্ত্রীকে টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। গত ২২ ফেব্র“য়ারি ২০২১ রাজধানী বেইজিংয়ের একটি ডিভোর্স আদালত স্বামীকে টাকা পরিশোধের বিষয়ে নজিরবিহীন এই রায় দেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাঁচ বছরের সাংসারিক জীবনে করা সকল ঘরোয়া কাজের বেতন হিসেবে চীনা মুদ্রায় এক নারীকে ৫০ হাজার ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা) পরিশোধ করার আদেশ দেন আদালত। পাঁচ বছর বিনা বেতনে ঘরের কাজ করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে বলে রায়ে জানিয়েছেন আদালত।
এদিকে আদালতের এমন নজিরবিহীন রায়ের পর অনলাইন তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ঘরে করা কাজের মূল্য কত হতে পারে- তা নিয়েই মূলত বিতর্কে মেতেছেন নেটিজেনরা। এমনকি চীনা মুদ্রায় ৫০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণকে অনেকে খুব অল্প বলেও অভিহিত করছেন। সম্পদ ও পরিবার নিয়ে চীনে নতুন আইন প্রণয়নের পর দেশটির আদালত এই রায় দিলেন।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিয়ে করেন চেন এবং ওয়াং। পাঁচ বছর সংসার করার পর ২০২০ সালে স্ত্রী ওয়াংকে তালাক দেন স্বামী চেন। তবে তালাকের বিপক্ষে ছিলেন স্ত্রী। শেষমেষ আর সংসার করতে না পেরে একপর্যায়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ওয়াং।
স্ত্রীর দাবি, পাঁচ বছরের সংসার জীবনে ঘরের কোনো কাজে তাকে সাহায্য করেননি স্বামী চেন। এমনকি বাচ্চার দেখাশোনার কাজেও স্ত্রীর হাতে হাত মেলাননি তিনি। সন্তান লালন-পালনসহ সংসারের সব কাজ তিনি একাই করেছেন। আর তাই ক্ষতিপূরণ পাওয়া তার অধিকার।
স্ত্রী ওয়াংয়ের এই যুক্তি মেনে নেয় বেইজিংয়ের ফাংশান জেলার আদালত। সাংসারিক জীবনের প্রতি মাসে দুই হাজার ইউয়ান করে দেওয়ার পাশাপাশি এককালীন আরও ৫০ হাজার ইউয়ান দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।


ভারতের তৈরি করোনা টিকা নিলেন মোদি


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এ গিয়ে টিকা নেন প্রধানমন্ত্রী। এই কো-ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক। মোদিকে করোনার প্রতিষেধক দেন পুডুচেরির নার্স পি.নিভেদা।
টিকা নেওয়ার পর টুইট করে নরেন্দ্র মোদি জানান ‘এইমসে গিয়ে করোনার প্রথম দফার ডোজ নিলাম। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যেভাবে চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা সকলে মিলে কাজ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি আবেদন জানাচ্ছি যে যারা টিকা নেওয়ার যোগ্য তারা এটা নিয়ে নিন। চলুন সকল মিলে একসঙ্গে কোভিড মুক্ত ভারত গড়ে তুলি।

 

দেওয়ানগঞ্জে জেলের জালে ১২০ কেজির বাঘাইড়


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
জামালপুরের দেওয়াগঞ্জে যমুনা নদীতে শনিবার জেলেদের জালে ধরা পড়ে ১২০ কেজি ওজনের বাঘাইড়- সমকাল
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যমুনা নদীতে জেলের জালে ১২০ কেজি ওজনের ৬ ফুট লম্বা বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চিকাজানীর খোলাবাড়ীর কাছে ফাঁসি জালে মাছটি ধরা পড়ে।
বাহাদুরাবাদ সরদার পাড়ার জেলে বাদশা মিয়া ও তার ছেলে ময়নুল হকের পাতানো ফাঁসি জালে ধরা পড়ে ওই বাঘাইড়। প্রথমে ভয় পেয়ে যান বাদশা মিয়া ও তার ছেলে। তাদের ডাকে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে এসে মাছটি টেনে তুলতে সাহায্য করেন। পরে তারা জীবিত অবস্থায় বাহাদুরাবাদ সরদারপাড়া ব্রহ্মপুত্রের ঘাটে এনে পানিতে বেঁধে রাখেন মাছটি। ১৫শ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম চাওয়া হলে বিক্রি হয় এক লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকায়।
বাদশা মিয়া বলেন, মাছটি জালে আটকে যাওয়ার পরে আমরা ভয় পেয়েছিলাম। অনেক কষ্টে মাছটি ডাঙায় তোলা হয়। মাছটির ক্রেতা জেলে শাহার আলী বলেন, কেনার পর থেকেই পাহারা দেওয়া হচ্ছে। বিক্রির জন্য প্রচারে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। কেজি প্রতি মানানসই লাভ হলেই বিক্রি করে দেব।

 

 


 

নারী ও শিশু সংবাদ


 

অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিচে বাংলাদেশ

 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ

'অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণে বিশ্বব্যাংকের করা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২১ ইনডেক্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১৯০টি দেশে আটটি সূচকের আলোকে ৩৫টি প্রশ্নের ভিত্তিতে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৯ দশমিক ৪। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় নারীরা গড়ে অর্ধেকেরও কম সুবিধা পাচ্ছেন। গত বছরের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশ এই মানে ছিল।
এবারের প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থান নেপালের। ১০০ নম্বরের মধ্যে নেপাল পেয়েছে ৮০ দশমিক ৬। গত বছর নেপালের নম্বর ছিল ৭৩ দশমিক ৮। এ বছর নেপালের পরেই রয়েছে ভারত। গত বছরের মতো এবারও ভারতের নম্বর ৭৪ দশমিক ৪। সূচকে তার পরেই ৭৩ দশমিক ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে মালদ্বীপ। ভুটান ৭১ দশমিক ৯, শ্রীলঙ্কার ৬৫ দশমিক ৬ আর পাকিস্তান রয়েছে ৫৫ দশমিক ৬ পয়েন্টে। গত বছর পাকিস্তানের পয়েন্ট ছিল ৪৯ দশমিক ৪। এ বছর অনেকটাই সমতা এনেছে পাকিস্তান। এই অঞ্চলে শুধু আফগানিস্তানের (৩৮.১) ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ।
চলাচলের স্বাধীনতা, কর্মক্ষেত্রের সমতা, মজুরি, বিবাহ, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব, উদ্যোগ, সম্পদ ও পেনশন এই আট সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি সূচকের সর্বোচ্চ নম্বর ১০০। এরপর তা গড় করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে সূচকে শতভাগ পয়েন্ট অর্জন করেছে ১০টি দেশ। অর্থাৎ অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে সামান্যতম বাধা নেই এসব দেশে। দেশগুলো হলো বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, পর্তুগাল ও সুইডেন।
এতে দেখা গেছে, চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা শতভাগ স্বাধীন। অর্থাৎ বাংলাদেশের নারীদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ায় বাধা নেই। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মজুরি, কর্মকালীন মাতৃত্ব সুবিধা ও পেনশনে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে দেশের নারীরা। কর্মকালীন মাতৃত্ব সুবিধার ক্ষেত্রে ১০০–তে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ২০। মজুরি ও পেনশনের ক্ষেত্রে পয়েন্ট ২৫ করে। এ ছাড়া বিবাহে ৬০, উদ্যোগে ৭৫, সম্পদে ৪০ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রে সূচকে শতভাগ পয়েন্ট অর্জন করেছে ১০টি দেশ। অর্থাৎ অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে সামান্যতম বাধা নেই এসব দেশে। দেশগুলো হলো বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, পর্তুগাল ও সুইডেন। আটটি সূচকেই ১০০ পয়েন্ট করে পেয়েছে দেশগুলো। গত বছর আটটি দেশ ১০০ পয়েন্ট অর্জন করেছিল।
প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে নারী-পুরুষ ব্যবধান বেড়ে যেতে পারে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নারীরা এখনো আইন ও নীতির বাধায় রয়েছেন। বৈশ্বিক পরিসরে নারীদের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের আইনি অধিকার চার ভাগের তিন ভাগ, অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ।
এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মুসলিম দেশগুলোর ৭৫ শতাংশই গড় পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি। এই অবস্থান এটাই নির্দেশ করে যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ অর্জনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। তালিকার সবচেয়ে কম পয়েন্ট রয়েছে ঘানা, ইয়েমেন, কুয়েত, সুদান, কাতার, ইরাক, ওমান, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের।
২০২১ সালের এই প্রতিবেদন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের ভিত্তিতে করা হয়েছে। ১৯০টি দেশের মধ্যে ৫৬টি দেশই গড় পয়েন্ট পায়নি। করোনার এই সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। তবে করোনার পরেও ২৭টি দেশ নারী-পুরুষ সমতায় নানা সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
 

কন্যাশিশুর ওপর যৌন হয়রানি বেড়েছে
 


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
করোনাকালে ৩০ শতাংশ শিশু অনলাইনে নিপীড়ন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর নিপীড়নের শিকার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ কন্যাশিশু এবং ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছেলে শিশু। ‘শিশুদের বিরুদ্ধে অনলাইনে যৌন শোষণের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি ও পরিস্থিতি যাচাই এবং প্রবণতা বিশ্লেষণ’ বিষয়ক এক গবেষণা পরিচালনা করে এ তথ্য জানা যায়। কভিড-পরবর্তী জরিপ পরিচালনায় দেখা গেছে, নিপীড়ন বা নির্যাতনের শতকরা হার প্রায় চার গুণ বেড়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ শিশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। ৮৮ শতাংশ শিশু করোনাকালে অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনলাইনে শিশু নিপীড়নের ধরন সম্পর্কে বলা হয়, শিশুদের ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য ইন্টারনেটে প্রকাশ, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন, অশালীন প্রস্তাব, সাইবার বুলিং, ব্ল্যাকমেইলিং, পর্নোগ্রাফি এবং কোনো না কোনোভাবে যৌনতাবিষয়ক ছবি ও তথ্য উল্লেখযোগ্য। ১০৮ জন শিশুকে মুঠোফোনে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়। জরিপে এসেছে, ৫৪ শতাংশ শিশুর নিজস্ব ডিভাইস (মুঠোফোন, কম্পিউটার, ট্যাব) আছে। ১০০ শতাংশ শিশুই মেসেঞ্জার ব্যবহার করে। ৩৮ শতাংশ শিশু ইমো ও ১৬ শতাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। অন্তত ৯৪ শতাংশ শিশু জানিয়েছে, করোনাকাল কোনো না কোনোভাবে তাদের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। অনলাইনে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার শিশুদের ৪১ শতাংশ পরবর্তীকালে তাদের অভিভাবক ও স্বজনদের বিষয়টি জানিয়েছে। তার মধ্যে ৬ শতাংশ শিশুর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির শিশু অধিকার ইউনিটের সমন্বয়ক ওম্বিকা রায় বলেন, দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ পাস হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই আইনে অনলাইনে শিশুদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বিষয়টিকে চিহ্নিত করে আলাদা কোনো বিধান রাখা হয়নি, যার কারণে ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে।


বাল্যবিয়ে দেওয়ায় দু'জনের কারাদণ্ড


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
হরিণাকুণ্ডুতে নবম শ্রেণিপড়ূয়া এক ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে দু'জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার বিকেলে উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ডাদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বিলাত আলী মণ্ডলের
ছেলে কনের গ্রাম সম্পর্কীয় দাদা গোলাপ আলী (৬৫) এবং চাচা সামসুদ্দিন ম ল (৪৫)।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, বিকেলে পোলতাডাঙ্গা গ্রামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার পর অনুষ্ঠান চলছে এমন খবরের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কনের বাবা-মাসহ বর পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে কনে পক্ষের দু'জনকে আটক করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

ঘৃণ্য যৌতুক প্রথার নিরসন হোক


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধনকে কলঙ্কিত করেছে যৌতুক প্রথা। যৌতুক প্রথা সমাজে এখন এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে যৌতুক ছাড়া বিয়ের কল্পনা করাও বৃথা। সমাজ একে গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মেয়ের জন্মলগ্ন থেকেই কন্যাদায়গ্রস্ত গরিব মা-বাবাকে যৌতুকের করাল গ্রাসের নির্মম পরিণতির কথা ভেবে মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। একটা সময় এ প্রথা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব জায়গায় ছড়িয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবার মধ্যেই ছড়িয়েছে। এমনকি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রতিটি মানুষের ভিতরে লোভাতুর দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে আসছে। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়তই যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতন, নারী হত্যা, আত্মহত্যা ও তালাকের মতো সংবাদ ছাপা হয়।


 

 

 


 


 

 

Top
 

 

পুলিশ ও কারাগার সংবাদ

 


 

মাদক মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
নগরের চকবাজার থানায় র‌্যাবের দায়ের করা মাদক মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) (সাময়িক বরখাস্ত) গোলাম মোস্তফাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৩ ফেব্র“য়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এএসআই গোলাম মোস্তফা নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরহাসান সিকদার বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে নগরের ওয়াসা মোড়ের হক লাইব্রেরির সামনে থেকে ২ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন রাঙ্গুনীয়া থানার কনস্টেবল মোশররফ হোসেন। পরদিন নগরের চকবাজার থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।
গত ১২ জানুয়ারি কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও এএসআই গোলাম মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাঈনুর রহমান।
গোলাম মোস্তফা কয়েকমাস পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্র্বতীকালীন জামিন নিয়ে কর্মস্থল নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনে হাজির হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত আছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এএসআই গোলাম মোস্তফা আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

কাশিমপুর কারাগারে মাদক মামলায় বন্দি এক কয়েদির মৃত্যু


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১-এ মাদক মামলায় বন্দি এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত বন্দি হলেন- ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার শিবলা মানিহারকান্তা এলাকার মো. রহম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৯)।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার রীতেশ চাকমা জানান, দুপুরে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে হাবিবুর রহমান। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে ফের কারাগারে আনা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আবারো তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবিবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করে। তার কয়েদী নং-৯৫৩৫/এ ছিল।
হাবিবুর রহমান মোবাইল কোর্টের মামলায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিল। গত ৩০ জানুয়ারি থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কুমিল্লায় সেনাসদস্য হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
 

মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য আবদুর রহমান (৩০) হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া ইস্কান্দর বাড়ির রফিক মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া ওরফে জনি, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল মিয়া ও হবিগঞ্জের প্রদীপ দাস। এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা আলী আক্কাছ।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর চলন্ত ট্রেনে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের নির্মম ছুরিকাঘাতে বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগ্যনাল ব্যাটেলিয়ান সদস্য আবদুর রহমান (৩০) নিহত হন। ওইদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেললাইনের মাঝখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ।
নিহত ওই সেনা সদস্যের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমান বাদী হয়ে পরদিন লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

চাঁদাবাজির কারণে ৬ পুলিশ কারাগারে


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
আনোয়ারা উপজেলায় এক ব্যক্তির কাছে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে একজনকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ০৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ছয়জনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজির করা আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ছয় পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আনোয়ারা থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন তার কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে ছয় জনের বিষয়ে জানতে পারে। তখন আমরা দামপাড়া থেকে ছয়জনকে আটক করে তাদের আনোয়ারা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।

 

কিশোরগঞ্জ কারাগারে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার-১ এ আসামিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল হাই (২৭) নামে এক হাজতি আসামিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (গতরাত) গভীর রাতে।
নিহত আব্দুল হাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার ছেলে। মাদক মামলায় তিনি হাজতি আসামি হিসেবে কারাগারে ছিলেন। কারাগারসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গতরাতে কারাগারের অভ্যন্তরে আব্দুল হাইয়ের সাথে ঝগড়া হয় অপর হাজতি আসামি সাইদুর মিয়ার। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সাইদুর মিয়া বাথরুম থেকে কাঠ এনে আব্দুল হাইকে বেদম পেটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় অপর এক হাজতি আসামি জাহাঙ্গীর আহত হন। তিনি নিকলী উপজেলার নয়াহাটি গ্রামের ইসমাইলের ছেলে। সাইদুর মিয়ার বাড়ি তাড়াইল উপজেলার কালনা মাইজপাড়া গ্রামে।

 

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি করতেন পুলিশের দুই এএসআই


মানবাধিকার রিপোর্টঃ
গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের দুই এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। অভিযুক্ত এএসআই দুজন হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার এএসআই মাসুম শেখ এবং গেন্ডারিয়ার আরআরএফ মিলব্যারাকের শহীদ শেখ। সম্প্রতি একটি ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে দুই পুলিশ সদস্যের নাম না থাকলেও ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর জবানবন্দীতে উঠে আসে তাদের নাম। তাদের নেতৃত্বে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এমনকি এসব কাজে ব্যবহার করা হতো সরকারি অস্ত্র, গাড়ি ও হ্যান্ডকাফ। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের এই দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দু’জন এএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। পুলিশ সদস্য হওয়ার কারণে তাদের কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হয়নি।
 

 


 

Top



Top
 



 

স্বাস্থ্য সংবাদ


 


কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন কীভাবে?

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংখ্যাটা দিন দিন বেড়েই চলছে! বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।
কিডনির সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
কিডনিতে পাথর জমার কারণ:
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন,...
-বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা।
-শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।
-শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
-অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
-রক্তবর্ণের প্রসাব।
-বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
কিডনির অবস্থানে (কোমরের পিছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।


ডায়াবেটিস কমায় ধনেপাতা


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ধনেপাতা বেশির ভাগ মানুষের কাছেই প্রিয় একটি মসলা। চাটনি থেকে শুরু করে তরকারি, সব কিছুতে যেমন স্বাদ বাড়ায়, তেমনই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধনেপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের মোক্ষম দাওয়াই।
ফ্লোরিডা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ধনেপাতা কিংবা বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ধনেপাতা বীজের মধ্যে থাকে ইথানল, যা ব্লাড সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। প্যানক্রিয়াসের বিটা সেল থেকে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ধনেপাতা হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন?
রেসিপি ১: ফ্রাইয়িং প্যানে এক চা চামচ ধনে বীজ এবং অর্ধেক চা চামচ জিরা মাঝারি আঁচে গরম করে নিন। তার মধ্যেই এক চা চামচ পোস্ত এবং মধু মিশিয়ে নিন। এরপর তা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে সারারাত রেখে, তারপর খেতে পারেন।
রেসিপি ২: প্রথমেই একটি পাত্রে এক চা চামচ ছোলার ডাল, ৩টি শুকনো মরিচ, ৩ চা চামচ ধনে বীজ গরম করে নিন। তারপর সেটা সরিয়ে পিঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবারে মিশ্রণটা ঠান্ডা হওয়ার পর, একটি ব্লেন্ডারে ধনে গুঁড়োর সঙ্গে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে এক চা চামচ গুড় এবং এক চা চামচ তেঁতুল মিশিয়ে নিন। পানি এবং লবণ দিয়ে চাটনি তৈরি করে নিন। আরও একটি পাত্রে তেল গরম করে সামান্য সরিষা বীজ এবং কারিপাতা ভেজে নিন। এরপর চাটনির উপর দিয়ে সাজিয়ে নিন।
রেসিপি ৩: একটি প্যানে এক চা চামচ ঘি গরম করে নিন। তাতে ধনে গুড়ো দিয়ে ভাল করে ফ্রাই করুন। এর মধ্যে সামান্য মাখনও দিতে পারেন। তারপর কয়েক টুকরো কাজু এবং আমন্ড ছোট ছোট টুকরো করে গুড়ো করে নিন। এরপর এই মিশ্রণের মধ্যে গ্রেটেড নারিকেল, ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে পাঞ্জিরি তৈরি করতে পারেন। এই তিনরকমের রেসিপির যেকোনও একটি ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


দাঁত ব্যথা দূর করে লবঙ্গ


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
লবঙ্গ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখন বৃদ্ধি করা একান্তই প্রয়োজন। তাই লবঙ্গ খেলেই মিলবে উপকার।
নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হজম শক্তি বাড়বে দ্রুত। কারণ, এটি পাচক রসের ক্ষরণ ঘটিয়ে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
যাদের মুখে গন্ধের সমস্যা আছে, দাঁতে ব্যথা হয়, তারাও লবঙ্গ খেতে পারেন নিয়মিত। তাতে এই সমস্যা দূর হবে।
শরীরে সুগারের মাত্রা কমাতে অনেক সময় এটি সাহায্য করে। যাদের সুগারের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত লবঙ্গ খেলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।
চিকিৎসকরা বলেন, যাদের হাড় দুর্বল তাদের জন্য লবঙ্গ বিশেষ উপকারী। লবঙ্গের সাহায্যে হাড়ের জোর বাড়ে। হাড়ের সংযোগ বা জয়েন্টও শক্তিশালী হয়।


যে ৬টি খাবার হাড়ের জন্য খুব উপকারী


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
আমাদের দেহের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আমাদের দেহে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সরবরাহ করে থাকে বিভিন্ন রকমের খাবার। এছাড়া আরও অনেক ধরনের উপাদানই আমাদের দেহের জন্য বেশ প্রয়োজনীয় তার মধ্যে ক্যালসিয়াম অন্যতম।
কেননা ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে সেটি হল দেহের হাড় মজবুত করে থাকে। আসুন এমনই কিছু ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জেনে নিই যেগুলো আমাদের দেহের হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
১. দুধ: দুধ সর্বোৎকৃষ্ট ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার। শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই না এটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যও একটি প্রয়োজনীয় খাবার। এটি এমনই একটি খাবার যা দেহে খুব সহজেই জারিত এবং শোষিত হয়ে থাকে যার ফলে শারীরিক বৃদ্ধি এবং হাড় মজবুতে সহায়তা করে থাকে।
২. দই: এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে কিছু স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এতে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করে থাকে।
৩. মটরশুটি: মটরশুটিতেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুল হাড় মজবুত করে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য আপনি বিভিন্ন জাতের মটরশুটি খেতে পারেন।
৪. সবুজ শাক সবজি: বিভিন্ন প্রকারের সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যেমন ধরুন বিভিন্ন শাক, শালগম, বাধাকপি, লেটুস পাতা, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যেগুলো হাড় গঠনে সহায়তা করে
৫. বিভিন্ন ঔষধি এবং মসলা: বিভিন্ন ধরনের ঔষধি অর্থাৎ তুলসী পাতা, পুদিনা পাতা, দারুচিনি এবং মসলা জাতীয় খাবার যেমন রসুন ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন হাড় মজবুত করে থাকে।
৬. কমলা : সাইট্রাস জাতীয় ফল কমলাতে শুধু ক্যালসিয়ামই নয় ভিটামিন ডি আছে যেগুলো শরীরের হাড় মজবুত করে। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময়ে এক গ্লাস কমলার জুস খেতে পারেন এতে শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে এবং হাড় মজবুত করবে।
দাঁত দেিয় নখ কাটার বদভ্যাস, কনে এমন হয়?
প্রতিদিন আপনার চারপাশে এমন অনকেকইে দখেতে পান, যারা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন। নখ হাতে না থাকলেও দেখা যায়, হঠাৎ করইে নখরে চামড়া কাটছনে দাঁত দিয়ে। অনেকে এটিকে বদভ্যাস বললেও চিকিৎসকের ভাষায় বলা হয় 'ওনিকোফেজিয়া' । ছোটবেলা থেেক এই বদভ্যাস অনেকে পরেও ছাড়তে পারেন না। কিন্তু কেন এমন হয়? এর কারণ জানিয়েছেন চিকিসিকরা।
চিকিৎসকদের মতে, বিশেষত কয়েকটি কারণের জন্য সাধারণ মানুষ দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। বিরক্তিভাব, একঘেয়েমিভাব বা চঞ্চল স্বভাবের জন্য অনেকে দাঁত দিয়ে নখ কেটে থাকেন। কোনও কাজ প্রচন্ড মনোযোগে করলেও নিজের অজান্তেই নখ চলে যায় দাঁতের কাছে। আবার অনেকে উদ্বেগ কাটাতে নখ দিয়ে দাঁত কেটে থাকেন। আবার এই ধরনের অভ্যাস অনেক সময় মানসিক রোগের লক্ষণও হতে পারে। এডিএইচডি, ওসিডি, ডিপ্রেসিভ ডিসওর্ডারের মত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে মত চিকিৎসকদের।
দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস থেকে থাকলে তা শীঘ্রই বন্ধ করার পরার্মশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ র্দীঘ সময় ধরে নখ দাঁত দিয়ে কাটতে থাকলে শুধু নখের গঠন নষ্ট হয়না, হতে পারে ফাংগাল ইনফেকশনও। এমনকী পেটের মধ্যে নখের কণা গিয়ে নানারকম সমস্যা তৈরি করতে পারে। নখ কাটার বদঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার বেশ কয়েকটি সহজ উপায়ের কথাও বলেছেন চিকিৎসকরা। দেখে নিন একনজরে-
নখ বাড়লে তা দাঁত দিয়ে না কেটে নেল কাটার দিয়ে সুন্দর করে কাটুন। অথবা বিউটি পার্লারে গিয়ে মেনিকিউর করান। যদি আপনি নখের পিছনে টাকা খরচ করেন তাহলে তা দাঁত দিয়ে কেটে নষ্ট করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে। নেইল পলিশ ব্যবহারে দিক নজর দেওয়া উচিত। কারণ নেইল পলিশ থাকলে যখনই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে যাবেন অদ্ভুদ স্বাদ মুখে আসবে। স্বভাবতই মুখ থেকে হাত এমনিই সরে যাবে। মনকে সচতেন করুন। একদিনে নয়, এটা সম্পূর্ণ অভ্যাসের ব্যাপার। যখনই দাঁত দিয়ে নখ কাটতে যাবেন, নিজেকেই নিজে শাসন করুন। দেখবেন এই বদঅভ্যাস খুব সহজে ছড়ে যাবে আপনাকে। আর সবশেষে ধৈর্য রাখুন। ভাল হোক বা খারাপ, অভ্যাস বদলাতে সময় লাগে। তাই সময় দিন নিজেকেও। শরীর সুস্থ রাখতে যতœ রাখুন নিজের।


মাছি থেকে খাবারে বিষক্রিয়া, তাড়াতে কী করবেন?


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
রান্নাঘর হয়তো আপনার মনের মতো। সব সময় পরিষ্কারও রাখেন। তবে মাছির উৎপাত লেগেই আছে। রান্নাঘরে অনেক কিছুই আপনাকে রান্না করে রাখতে হয়। কিন্তু রান্না করা গরম খাবারের মধ্যে যদি মাছি পড়ে তবে কিন্তু সর্বনাশ। খাবারের চারপাশে যদি দেখেন মাছি ভনভন করছে, তবে কিন্তু মুশকিলের ব্যাপার। মাছি ভনভন করে ঘুরে মুহূর্তের অস্বাস্থ্যকর ও খাবারও বিষাক্ত ছাড়াবে। গবেষকরা বলছেন, ঘরোয়া মাছি প্রায় ৩৫১ রকম জীবাণু বহন করে। মাছি পা, পায়ের পাতা এবং পাখার সাহায্যে এসব ব্যাকটেরিয়া এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। তাই মাছি যদি খাবারে বসে তবে পেটের রোগ থেকে বড় ধরনের বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই ঘরের মাছি তাড়ানো জরুরি।
আসুন জেনে নেই মাছি তাড়াতে কী করবেন?
১.মাছি তাড়তে রান্নাঘরে ছোট পুদিনা পাতার গাছ লাগান। পুদিনা পাতার গন্ধে মাছি পালাবে।
২. রান্নাঘরের কোণগুলোতে ভিনিগার স্প্রে করতে পারেন। ভিনিগার মাছির যম। ২. ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধওয়ালা অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে ক দিন স্প্রে করুন রান্নাঘরে।
৩. রান্নাঘরের জানালায় দু'টুকরো দারুচিনি রাখুন।
৪. রান্নাঘরে লবঙ্গ ছড়িয়ে রাখন। ৫. প্রতিদিন সন্ধ্যায় ধুনো জ্বালাতে পারেন। ভালো ফল পেতে ধুনোয় কর্পূর ফেলে দিন। কোনোভাবেই খাবার খোলা রাখা চলবে না। খাবার ঢেকে রাখুন।

 


উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় বাঁচে করোনাভাইরাস


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
উচ্চ তাপমাত্রায়ও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকতে পারে নতুন করোনাভাইরাস। তাপ প্রায় ফুটন্ত অবস্থার কাছাকাছি নিলেই কেবল এই ভাইরাস ধ্বংস হয়। ফ্রান্সের একদল গবেষকের পরীক্ষায় এমন ফল পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের এইক্স-মার্সাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেমি চ্যারেল ও তার সহকর্মীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে করোনার স্যাম্পলকে তাপ দেওয়ার পরও এর কিছু অংশকে সক্রিয় দেখতে পেয়েছেন তারা। ভাইরাসকে সেদ্ধ করার পর্যায়ের তাপমাত্রা প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এর যা ফল এসেছে তাতে ল্যাবের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য আফ্রিকার এক ধরনের বানরের কিডনি কোষ এবং জার্মানির একজন রোগীকে ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা। ‘পরিষ্কার’ এবং ‘নোংরা’ পরিবেশে রাখা হয় সংগ্রহ করা ভাইরাসের স্যাম্পলকে। তাপ প্রয়োগের পর দেখা যায়- পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও সক্রিয় থাকে নোংরা পরিবেশের ভাইরাস। মর্নিং পোস্ট বলছে, ল্যাবে করোনার স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষার জন্য ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। আরও তাপ প্রয়োগ করাই এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে ফ্রান্সের গবেষক দল জানিয়েছে। তারা বলছেন, ১৫ মিনিট ধরে ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা করোনার স্যাম্পলের ওপর প্রয়োগ করা হলে এটি পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যায়। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে পানি ফুটে যায় বা বাষ্পীভূত হয়। গবেষণার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, পরিবেশ বদলের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে করোনাভাইরাস। এই জটিলতা সমাধানের পথ খুঁজছেন চিকিৎসকরা।

 

টাক কেন শুধু পুরুষের মাথায়ই হয়!


মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
ভার্সিটিতে পড়ুয়া একঝাঁক চুল নিয়ে মাথা দুলিয়ে কবিতা পড়া টগবগে তরুণটিকে বছর পাঁচেক পরে রাস্তায় দেখলে চেনাই যায় না। মাথার সামনের দিকটা পুরো খালি হয়ে টাক পড়েছে!
ছেলেদের মাথায়ই দেখা যায় বেশি টাক পড়ে। কেন এমনটা হয়, ভেবেছেন কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে ক্রোমোজমে। অ্যান্ড্রোজেন এবং ণ ক্রোমোজোমের প্রভাবে চুল পড়ে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন পুরুষের বংশগতি ও প্রজননে ভূমিকা রাখে আর মেয়েদের দেহে ণ ক্রোমোজোম থাকেই না। তাই মেয়েদের থেকে বেশি ছেলেদের মধ্যেই টাক পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
মাথায় চুল কমতে শুরু করলেই মন খারাপ না করে, একে স্বাভাবিকভাবে নিন। নিয়মিত যতœ মানে পরিষ্কার রাখা, মাসে দুই দিন অন্তত তেল ম্যাসাজ করা, পছন্দের একটি প্যাক লাগানো এসব সাধারণ যতœ নিলেই চুল সুন্দর থাকবে ও কম পড়বে। আর সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করতে হবে।
 



 


Top

 

 

আইন কনিকা


 


যৌতুক গ্রহণ ও মিথ্যা মামলার শাস্তি ৫ বছরের জেল

 

মানবাধিকার হেলথ ডেস্কঃ
বিবাহে যৌতুক দাবি, গ্রহণ বা প্রদানের পাশাপাশি এক্ষেত্রে সহায়তা করার অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে ‘যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮’ উত্থাপিতা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া যৌতুকের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করলেও ৫ বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে আজ বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিল অনুযায়ী বিয়ের সময় বা তার আগে ও পরে যৌতুক দেয়া নিরোধ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন রহিত করে নতুন করে এই বিলটি আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের তিন ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক দাবি করলে, তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে কিন্তু সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশে জরিমানার বিধান থাকলেও জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত ছিল না। আর বিলের চার ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যৌতুক গ্রহণ করলে বা প্রদান করলে উভয়েই দণ্ডিত হবেন। তারা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বিলের পাঁচ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক সংক্রান্ত মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, তিনিও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল থেকে সর্বনিম্ন একবছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগের আইনে যৌতুকের মিথ্যা মামলার জন্য কোন শাস্তির বিধান ছিল না।
বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। এই যৌতুক প্রথা অবসানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের অধ্যাদেশ-এর আলোকে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত বিল প্রণীত হয়েছে। অপরাধ বিচার আপীল ও তদন্তে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।
 

জুয়া খেলা: আইন কী বলে?


মানবাধিকার ল’ ডেস্ক
প্রকাশ্য জুয়া আইন। ১৮৬৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শাসনাধীন এলাকায় প্রকাশ্য জুয়া খেলার অপরাধে শাস্তি এবং সাধারণ ক্রীড়াভবনের ব্যবস্থা করার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদে গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ আইন থাকা স্বত্বেও গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ক্যাসিনো সিলগালা ও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারো বিরুদ্ধেই ‘জুয়া খেলার’ অপরাধে মামলা হয়নি। সব মামলা হয়েছে মাদক, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনে।
আইনজ্ঞরা বলছেন, ভিন্ন আইনে মামলার মূল কারণ জুয়া খেলা বন্ধে প্রচলিত আইনটি দেড়শ বছরেরও অধিক পুরনো। ওই আইনে ‘ক্যাসিনো’ বলে কোনো শব্দই নেই। এ কারণে আইনটির কোনো কার্যকারিতাও নেই। তবে, ৭২’-এর সংবিধানে জুয়া নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলা আছে। তাই জুয়া ঠেকাতে প্রয়োজন কার্যকরী ও কঠোর আইন। এ ব্যাপারে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্যাসিনো জুয়া ব্যাপকতা লাভ করেছে। তাই জুয়া খেলা বন্ধে বিদ্যমান আইনটি দ্রুত সংশোধন করে একটি কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে থাকবে যাবজ্জীবন কারদন্ডের বিধান। ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়ার যুক্তিকতা প্রসঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, যুব সমাজ ধ্বংসকারী ক্যাসিনোর লাইসেন্স দেয়া কোনো মতেই সঠিক হবে না। লাইসেন্স দেয়া হলে এটি হবে সংবিধান বিরোধী। জুয়া বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলটি নিষ্পতি করতে এটর্নী জেনারেল অফিসের উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা দরকার ছিল বলে তিনি মনে করেন।

 

 

Top
 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 
   

                                                     Copy Right : 2001 BHRC  All rights reserved.